আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৈ গ্যালা গো সুশিল সমাজ? কৈ গ্যালা গো অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধ্বজা ধারীরা? রোহিঙ্গাদের দেখার কেউ নেই কি? মায়ানমারে ঘটছেটা কি?

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। (ছবিটি ফাইল থেকে নেয়া) "মনে হচ্ছে আমি এক নরকে বাস করছি। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য উপার্জনের কোন ব্যবস্থা নেই।

" বুকচাপা কষ্টের এমন বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছিলেন মিয়ানমারে দাঙ্গার শিকার এক মুসলমান কাইও মিন্টু। তিনি রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের কাছেই দিচাউঙ্গ আশ্রয় শিবিরে কোনমতে ঠাঁই পেয়েছেন। মুসলিম রোহিঙ্গাদের রক্ষার জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাইর পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মুফতী আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট, হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত মজলিস এই সব দলের বড় বড় নেতারা বাংলাদেশের বড় বড় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছে ধর্না দিয়েছিল যেন ভিক্ষুরা কিছু বিবৃতি দেয় যাতে বার্মার বৌদ্ধ নাগরিকরা যেন মুসলিম নিধনে আর অংশ গ্রহন না করে। কিন্তু বৌদ্ধ ভিক্ষুরা একটা বিবৃতি পর্যন্ত দিলনা। একটা সৌজন্যবোধ পর্যন্ত তার দেখালো না।

তাহলে "অহিংহা পরম ধর্ম" ন্যাড়া বৌদ্ধরা কি তা মানে? বৌদ্ধরা একটা বিবৃতি তো দিতে পারত? তাতে মগেরা হয়তো প্রভাবিত হইত কিংবা হইত না কিন্তু বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অবস্থান অন্ততপক্ষে পরিষ্কার হইত। আমরা কি বৌদ্ধরা নির্যাতিত হওয়ার পর ফেসবুক ব্লগে লেখালেখি করি নাই? আমাদের দেশে কলেজ বিশ্ববিদ্যায় গুলিতে মানববন্ধন কি হয় নাই? অন্ততপক্ষে আমরা আমাদের সহানুভূতিটুকু দেখায়েছি। পক্ষান্তরে, বার্মায় মগরা কী করেছে? এই দেশে বৌদ্ধরা মার খাবার পর (যাহা মোটেও কাম্য নয়) ওদের ভিক্ষুরা বাংলাদেশ দুতাবাস ঘেরাও করেছিল। আর স্টুডেন্টরা একসাথে দাবি তুলছিল সব রোহিঙ্গারে বাংলাদেশ পাঠানোর হোক। এই হইতেছে মুসলমান আর বৌদ্ধের মধ্যে পার্থক্য।

গত ২১শে অক্টোবর নতুন করে সৃষ্ট নতুন এ দাঙ্গায় ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং প্রায় ৫ হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। দাঙ্গায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কয়েক শত। এর শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা। মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। তাদের বেশির আবাস রাখাইন রাজ্যে।

রাখাইনে বসবাসকারীদের মধ্যে বেশির ভাগ আবার বাস করেন মুঙডু, বুথিডাঙ ও রাথেডাংয়ে। তাদেরকে সরকার ও স্থানীয় মিয়ানমারের নাগরিকরা বিদেশী হিসেবে দেখে থাকে। এর মধ্য দিয়ে রাখাইনের বৌদ্ধদের সঙ্গে তাদের দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে অং সান সুচিকে দেখা হয়, যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি এ নিয়ে টুঁ-শব্দটি পর্যন্ত করেন নি। এ নিয়ে নানা মাত্রিক বিতর্ক হচ্ছে তাকে নিয়ে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।