আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~"চন্দ্রকথা" নিয়ে কিছু কথা~ (একান্তই ব্যাক্তিগত মতামত)

I am the master of my fate, I am the captain of my soul. কাউয়া খাবি !!!! ;-) (সিনামার ডায়লগ, ভাইবেন না আমি খাইতাছি আর আপ্নেরা দেখনের পরে খাইতে আহবান জানাইতাছি) ▽ ▽ ▽ বাংলা সিনামা দেখা হয়না প্রায় অনেকদিন। সেই উদ্দেশ্যেই বাংলা সিনামা দেখতে বসা। হুমায়ুন আহমেদের নির্মিত এই সিনেমাটি দেখা হয় নি আগে। সাধারণ আগ্রহ থেকেই দেখা শুরু করি। গতানুগতিক হুমায়ুন আহমেদের নাটক গুলো থেকে ভিন্ন কিছুই নয়।

সাধারণ হুমায়ুনিয় কাহিনী আর গতানুগতিক কিছু চরিত্রের মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদের অনেককিছুই ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা। হুমায়ুন আহমেদের “জমিদার” এ আমি ত্যাক্ত বিরক্ত। সকল সিনামায়ই কি একজন খুব প্রভাবশালী জমিদারর টাইপ কেউ না থাকলে কাহিনী জমে না নাকি !! আর জমিদার হিসেবে আসাদুজ্জামান নূরের অভিনয় ভাল হলেও যাদের “অয়োময়” নাটকটির কথা মনে আছে তার থেকে ভিন্ন কিছু দেখেছেন বলে মনে হয় নাই। সেই একই ধরণের ইজি চেয়ারে বসে হুক্কা খাওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছু। আর মূল চরিত্রের নায়িকা কি সবসময়েই হেয়ালীপনাতেই আটকে থাকে !! আসলে “শ্রাবণ মেঘের দিন” আবার দেখেছিলাম অল্প কয়দিন আগেই।

তাই এই সিনামা দেখে যারপরনাই মেজাজ খারাপ হয়। কাহিনীতে কোনই বৈচিত্র ছিল না। আর গল্পের নায়ক আর নায়িকা কে মেরে ফেলার মানে হল জোড় পূর্বক দর্শকের সিম্প্যাথি আদায় করা (একান্তই নিজস্ব মতামত)। এই ব্যাপার প্রায় সব সিনামাতেই কেন ঘটবে!! আর ঘটলেও প্রায় একই কাহিনী কেন হবে?? অন্য ভাবেও এই ব্যাপার ঘটানো যায়। এই ব্যাপারে আমার একটা মতামত আছে।

-- মানুষের স্বভাবগত ব্যাপার হল যা শুরু করে তার থেকে বেরিয়ে আসা বেশ কঠিন হয় মানুষের জন্যে। এই কথা টা যেমন দর্শকের জন্যে প্রযোজ্য তেমনি পরিচালকের। সেই দিকথেকে হুমায়ুন আহমেদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা আর দর্শক প্রিয়তা লাভ করে তার টিভি নাটকের মাধ্যমে। আর সে যেই পরিমাণের নাটক বানায় একসময়ে সেই পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসাটা আসলেই যে কারো জন্যে কঠিন। আর আমরা দর্শকরা এই ধরনের নাটক দেখতে দেখতে আর ভাল না লাগায় পরে তার সিনামাতেও যখন মেকিং, কাস্টিং আর সিনেমাটোগ্রাফি তে কোন পরিবর্তন পাই না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই সেটা নাটকের সাথে তুলনা দেই।

এটা আমাদের যেমন দোষ নয়, পরিচালকেরো নয়। তবে এই সকল ক্ষেত্রে তার আরো সময় নিয়ে নিজের পচলিত ধারার বাইরে কিছু করা উচিত ছিল, যাতে করে দর্শক নতুন কিছুর স্বাদ পায়। আহমেদ রুবেলের চরিত্রে অভিনয় অসাধারণ লাগল বরাবরের মতই। শাওনের অভিনয়ও ভালোই ছিল শুধু নতুনত্ব কিছু ছিল না। আসাদুজ্জামান নূর ও একই পথের পথিক।

আর ফেরদৌস কে তার নিজের চরিত্রের সাথে কোনভাবেই মিলাতে পারি নি। গ্রাম্য একটা ভাব তুলে আনতে পারেননি পরিচালক তার মাঝে। অনেক নেগেটিভ কথা বলা হয়েগেছে। এর সাথে ভাল লাগার কথা না বললেই না। হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটা সিনামা আগ্রহ নিয়ে দেখার একটাই কারণ থাকে।

তা হল প্রায় প্রতিটি সিনেমাতেই বাংলা ফোক গানের ছোয়া থাকেই। এই ফোক গানগুলোই বাংলা সংস্কৃতির প্রাণ। যার প্রতি হুমায়ুন আহমেদের ভালবাসা অতুলনীয়। যারা দেখেননি (না দেখা মানুষের সংখ্যা খুব কম হওয়ার কথা) দেখতে পারেন। তবে নতুন কিছু দেখার আশা নিয়ে বসলে আশাভঙ্গ হবে।

বাংলা উইকিপেডিয়া থেকে সংগ্রহীত কিছু অংশঃ পরিচালকঃ হুমায়ুন আহমেদ গল্পঃ হুমায়ুন আহমেদ (গল্প, চিত্রনাট্য) ধরণঃ রোম্যান্টিক প্রযোজকঃ নুহাস চলচ্চিত্র সঙ্গীতঃ মাকসুদ জামিল মিন্টু অভিনয়েঃ শাওন, ফেরদৌস, আসাদুজ্জামান নূর, আহমেদ রুবেল ও আরো অনেকেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।