আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব-দ্বীপের আসর

সন্ধ্যার আঁধারে আমি যদি হারিয়ে যাই বন্ধু, আমাকে মনে রেখো তোমার ঘরের ধূপ-আগরের সুবাসে- তোমার ঘরের প্রদীপের আলোয়, আমাকে ফেলে দিও না বাসি ফুলের মত। মনের ঘরেই রেখো বন্ধু পথের ধারের ফুলটি ভেবে। আমি যে জলসাঘরে ...www.jolsaghor.com ***** দ্বিপদী শোলক ***** শুনি রাগ শাহানা বাহার, আঁখি হয় নমি। কিছু তো নয় আর- সুরা-সুরাহির কমি। ।

অধর মিলবে না- একটু তো রস চাই পিপাসায়। পেয়ালাই হোক, মাসুকা কোথায়- পাবে অবেলায়। । সুরের আঘাত নিও ব্যথা জুড়াতে, পেয়ালার উছলানো কান্নার জল নিও। কেউ হবে না তোমার- অবেলায় বাতি জ্বেলে যদি পার শুধু তার নাম নিও।

। ঐ কুপি-জ্বলা পতঙ্গের মত ভালো কেন বাসতে যাও কবি। শর্মা বলে- বৃথাই সবই, বৃথাই সবই, বৃথাই তো সবই। । না জানি কেন এত ব্যাকুলতা জাগে - আজ বড় শরাবের পিয়াস লাগে।

চোখে আছে জল পেয়ালায় গরল - অধরের সুধা নিতে তিয়াস জাগে। । চোখে প্রেম জাগিয়ে চাহনিতে একটু সুখ দাও - রাতভর জোছনার তলে প্রেমের গীত দাও। দূরে হলে সে কি দূর কাছেই তো থাকো - তছবিরে হয় হোক একটু তো জোয়ার দাও। ।

ঘুমনাম হাছরতেরা ভিড় করে বুকে - বদনাম প্রেম যে উতলায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার কি খবর আছে। কামনার স্নানে স্নানে ভেসে যেতে চাই গো ধূপ হয়ে জ্বলে মরি তার কি খবর আছে। । জ্বলে জ্বলে গলে পড়া মোমের ফাসানা চাই না হতে - ছেঁড়া ছেঁড়া বুকপুড়া পাতার পদ্য চাই না হতে। যদি দিতে পার হয়ে যেও কলি খোলা ফুল - মিথুনে শিকারী প্রেমী চাই না হতে।

। ***** চতুর্পদী ***** আজ যদি গো বুকের নদী উপচে উঠাও ভোর অবধি কেমন করে কইবো কথা হিঁচকি তোলে ফুঁফাও যদি তোমার আছি তোমার পাশেই একটু ছুঁয়ে তো দেখতে পারো কাল যদি গো নাইবা মেলে প্রেম-হরষের মিলন নিধি এই যে বধূ ঘোমটা খুলো মিছেই কেন গো এত লাজ মেঘের আড়ে চাঁদ লুকাবে তাই বলে কি আড়ালের সাজ জানো তুমি তোমার আমি মুখ না দেখলে তড়পে যাই তবু কেন খেয়ালি করে গো বুকে বিঁধাও ঝড়ের বাজ আমার তো শুধু তুমি আছ একটি বুকের মণিহার ছিন্ন হলে সেদিন হবে আমার প্রাণের মৃত্যুদ্বার একটু দেখে একটু হেসে ভরিয়ে দিও গো বুকের ঘর কার কাছে আর চাইবো বলো তুমি বিনে কে আছে আর যাবার কথা এনো না মুখে শুনলে পরে আঁতকে উঠি কত বিদায়ের হুল ফুটেছে স্মৃতির ঘরে খুঁজে দিঠি এখন প্রাণে নেই গো সে বল সারিয়ে ব্যথা উঠবো আবার এখন গেলে আর পাবে না খুঁজবে তারায় মিটিমিটি ***** কবিতা ***** ভালবাসতে গিয়ে পেলাম হেরে যাওয়া সব ভালোবাসার দল, বারবার পেলাম! অথচ; আমার তো এক চিলতে চাঁদের আলোতে, এক চিলতে শীতের রোদে, এক পাপড়ী ফুলে, সুগন্ধি-শীতল হাওয়ার একটিবার মাত্র ধমকা তোড়ে, তৃপ্তির চোখে এক সিন্ধু প্রেম বুকে নিয়ে হাত বাড়ানোর রোগ আছে। না; কোন কবরস্থানের ফরমায়েশ ছিল না কখনও আমার কাছে, অথচ; না দেখা আনারের বাগে- ঝরা ফুল দেখে না বসা বুলবুলের করুণ চোখের তরুণ চাহনির গম্ভীর ব্যথা চিনচিন করে বুকে অনুভব করি। আমার তো সাধ ছিল এক বাগীচার, একটি ফুলের, একটি কাঁটার, আর একটি প্রজাপতির! ***** জলসাগীতি ***** ***** চোখের নজরে ফেললে কড়ি বিকিয়ে গেলাম- হায় গো নাগর তোমারই হলাম রসিক চাঁদ মোর চেয়ে তো দেখো তোমার নাগড়ি নাগর কেন বুঝ না ও গো হায় হায় রে সখী গুমড়া মুখে নাগর তো দেখি বুঝে না হায় নজরে প্রেম নাগর যে বড় আনাড়ি রসিক আমার বুঝে না বুঝে না- হায় গো নাগর কেন বুঝে না ***** কেন এত দূর দূর সখী মোর না যাও রে বিদেশ রে গেলে কি আর দেখা হবে হবে কি আর ঘর (রে সখী মোর) শুকালে ফুলকলি আসে না ভোমর কি সুখ পাবে বধূ মরলে নাগর (রে সখী মোর ) ***** আর কবে সাইয়াঁ দেখা হবে আবার মীরা বানিয়ে গেলে শ্যামরায় মথুরার ঘাঘরি ভিগয়ে নাগর মন ভিজালে কানা গাগরির মত যৌবন রসাতলে আর কবে ফিরবে পথে নিহারি নিহার ---------------------------- ---------------------------- সজল শর্মা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।