আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ আ আজকের লেখালেখি - ১৩৬ (পবিত্র ঈদুল আযহা)

কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! শেষ রাতের দিকে ঘুমাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে। শেষের দিকে বেরিয়েছিলাম ঈদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সংগ্রহ করতে এবং বাড়ি বাড়ি গরু দেখতে। ছোটবেলাকার এই মজা অভ্যাসটা এই বয়সেও ছাড়তে পারি নি। সবাই দেখলাম এবার জলের দামে গরু কিনে তৃপ্তির জাবর কাটছে। অতঃপর আজ ভোর সাতটায় উঠে সোজা ছুটে চললাম আমার ছোটবেলাকার পাড়া গোপিবাগ।

আমি সব সময় সেখানে ঈদের জামাত পড়ি। বরাবরের মত এবারও বয়েজ ক্লাবের মাঠে ঈদের জামাত পড়লাম। কোলাকুলি শেষে দাদার বাড়ি ফিরলাম। প্রতিবার আমি সেখানেই আমাদের কোরবানী দিয়ে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

শুধু ব্যতিক্রম হয়েছে কোরবানীর সময়। প্রতিবার আমি ৮-৯টার ভিতরে কোরবানী দিয়ে দুপুর এক'টার ভিতর সব রেডি করে ফেলি। এবার গরুর দাম এতটা আশ্চর্যজনক ছিল, যারা প্রতিবার খাসি দিয়ে খুশি থাকতেন তারা এবার পুরানো খাসি প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে গরুর কোরবানী দিয়েছেন যার ফলে গরুর কসাইয়ের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলে অনেকে ঈদের দিন কসাই পান নি। মা এবার হজ্জ্বে থাকার কারনে আমি মা'কে ছাড়া এই প্রথম ঈদ করলাম।

কেমন যেন শূন্যতা ভর করেছিল সারাদিন ধরে। আমরা নিজেরা মিলে মা'র কাজগুলো সামলালাম। গোস্ত ভাগ বাটোয়ারা, বিলানো এই কাজগুলো শেষ করতে করতে রাত্রি নয়'টা বেজে গেল। ছেলেবেলার ঈদ ছিল দায়িত্বহীন তাই আনন্দ ছিল বেশী। বড়বেলায় এসে দায়িত্ব বাড়তে থাকায় আনন্দটাই সীমিত হয়ে গেছে।

এই সময়টা আড্ডায় কেটে যায় সারাদিন। সবাই ঈদ মোবারক। তবে কোলেস্টোরেল সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা দয়া করে আবেগেরবশে গাদাগাদা মাংস খেয়ে নিজের শরীর খারাপ করবেন না। ২৭ ই অক্টোবর,২০১২ -------------------------------------------------------------------------------- লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ১৩৬/৩৬৫ (বিলম্বে আপলোডের জন্যে দু:খিত) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।