আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম : পটকা বাজি রঙ্গ

জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়। চকলেট দুই প্রকার , মেড ইন আখাউড়া আর মেড ইন ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়ান চকলেটের আওয়াজ আর পাওয়ার দুটাই সেই রকম। ভুল বুঝবেন না। আমি পটকা বাজির কথা বলছি।

১৯৯৮ সালের দিকের কথা। মামার বাড়ি লক্ষীপূজায় বেড়াইতে আসলাম। আমি আদরের দুলাল , যা বলি মামা তাই কিনে। সড়ক বাজারে গিয়ে তারাবাতি , ঝরনা বাতি , পটাশ , আকাশ বাজি আর কেরা বাজির সাথে কৌশলে এক প্যাকেট ইন্ডিয়ান চকলেট আর ২ টা লাইট বোম ও ব্যাগে চালান দিলাম। তারপর আইসক্রিম ফ্যাক্টরী থেকে আইসক্রীম আর সিনেমা হলের সামনে থেকে ভাজা পোড়া খেয়ে বাসায় আসলাম।

বাজি তো কেনা হল , ফুটাবে কে ? তারাবতি , ঝরনা বাতি , পটাশ আর কেরা বাজির তো টাইম নাই বাচ্চাদের জিনিস। আকাশ বাজিতে ১৮০ ডিগ্রি ডিরেকশনের একটা ব্যপার আছে। মূল সমস্যা তো ইন্ডিয়ান চকলেট আর লাইট বাবা কে নিয়ে। পার্থ দা কে পটিয়ে উদ্ভাবনী বুদ্ধি কাজে লাগালাম , চকলেট আমার আর লাইট দাদার। চকলেট আবার নয়টা।

প্রথমটা দিলাম কল তলায় : সাফল্য। ২য় টা টয়লেটে , সাফল্য । ৩য় টা টয়লেটের ছাদে : টয়লেটের ছাদ উড়ে গেল .... ফলাফল আমি , মামা আর দাদা পলাতক , ৬ চকলেট সহ লাইট বোম পানিতে। সন্ধ্যায় ভদ্রলোকের মত ঘরে এসে দাদাকে দিলাম কেরা বাজি। দাদা ঘরের মধ্যে জালিয়ে দিল।

ফলাফল কিছুক্ষন পর ধোয়ায় ঘর অন্ধকার। খাটের নিচে থাকা নারকেলের ছিবড়ের বস্তায় আগুন লেগেছে। সেদিন ঘুমানের আগে দাদা আর ঘরে ফিরে নাই। আকাশ বাজি নিয়া টেনশন। মামীর ভাই প্রীতি মামাকে ধরলাম।

মামা ডিরেকশনে ভুল করে বসলেন। ফলাফল বাজি গিয়ে সোজা কাপড় শুকানোর এলাকায়। বাবার নতুন ধুতি দাউ দাউ করে জ্বলছে। এইবার আমিও পলাতক। আগামীকাল লক্ষী পুজা , পাড়ায় ধুমধাম বাজি ফুটছে।

মনে পড়ে গেল ... ইসসস আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম আমি .... আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।