আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগু

আমার দেশের ফুলের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে, সে ফুলের গন্ধে আমি বিমোহিত। আরো কাছ থেকে দেখতে চাই এদেশের গাছ, ফুল, প্রকৃতিকে। সাগু বা সাবুদানা আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটা খাবার। এটি সাধারনত রোগী বা বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো হয়। এটি শর্করার বেশ ভাল একটি উৎস।

কিন্তু কোথা থেকে আসে এই সাগু বা সাবুদানা। এটি কি কোন গাছে ধরে? নাকি একেবারেই হাতে বা মেশিনে তৈরি করা হয়? এসকল প্রশ্নের উত্তর আমরা খুব কমজনেই জানি। আসুন আজকে জানি কোথা থেকে আসে এই সাগু। সাগুর উৎস সাগুর মূল উপাদানের স্টার্চের উৎস এক প্রজাতির পাম গাছ। এর বৈঙ্গানিক নাম Metroxylon sagu. এর নামের Metroxylon শব্দটি গ্রিক Metro যার অর্থ "গাছের নরম অন্তসার" আর xylon অর্থ "কাঠ" থেকে এসেছে।

এটি Arecaceae ফ্যামিলির একটি উদ্ভিদ। লম্বায় ৬ থেকে ১৬ মিটার পর্যন্ত হয়। কখনো কখনো ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতিটি গাছে ২০-২৫ টির মত পাতা হয়। এ গাছ hapaxanthic মানে এতে একবারই ফুল ফোটে এবং ফলে ধরার পর গাছ মারা যায়।

এখন কথা হচ্ছে, গাছের কোথায় সাগু ধরে? এটা অনুমান করা সহজ কিন্তু সঠিক উৎসটা বলা কল্পনায়ও আসার কথানা। আসলে সাগু পাওয়া যায় এই পাম গাছের কান্ডের ভেতরে। অনেকেরই ধারণা সাগু আসলে গাছের ফল। আসলে সাগু গাছের ফল দেখতে এরকম: কিভাবে পাওয়া যায়? সাগু গাছ যাখন ফুল ধরার সময় হয় (৭-১৫ বছর) তখন এর গাছ কেটে এর কান্ডকে চিড়ে ফেলা হয়। এরপর এর কান্ডের ভেতরের নরম "পিথ"কে ধারাল কিছু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করা হয়।

এরপর একে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর ভেতরের স্টার্চ তরলের নিচে জমা হয়। পানি দূর করে এই সাদা রংয়ের স্টার্চকে আলাদা করে শুকানো হয়। একেই বলে সাগু। একটি গাছ থেকে ১৫০-৩০০ কেজি পর্যন্ত সাগু পাওয়া যেতে পারে। এবার আসুন সাগু পাওয়ার কয়েকটি ধাপ দেখি (নিচের তিনটি ছবি http://eatingasia.typepad.com ওয়েবসাইট থেকে নেয়া)।

কান্ডের ভেতর থেকে পিথ আলাদা করা পিথা পানিতে ভেজানো পানির নিচে সাদা স্টার্চ (সাগু) পুরো প্রক্রিয়াটি সংক্ষেপে এরকম: সাগুদানা বা সাবুদানা সাগু প্রথমে ময়দা আকারে পাওয়া যায়। একে এভাবেই খাওয়া যায়। আবার একে মেশিনে দানা আকারেও তৈরি করেও খাওয়া হয়। আমরা যে সাবুদানা খাই তা মেশিনে সাগুর ময়দা থেকে তৈরি করা হয়। সাগুদানাকে ইংরেজিতে "সাগু পার্ল" বলে।

সাগু উৎপাদিত হয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, সিংগাপুর, পাপুয়া নিউগিনি, থাইল্যান্ড, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভারত প্রভৃতি দেশে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।