আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একই সাথে একাধিক স্ত্রী পালনের মত বর্বর আইন অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা হোক

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে একজন ব্যক্তির আরেকটা বিবাহ করার ঘটনা বাংলাদেশে যত ঘটে তার চেয়ে বিনা-অনুমতিতে ঘটে বেশী। প্রথম স্ত্রী হয়তো সারাজীবন জানেনই না যে তার স্বামীর আরেকটা স্ত্রী ছিলো, অথবা এমন বয়সে জানে যখন মেনে নেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেবার বিষয়টি আইনগতভাবে স্বীকৃত প্রক্রিয়া - কিন্তু অনুমতি আদালতের মাধ্যমে নিতে হয় না। পারিবারিক সদস্যদের সামনে অনুমতি দিলেই চলে। আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজ-ব্যবস্থায় এই স্বীকৃতি নেয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটা শুধু যে অকল্পনীয় তা নয়, রীতিমত অপমানজনকও হতে পারে।

ফলে এটা অনানুষ্ঠানিক ও গোপনীয় হওয়াই বাস্তবসম্মত। ফলে পরবর্তী যেকোনো সময়েই প্রথম স্ত্রী 'বিনা-অনুমতি'তে স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করেছে এমন অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন, যা স্বামী মহাশয়ের দ্বিতীয় বিবাহকে জেলের ভেতরে উদযাপন করতে বাধ্য করতে পারে। মূলত প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বিবাহের দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে একটা পরিচিত ঘটনা হলেও মধ্যবিত্ত/শিক্ষিত সমাজের কাছে এটা একটা ছিছি নামক প্রতারণা, অগ্রহণযোগ্য। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি দেয়াটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না, বরঞ্চ অনুমতি দেয়াটাই প্রমান করে প্রথম স্ত্রী কোনো না কোনো নিগৃহের শিকার হচ্ছেন। দ্বিতীয় বিবাহকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীর উপরে পরিচালিত সে নির্যাতনকে বরঞ্চ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয়।

স্ত্রীর সাথে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হওয়ার পরেই কেবল একজন পুরুষ পুন:বিবাহ করতে পারবেন - এমন আইনই কেবল থাকা উচিত। একই সাথে একাধিক স্ত্রী পালনের মত বর্বর আইন অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করা হোক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।