আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘাম ঝড়িয়ে জিততে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে

ওয়ানডেতে জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে এই আপাত সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। জয় পেলেও বেশ কয়েকবারই হারের আশঙ্কা ভর করেছিল উইন্ডিজ শিবিরে। শেষ পর্যন্ত দুই উইকেটের ঘাম ঝড়ানো জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুভসূচনা করতে পেরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ীরা।
১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টানা দুই ওভারে জনসন চার্লস ও ড্যারেন ব্রাভোর উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের দীর্ঘদেহী পেসার মোহাম্মদ ইরফান। তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস। ১৭তম ওভারে গেইলকে আউট করে পাকিস্তান শিবিরে আশা জাগান সাইদ আজমল। ৩৯ রান করে ফিরে যান গেইল। পরের ওভারেই রামনরেশ সারওয়ানকেও সাজঘরমুখী করেন ওয়াহাব রিয়াজ।

সেসময় উইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৮১ রান।
দলীয় ৯৪ রানের মাথায় স্যামুয়েলসও সাজঘরে ফিরলে হয়ত জয়ের আশাই ভর করেছিল পাকিস্তান শিবিরে। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন কাইরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভো। ৩৬তম ওভারে এই জুটি ভেঙ্গে আবারও ম্যাচের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেন ওয়াহাব রিয়াজ। ৩০ রান করে ফিরে যান পোলার্ড।

পরের ওভারে ব্রাভোকেও সাজঘরে ফিরিয়ে যেন অসম্ভবকেই সম্ভব করার চেষ্টা করছিলেন রিয়াজ। জয়ের জন্য তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। এসময় সুনিল নারাইনের খেলা ১১ রানের ছোট্ট ইনিংসটিও ক্যারিবীয়দের জন্য অনেক কিছু। জয় থেকে মাত্র ছয় রান দূরে থাকার সময় আউট হন নারাইন। আবারও যেন পেন্ডুলামের মতো দুলে ওঠে ম্যাচের ভাগ্য।

তবে বাকি কাজটা নির্বিঘ্নেই সেরে ফেলতে সক্ষম হন কেমার রোচ ও দিনেশ রামদিন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।