আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গিন্নির মাথা ঠান্ডা রাখার কিছু টিপস!!!!!!!!!!! (আগ্নেয়গিরি সুপ্ত রাখার উপায়)

আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেবো না ভুলিতে - E-mail ID: aznabi_aznabi@yahoo.com যারা দিল্লির লাড্ডু খেয়ে পস্তান, আর যারা না খেয়ে পস্তান - সবারই উপকারে লাগতে পারে। সমস্ত বিশ্বের বেশীর ভাগ পুরুষরাই সব সময় বউয়ের ঝাড়ির উপর থাকে। কারন পুরুষরা বেশীরভাগ সময় সংসারে মনোযোগী হয় না। সাড়াদিন পুরুষরা অসংখ্য ভুলভাল করে থাকে, যা তাতের স্ত্রীদের মনপুত হয় না। আর বউ যখন ঝাড়ি দেয় তখন পুরুষরা যে কত অসহায়, তা কেবল ভুক্তভুগি পুরুষ মাত্রই জানে।

তাই বিবাহিত অবিবাহিত সব পুরুষদের জন্য আমার সামান্য কিছু টিপস, যদি কেউ উপকৃত হন আওয়াজ দিবেন দয়া করে। টিপস নং ১: নারী হচ্ছে স্বর্বংসহা অর্থ্যাৎ এরা সব কিছু সহ্য করতে পারে, শুধু একটি বিষয় কখনই সহ্য করে না। সেটা হল ভালবাসার ছলনা। এটা কখনই কোন নারী সহ্য করবে না। অতএব সাধু সাবধান।

বিয়ের পরে নো আংকু পাংকু। আপনার যদি বিয়ের আগে অন্যকারো সাথে কোন রকম লটর পটর থেকে থাকে, তবে বিয়ের প্রথমেই বউকে জানিয়ে দিন সম্পর্কের গভীরতার শেষ সীমানা পর্যন্ত। সাথে সাথে বউয়ের মাথায় ইন্সটল করে দিন - তুমি হচ্ছ বর্তমান (বিয়ে করা বউ), সে ছিল অতীত (বিয়ে ছাড়া বউ)। তুমি হচ্ছ রিয়েল, সে হচ্ছে ভার্চুয়াল। তার জায়গায় সে, তোমার জায়গায় তুমি।

তুমি জিন্দা, সে মুর্দ্দা। শুধু ইন্সটল করলেই হবে না খেয়াল রাখবেন, নিজের ভুলে কখনও যেন ভাইরাস ঢুকিয়ে না দেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই মনে রাখবেন, বউয়ের যদি পুরানো কোন লটর পটর থেকে থাকে তা অবশ্যই একইভাবে পজেটিভলি নিবেন। অতীত নিয়ে নোংরা ঘাটাঘাটি থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। তবে বিষয় গুলোকে দু'জনে পুরোপুরি পজিটিভলি নিতে চেষ্টা করবেন।

স্রেফ ফান হিসেবে নিতে পারলে খুবই ভাল। এক্স লাভারের সাথে সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি যোগাযোগ রাখতে পারেন, বউকে সবসময় হাল্কা আপডেট জানিয়ে রাখবেন। আর কেউ যদি নিজের কন্যার চেহারা, স্বভাব, চালচলন, কথাবার্তার মধ্যে এক্স লাভারের ছায়ালিপি দেখতে পান, ভয়ের কিছু নেই - আমার মত বউকে জানিয়ে দিন। (তবে সাবধান কোন নারী কখনই একাজটি করতে যাবেন না দয়া করে। তাহলে সীতার মত অগ্নীপরিক্ষার সম্মুখীন হবেন নিশ্চিত)।

এ জায়গাটা ঠিক রাখতে পারলে বাকি সব কিছু সহজেই আপনার নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। দেখবেন আপনার বউ তখন অল্প চাহিদাতেই তুষ্ট, আপনার জন্য বহু কষ্ট নি:শব্দে সহ্য করে যাচ্ছে। টিপস নং ২: প্রতিদিন অফিস থেকে লাঞ্চ টাইমে একবার এবং বাসায় আসার আগে (বিনা প্রয়োজনে, খালি খালি) গিন্নিরে ফুন দিবেন, কুশলাদি জানতে চাইবেন এবং সবশেষে বলবেন কি আনতে হবে? কিছু আনতে বললে, অবশ্যই আনবেন। না বললেও কিছু আনবেন ইন্সট্যান্ট খাওয়া যায় এমন কিছু। বাসায় ঢুকলেই পাবেন একটি শান্তিময় পরিবেশ, গিন্নির ঠান্ডা মেজাজ।

দেখবেন আপনার জন্য কিছু নাস্তাও রেডি আছে্। এইবার যদি কিছু আনার কথা বলে, উল্টা দিবেন হাল্কা হাল্কা ঝাড়ি। আর কোনদিন বাসায় ফিরতে দেরী হবার সম্ভাবিলিটি দেখলে অবশ্যই তা সন্ধার আগে গিন্নিকে ইনফর্ম করবেন ফেরার সম্ভাব্য টাইম জানিয়ে। (চাইলে এই ফাকে পুরানো প্রেমিকার সাথেও দেখা করে আসতে পারেন, সন্দেহ করবে না)। টিপস নং ৩: গিন্নি যখন বাচ্চাদের শাষন করবে, আপনি যথা সম্ভব চুপচাপ থেকে দর্শকের ভূমিকা পালন করবেন।

গিন্নি ভুল শাষন করলে, বাচ্চাদের আড়ালে তাকে বলবেন। বাচ্চাদের সামনে যে কোন ধরনের মতবিরোধ প্রকাশ হতে বিরত থাকবেন। এটা বাচ্চা এবং গিন্নি উভয়ের মানসিকতার উপর তীব্র প্রভাব বিস্তার করে। আজ আপাতত এ পর্যন্তই। যারা এখনও বিয়ে করেন নাই, তাদের জন্য - (বিবাহিতরাও দেখুন) বিয়ে করার আগে নিজের কিছু যোগ্যতা যাচাই করে নিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।