আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংসদদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত

সাংসদদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ সরাসরি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসব অপরাধের মধ্যে আছে—হত্যা, দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণা। নবম জাতীয় সংসদের ১৪৯ জন সাংসদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। সাতটি বিভাগের ৪২টি জেলায় ৪৪টি দল আলোচনার মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করে।

এসব দলে অংশ নিয়েছে ৬০০ জন। তাঁদের মধ্যে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও অন্যান্য পেশাজীবী ছিলেন। নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত সাংসদদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ স্থানীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও বদলি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রভাব সৃষ্টি করেন। ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ সাংসদ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা অন্যের লাইসেন্স ব্যবহার করে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করেন। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত সাংসদদের মধ্যে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ঢাকা শহরে নিজের বা স্ত্রীর নামে একাধিক জমি ও ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

গবেষণায় আলোচিত ১৪৯টি আসনের সাংসদদের মধ্যে পুরুষ ১৪১ জন (৯৪.৬%) ও নারী সদস্য আটজন (৫.৪%) এবং সরকারদলীয় সাংসদ ১৩৬ জন (৯১.৩%, যা সরকারদলীয় মোট সদস্যের ৪৩.৯%) ও বিরোধীদলীয় সাংসদ ১৩ জন (৮.৭%)। সরকারদলীয় সাংসদদের মধ্যে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী ২৭ জন (১৮.১%)। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.