আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়াবেটিস এবং এক্সারসাইজ

ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে ভুগছে না এমন পরিবারের সংখ্যা দিনে দিনে খুব কমে আসছে, যদি আপনি এমন পরিবারের সদস্য না হয়ে থাকেন তবে আপনি ভাগ্যবানদের একজন বলাই যায়, কেননা এই ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে শরীরের প্রধান প্রধান অঙ্গকে আক্রমন করে! আমাদের টার্গেট হবে, যদি ডায়াবেটিস হয়েও যায়, তবুও রক্তে গ্লুকোজ এর লেভেল মেইন্টেইন করে একে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা, কেননা রক্তে গ্লুকোজ স্বাভাবিক থাকলেই আমরা এসব কপ্লিকেশান কে কমিয়ে রাখতে পারবো! শারীরিক ব্যয়াম এই ব্যপারে খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। যদি রেগুলার ব্যয়াম করা যায় তবে ডায়াবেটিস কে বেশ ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব! প্রশ্ন হচ্ছে ব্যয়াম কিভাবে করা যেতে পারে, আর এটা আসলে কিভাবেই বা কাজ করে!! কিভাবে করা যেতে পারেঃ প্রত্যহ সকালে বা বিকালে (অথবা দিনের কোনো একটা অংশে, কেননা চাকরীজীবিদের জন্য ঠিক সময় তারা নিজেরাই বের করতে পারবেন), ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট করে হাঁটা বা দৌড়ানো যেতে পারে। এই সহজ ব্যয়ামই সকল ডায়াবেটিক কপ্লিকেশান কে থামিয়ে রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করে, আর শুধু ডায়াবেটিস ই নয়, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এর উপরে আর কিছু নেই! কিভাবে কাজ করেঃ এটা বেশ ইন্টারেস্টিং, প্রথম জানতে হবে ডায়াবেটিস এ কি হয়! এখানে ইনসুলিনের অভাবে রক্তের গ্লুকোজ কোষের ভিতরে ঢুকতে পারে না, তাই রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান বেড়ে যায়! আর রক্তের গ্লুকোজ কোষের ভিতরে যেতে GLUT নামের সারফেস প্রোটিন কাজ করে, যেটার অনেক গুলো টাইপ রয়েছে এবং এটার সব গুলো টাইপই কাজ করতে সরাসরি ইনসুলিন এর উপর নির্ভরশীল শুধুমাত্র GLUT 4 কাজ করে ব্যয়ামের মাধ্যমে, যখন মানুষ শারীরিক শ্রম করে তখন এই গ্লুট ৪ এর মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজ কোষের ভিতরে ঢুকে। এভাবেই ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজ এর পরিমান কমে গিয়ে ডায়াবেটিস এর কমপ্লিকেশান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এতো গেলো সাধারন কথাবার্তা ডায়াবেটিস নিয়ে, এবার যাওয়া যাক ব্যয়াম নিয়ে কিছু একদম নতুন রিসার্চ এর সম্বন্ধে! কিভাবে এক্সারসাইজ করলে ডায়াবেটিস ভালো নিয়ন্তনে থকবে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে! ইন্টারভাল এক্সারসাইজ অর্থাৎ বিরতিপূর্ণ ব্যয়াম চলমান ভাবে ব্যয়ামের থেকে ভালো। চলমান ব্যয়াম বলতে বলা হয়েছে হাঁটা বা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে একই গতিতে বা একই ভাবে চলা, আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এভাবেই ব্যয়াম করে থাকি, কিন্তু নতুন রিসার্চে বলা হচ্ছে, গতির তারতম্যের মাধ্যমে ডায়াবেটিস এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে আরো ভালো রাখা সম্ভব! কিভাবে করতে হবে? হাঁটা বা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে ৫ মিনিট একটু জোরে যেতে হবে, পরবর্তি ৫ মিনিট একটু ধীরে, অনেকটা স্বাভাবিক হাঁটার মতো, আমাব পরবর্তি ৫ মিনিট জোরে, এভাবে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট ব্যয়াম করতে হবে। কিভাবে এই বিশেষ ব্যয়াম কাজ করে:: যখন আমরা স্বাভাবিক গাভে হাঁটি, তখন আমাদের ব্রেন, হার্ট এর নার্ভাস সিস্টেম একটা সিঙ্ক্রোনাইজেশান এর ভিতরে কাজ করে, হঠাৎ ই যখন কোনো গতির পরিবর্তন হয়, তখন, আমাদের ব্রেন এবং নার্ভাস সিস্টেমে পরিবর্তন আসে, প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেম ডাউন রেগুলেটেড হয়ে, সিমপ্যাথেটিক সিস্টেম আপ রেগুলেটেড হয়, ফলে, মাংস পেশী তে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, হার্ট দ্রুত কাজ করে, আর কোষে GLUT 4 রেগুলেটারি প্রোটিন আপ রেগুলেটেড হয়ে রক্তের গ্লুকোজকে কোষের ভিতরে নিয়ে যায়। এভাবেই কাজটা হয়, কিন্তু একই গতিতে গেলে সাধারনত কাজটা একবারই হয়, আর ইন্টাওরভাল মেথডে ব্যয়াম করলে এটা প্রতিবার গতির পরিবর্তনের সাথে হয়ে থাকে, ফলে কিছু মাস পর আমরা ডায়াবেটিসকে আরো ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রিত আকারে পাই, আর সবচেয়ে বড় যেই ব্যপারটা তা হলো, এতে বার বার GLUT 4 ডাউন এবং আপ রেগুলেটেড হওয়ার কারনে কিছু মাস পর থেকে কোষের ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ও বাড়তে থাকে,অর্থাৎ অন্যান্য GLUT প্রোটিন গুলাও আস্তে আস্তে কাজ করা শুরু করে! ফেসবুকে ফলো করুন - fb.com/drnhsarja টুইটারে ফলো করুন - @drnhsarja

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.