আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি দেখা হয়ে যায়! (অত্যাধিক ভাবে +১৮)

আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন......... গতকাল রাতটা বেশ উদ্দাম ই ছিলো বলা চলে। ইম্পেরিয়াল হোটেলের বল রুমের ড্যান্স মদ মেয়ে মানুষ কি ছিলো না। তাঁর পরেও আমি যেন কেমন দূরে দুরেই ছিলাম। রাতে যখন ম্যানিলা আমার ঘরে এলো, আমি চেষ্টা করেছিলাম উদ্দাম ভাবে তাঁর থেকে মধু আহরণ করতে। তাঁর স্বন যুগল, নিতম্ব, অন্য যেকোন সাধারণ পতিতার চেয়ে কোমল ই ছিলো।

অন্তত যারা আমার রুমে রাতের পর রাত কাটিয়েছিলো তাদের সাথে তুলনা করলে। তাঁর উর্বর্ষী নভী, আর মেদহীন তল পেটের সুক্ষ কেশ রাজি ইঙ্গিত করে পতনের। অন্যান্য রাতের মতোই আমার পতন ঘটেছিলো। ম্যানিলা চেষ্টা করেছিলো তাঁর সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে তার মহামান্য অতিথি আর হোটেলের মালিকদের খুশি করতে যারা তাকে পাঠিয়েছিলো আমার কাছে। ম্যানিলা হিস্পানিক।

আর আমি ঢাকার খাশ বাঙ্গাল। ইংরেজী টাই ভরসা। এ ছাড়া কাজের সুবাদে সামান্য জার্মান ও শিখেছিলাম এক সময়। আর ম্যানিলা জানে শুধুই স্প্যানিশ। পেশার খাতিরে সামান্য ইংরেজী শব্দ শিখেছে।

কিন্তু ও দিয়ে কমিউনিকেট করা যায় না। মাংসাশী পুরুষের জন্য ম্যানিলা আদর্শ। সুন্দরী ,সুশ্রী, আবেদনময়ী। রুমে এশে যখন আধো আলোয় তাঁর অন্তর্বাস ছুড়ে দিয়ে। আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো অন্য কেউ হলে সেখানেই মরে যেতো, উত্তেজনায়।

কিন্তু আমি স্থির ছিলাম। কেন জানি না। সারা রাত তাকে দুমড়ে মুচড়ে গেছি যন্ত্রের মতো। হয়তো বরাবরের মতোই শুধুই নিয়ম রক্ষার খাতিরে। ভোর হয়ে এসেছে।

মাঝ রাতে ম্যানিলা কখন চলে গেছে জানি না। জানার প্রয়োজন ও বোধ করি না। এখন আমায় যেতে হবে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিতে। আমি সে রাতের পর থেকে আর নারী দেহে শান্তি খুজে পাই নি। সে অনেক দিন আগে।

যে রাতে আদ্রিতা আমায় প্রত্যাক্ষান করেছিলো। সে আমায় প্রশ্ন করেছিলো আমার যে কোন একটিকে বেছে নিতে হবে। হয় ওকে নয়তো আমার পি এইচ ডি। আমি সে দিন দোটানায় ভুগি নি। সরাসরি বলেছিলাম পি এইচ ডি করাটাই এখন আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য।

সে ঝড় জলের রাতে আদ্রিতা আমায় ছেড়ে চলে যায়। আমি জানতাম যখন আমি বড় হবো তখন মেয়ে মানুষ হবে আমার হাতের ময়লা। হাতে টাকা থাকলে কত মেয়েই তো আমার মোটা কানা খোরা বন্ধুদের সাথে ফ্ল্যাড করে বেড়ায়। একবার কে এফ সি এর চিকেন একটা মেয়ের স্বতীত্ত্বকে এনে দেয় প্রেমিক নামের খদ্দেরের বিছানায়। আমিও তেমন ই হতে চেয়েছিলাম।

১.৫ বছর পর যখন মাস্টার্স করার জন্য ফিনল্যান্ড এলাম। তখন যেন একটু কেমন কেমন লাগতো। পড়াশোনার চাপ আর রক মিউজিকের ভিড়ে আমি আদ্রিতাকে ভুলে যেতে চাইলেও আমি অনেকের মাঝে ওকেই খুজে ফিরতাম। এর পর যখন পি এইচ ডি করতে মার্কিন দেশে এলাম। আদ্রিতা অনেকটা নীরবেই সরে গিয়েছিলো আমার কাছ থেকে।

আমার মন থেকে। সে দিন রাতে যখন আমার থিসিস মেট ক্রিস্টিনা আমার ঘরে এলো। আমি ওকে চটকে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বার বার ওর দেহে আমি আদ্রিতার গন্ধ খুজে ফিরেছি। আমি কখনো আদ্রিতার সাথে শুই নি।

তাই জানিনা কেমন কোমল ওর স্তন অথবা সে। বুকের মাঝখানের উষ্ণ উপত্যকায় কোন তিল আছে কি না। তার ভগ্নাঙ্কুরের উষ্ণতায় আমি কখনো সাঁতার কাটি নি। সে দিন রাত শেষ আমার বার বার মনে হচ্ছিল আমি কি সত্যিই আদ্রিতাকে ভালবাসতাম না তার শরীরটুকুই সব ছিলো। ওর গায়ের গন্ধ, ওর স্তন, ওর চুম্বন, ওর নগ্ন নিতম্ব, দীর্ঘাকার গীব্রা আর মেদহীন কটিদেশের কথা আমি বার বার ই ভেবে গিয়েছি।

যার দেখা আমি কোনদিনও পাই নি। আমি ছবি আঁকতে পারি না। তাই মকবুলের ছবিতে অথবা নেরুদার কবিতায় বার বার খুজে ফিরেছি আদ্রিতাকে অথবা তার নগ্ন শরীর কে হিংস্র শৃগালের মতো করে খুবলে খাবার তাড়নায়। আমি কোনদিন কনডম ব্যবহার করি নি। কেন যেন একটা বাজে অনুভুতি হবার ভয় থাকে।

আমার এইডস নেই। যারা আসে তারাও এইডস মুক্ত। আমি অসংখ্য নারীর সাথে রাত কাটিয়েছি। পতিত হয়েছি তাদের মাঝে। তাদের কেউ পেশাদার কেউ অপেশাদার।

কিন্তু আমার তৃষ্ণা মেটে নি। মাঝে একবার দেশে ফিরে এসেছিলাম আদ্রিতার খোজে ১২ বছরের পুরোনো সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে নয়। হয়তো শরীরের লোভে। একবার ওর কোমলতা পরখ করে দেখবো বলে। ওদের ফ্যামিলি আগের বাসায় থাকে না।

কোথায় আছে তা ও কেউ জানাতে পারে নি। শুনেছিলাম কোন এক এলাকার ওয়ার্ড কমিশনারের সাথে ওর বিয়ে হয়েছিলো। ৪ স্বন্তানের মা এখন ও। ওদের এক ফ্যামেলি ফ্রেন্ডের বিয়ের ভিডিওতে দেখেছিলাম আদ্রিতাকে। মোটা ড্রাম হয়ে গেছে।

কিন্তু মুখের হাসি বলে দেয় ও সুখে আছে। এ আদ্রিতা সে আদ্রিতা নয় যাকে পাবার লোভে অথবা খাবার লোভে যাই বলুন না কেন। হাজার মাইল পারি দিয়েছিলাম। এই জান্নাতুল মাওয়া আদ্রিতার বেগমের সাথে আমার কখনো দেখা হয়ে উঠে নি। কথাও না।

আ আদ্রিতা আমার আদ্রিতা নয়। আমার আদ্রিতা আমার সুখ আমার আনন্দ নিয়ে হারিয়ে গেছে মহাকালের মাঝে, আমার ই ভুলে। আজও আমি অকৃতদার। নামের আগে একটা ‘ডক্টর’ লেজ লেগেছে এর বাইরে কিছুই আমার বাড়ে নি। হয়তো আরো অনেক নারী আমার বুকে তার নিশ্বাস ফেলবে।

কিন্তু আদ্রিতা হারিয়ে গেছে আমায় এক অতৃপ্ত আত্মা করে দিয়ে। তাই আজ ও আমি ঘুরে বেড়াই পৃথিবীর পথে পথে আদ্রিতার খোজে। যদি একদিন দেখা হয়ে যায় এই পথে...। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।