আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'রোম যখন পুড়ছিলো , নিরো তখন বাঁশী বাজাচ্ছিলো' আর 'রামু যখন পুড়ছিল,সাংসদ তখন গুমাচ্ছিল '

কথিত আছে,'রোম যখন পুড়ছিলো , নিরো তখন বাঁশী বাজাচ্ছিলো'। ৬৪ খ্রিস্টাব্দে ঘটে যাওয়া রোমের সেই ভয়াবহ অগি্নকাণ্ড আর নিরোর বাঁশি বাজানো নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে আজও বিতর্কের শেষ নেই। সমসাময়িক রোমান ঐতিহাসিক টেসিটাসের মতে, ভয়াবহ ওই অগি্নকাণ্ড প্রায় ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল। রোমের ১৪টি জেলার মধ্যে ১০টি জেলা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রাচীন রোম নগরীতে এই ভয়াবহ অগি্নকাণ্ডের জন্য প্রায় সব ঐতিহাসিকই একচেটিয়াভাবে নিরোকে দায়ী করে থাকেন।

এ সম্পর্কে সবচেয়ে প্রচলিত মিথ হচ্ছে, নিরো নিজেই রোম নগরীতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ওই ভয়াবহ অগি্নকাণ্ড তিনি তার প্রাসাদে বসে দেখছিলেন এবং মনের সুখে ভায়োলিন বাজিয়ে তা উপভোগ করেছিলেন! কিন্তু গবেষকদের নিরলস গবেষণায় এ কথা কতটুকু সত্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ টেসিটাসের মতে, এ দুর্ঘটনার জন্য কোনোভাবেই নিরোকে দায়ী করা যায় না। এটি স্রেফ গুজব। গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা সদরে দুষ্কৃতকারীদের একাধিক দল বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের শত বছরের পুরোনো ১২টি বৌদ্ধবিহার ও মন্দিরে আগুন লাগায়।

পুড়িয়ে দেয় বৌদ্ধপল্লির ৪০টির মতো বসতবাড়ি। ভাঙচুর করে শতাধিক ঘরবাড়ি। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী এক তরুণের ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম) পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননাকর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে—এমন অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে ওই হামলা চালানো হয়। রামুর ঘটনার পর টেকনাফ, উখিয়া, পটিয়ায় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধবিহার ও বাড়ি এবং একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালায় দুষ্কৃতকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় সাংসদ লুত্ফুর রহমানকে দোষারোপ করে বলেন,'“যখন একটা জায়গায় এ রকম ঘটনা ঘটতে থাকে তখন একজন জনপ্রতিনিধি বাড়িতে গিয়ে ঘুমায় কী করে?” “এটাই বড় প্রশ্ন।

এর জবাব বিএনপিকেই দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রশ্ন- আপনার লাঠিয়াল বাহিনী যারা বিরোধী দলের হরতালে শৃঙ্খলা রক্ষা করে তারা কি রামুকে রক্ষা করতে পারলো না , পুলিশ বাহিনী বা কি করছিল? সাংসদ তো গুমাচ্ছিল আর লাঠিয়াল বাহিনী ধামা ধাঁর দিচ্ছিল নাকি? রোম-নিরুর ঘটনার মত আমরা সাংসদের ঘটনা গুজব হিসেবে উরিয়ে দিতে চাই না,দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুণ , অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনুন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।