আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ল্যাপটপে আগুন লাগতে পারে কিনা বা ল্যাপটপ বিস্ফোরিত হতে পারে কিনা জানুন

প্রথমে ল্যাপটপের কোন কোন অংশ বেশি গরম হয় আসুন জেনে নিই ১. প্রসেসর ২. ব্যাটারি প্রসেসর গরম হতে পারে ১. যদি কুলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে যায়। ২. এয়ার ভেন্টিলেটর দিয়ে গরম বাতাস বাইরে বের হতে না পারলে ব্যাটারি গরম হতে পারে ১. ল্যাপটপ থেকে পর্যাপ্ত এয়ার ভেন্টিলেশন না হলে ২. স্বাভাবিক চার্জ এবং ডিসচার্জ হলে আগুন যেভাবে ধরেঃ যদি কুলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে যায় অথবা এয়ার ভেন্টিলেটর দিয়ে গরম বাতাস বাইরে বের হতে না পারে তাহলে সিপিউর চার পাশে অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সময়ে সাধারণত ল্যাপটপ নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় গরমে যন্ত্রাংশ গুলোকে গলে যাওয়া থেকে রোধ করতে। প্রায় প্রতিটা ল্যাপটপেই এই টেম্পারেচার লিমিটিং সার্কিট থাকে। তবে এই মেকানিজম যদি ঠিক মত কাজ না করে তবে ল্যাপটপ গরম হতে হতে আগুন পর্যন্ত ধরে যেতে পারে।

বর্তমান ল্যাপটপ গুলোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এই ব্যাটারি গুলোর মধ্যে উচ্চ চাপে একটি কনটেইনার থাকে যার ভিতরে ধাতব কয়েল এবং দাহ্য লিথিয়ামযুক্ত তরল থাকে। ব্যাটারি তৈরির সময় কিছু ধাতব টুকরা ছিটকে পড়ে এই তরলের উপর ভাসতে থাকে। ব্যাটারি তৈরিকারকরা লিথিয়ামযুক্ত তরলে এই ধাতব টুকরা ছিটকে পড়াকে রোধ করতে পারেনা কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ধাতব টুকরার পরিমান ও আকার কমিয়ে আনতে পারে। এছাড়া প্রতিটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ধনাত্মক চার্জযুক্ত অংশ এবং ঋণাত্মক চার্জযুক্ত অংশের মাঝে পৃথকীকরণ পর্দা থাকে যাতে একে অপরকে স্পর্শ না করে।

ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারির ক্ষেত্রে, যদি ব্যাবহারের কারনে ব্যাটারি বেশি গরম হয়ে যায়, ধাতব টুকরাগুলি ছোটাছুটি করতে থাকে অনেকটা ফুটন্ত পানিতে চাল যেভাবে ছোটে সেভাবে। ধাতব টুকরা গুলি পৃথকীকরণ পর্দার খুব কাছে চলে যায় এবং ছিদ্র করে দেয়। যার ফলে সর্ট-সার্কিট হয়। ব্যাটারি সর্ট-সার্কিট হলে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা বিপদজনকঃ ১. যদি এতে স্পার্ক হয় তবে দাহ্য তরল জ্বলে উঠতে পারে এবং আগুন ধরে যাবে। ২. যদি ব্যাটারির ভিতরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায় তাহলে উচ্চ চাপের কারনে ব্যাটারি বিস্ফোরিত হতে পারে।

৩. যদি ব্যাটারির ভিতরের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ে তবে ভিতরের তরল লিক করবে। ব্যাটারি ও সিপিউ গরম হওয়া রোধ করার উপায়ঃ ১. ল্যাপটপ কখনই ফোম, চাদর কিংবা আলগা কাপড়ের উপর রাখা যাবেনা। ২. বিছানার পর যদি রাখতেই হয় তবে তলায় ট্রে রাখতে হবে। ৩. বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত বাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. নিয়মিত এয়ার ভেন্টিলেটরের ধুলো পরিষ্কার করা।

৫. কুলিং ফ্যান ঠিক মত কাজ করছে কিনা পর্যবেক্ষণ করা। ৬. কুলিং প্যাড ব্যবহার করতে পারলে আর ভাল হয়। ৭. ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলো ব্যাটারি রি-কল করে। তখন কোম্পানিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারি বদলিয়ে দেয়। তাই কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করা উচিত।

২০০৬ সালে Dell, Sony Vaio, and Apple ল্যাপটপের বেশ কিছু ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারি বদলানো হয়েছিল পুনরায় সংস্থাপনের মাধ্যমে। ব্যাটারিগুলোর উচ্চ তাপে বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বর্তমানেও প্রাইই দেখা যায় ল্যাপটপের অগ্নিকান্ডের ঘটনা। এখনই সময় আপনার ল্যাপটপটি নিয়ে সতর্ক হওয়ার। Link 1 Link 2 Link 3 Link 4 link 5 link 6 link 7 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.