আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারী-নাম ব্যবহারকারী পুরুষ নীলু দাস

আর কতো রক্ত দেবে বাঙ্গালী । ঈদ সংখ্যা ‘বেগম’ ছিল সাধারণ পাঠকসমাজে সবচেয়ে প্রিয়। এর বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রথম দিকে এক ফরমাব্যাপী লেখিকাদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ওই লেখিকারা ছিলেন বলতে গেলে অমরযৌবনা। একই বয়সের (প্রথম যৌবনের) একই ছবি তাঁদের ছাপা হতো বছরের পর বছর।

বেশির ভাগ লেখিকা ছিলেন ভুয়া, নারী-নাম ব্যবহারকারী পুরুষ। এঁদের মধ্যে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন নীলু দাস। পরে জানা গেছে, তাঁর এক বউদির ছবি ব্যবহার করতেন তিনি। নীলু দাস (১৯৩০ - ২০০৩) যিনি ষাট শতকের গল্পকার নীলু দাস নামেই পরিচিত । ষাটের পুরো দশক নীলু দাস বাংলাদেশের নামকরা ও প্রতিষ্ঠিত পত্র-পত্রিকাগুলোতে ( সমকাল, মাহে-নও, মোহাম্মদী, আজাদী, সৃজনী, পূর্বদেশ, মেঘনা, ময়ূরকণ্ঠী, বেগম প্রভৃতি) গল্প লিখেছেন।

নীলু দাসের লেখার বিষয়বিন্দু মানুষ, মানুষের অসহায়তা ও অসংগতি। দলিত মানুষেরা বার বার তঁার গল্পের প্রধান চরিত্র হয়েছে। নীলু দাসের সকল চরিত্রই বাস্তবতাকে অধিকতর মেনে নিয়েছে। বাস্তব প্রেক্ষাপটের নিষ্ঠুর আবর্তে পড়ে ওরা দলিত হয়েছে, বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বলয় থেকে কেউ বেড়িয়ে আসতে পেরেছে, কেউ পারেনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।