প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যই বুঝি এই রাতারগুলে ! চমৎকার এক মনোরম সকালে সিলেট থেকে আমরা নয় বন্ধু (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের) যাত্রা শুরু করলাম রাতারগুলের সন্ধানে, আম্বরখানা থেকে রওয়ানা দিলাম সি.এন.জি দিয়ে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর আমরা পৌঁছলাম রাতারগুলে। এরপর কিছু রাস্তা পায়ে হেঁটে গেলাম,কাচা রাস্তা ভালই লাগছিল, সাথে হালকা পানি, বিশ্বাস করেন ভারত বাংলাদেশ সীমানার পাহাড়গুলো এতো সুন্দর লাগছিল যে আমাদের কাছে মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য বুঝি এখানেই । পাহাড় গুলোর ফাকে ফাকে ঝর্ণাগুলুও অসাধারণ লাগছিল। এরপর যাত্রা শুরু করলাম নৌকা দিয়ে, একটি বড় নৌকা ঠিক করলাম আমরা।
তারপর শুরু করলাম নতুন যাত্রা, নৌকা অনেক দূর যাওয়ার পর সামনেই দেখা যাচ্ছিল আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গা, চমৎকার এই বনটি যেন সৃষ্টিকর্তার নিজের হাতেই আঁকা ! অসাধারন লাগছিলো দৃশ্যগুলো, ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম বানরের খেলা আর অনেক প্রজাতির সুন্দর সুন্দর গাছপালা। সবচেয়ে মজার বেপার হল গাছ গুলু এতো চমৎকার ভাবে ঢাল পালা ছড়িয়ে আছে তাও আবার পানির মাঝে হাত পা খোলে, এক কথায় অসাধারন !!!!!!! এককথায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন এই রাতারগুল। চমৎকার কিছু সময় পার করার পর বিকেলে আমরা সব বন্ধুরা বাসায় ফিরলাম। সুযোগ পেলে একবার রাতারগুলে ঘুরে আসবেন মন্দ লাগবেনা। সবাই ভালো থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।