আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুওওওওওওও, তুমি বোঝ আমাকে ........

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন ........ আমার বন্ধু ভাগ্য সবসময় অতিরিক্ত ভালো। কখনোই আমার এমন কোন বন্ধু হয় নাই যে কিনা আমার ক্ষতির কারন। আমার বন্ধুগুলা একেকটা কোহিনুর হীরা কোহিনূর হীরাগুলার মধ্যে একটা হীরা যেইটা আমার কাছে সবচেয়ে দামী, অন্যগুলাও দামী কিন্তু এইটা একটু বেশীই দামী, নাম যুথী। ফুলের নামে নাম, কাজও তেমন। ফুলের মতোই নিজে সবসময় হাসে আর মানুষকে হাসাতে থাকে।

আজ যুথীর জন্মদিন। আমার সাথে রাগ করে মোবাইল অফ করে রেখেছে উইশও করতে পারতাছি না। আমাদের বন্ধুত্বের বয়স ১০ পেরিয়ে ১১ চলছে, এখনো সেই আগের মতোই চকচকে। ওর কাছে আমি যেমন কিছু চাই না, যুথীও তেমন। আমার সব পাগলামি, ছাগলামী, আতলামী সব সহ্য করে এমন মানুষ এই দুনিয়াতে এই একজনই ছোট্ট একটা মফস্বল থেকে এই বড় শহরে এসে প্রথম প্রথম কিছুই তাল মেলাতে পারতাম না।

ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয় তখন। কালো, চিকনা পাটকাঠী, বেখেয়ালী, টিঊবলাইট একটা মেয়ে যার সাথে কেউ মিশতো না। কারন আমি না পারতাম ওদের মতো করে কথা বলতে না পারতাম তাল মেলাতে। তখন ইচ্ছা করেই চুপচাপ হয়ে গেসিলাম। এরি মধ্যে ১ম টার্ম পরীক্ষা এপ্রিল মাসে, যুথীর সিট পড়ে আমার পিছনে।

আমি এই মেয়ের দিকে শুধু তাকায় থাকতাম। বারবি ডলগুলার মতো সুন্দর একটা মেয়ে। কথা বলতাম না কখনোই কিন্তু বার বার তাকিয়ে দেখতাম। ৩ টা পরীক্ষা পার হলে ৪ নাম্বার পরীক্ষার দিন লিখছি হঠাৎ কে যেন পিছনে কলম দিয়া গুতা দিল। স্যাররে পাশ কাটায়া পিছনে তাকাইলাম দেখি বারবি ডল আমারে ডাকে !!!! জিগাইলো এইটা পারো? আমি তো তখন পারলে পুরা খাতাটা দিয়া দেই।

আসলে আমি এইটা বাদে আর পারতামি বা কি??? যুথী কিন্তু আমার এই "পরের তরে নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দেয়া" দেখে আমার প্রেমে পড়ে গেল। পরীক্ষার পর দেখি আমার লগে বয় আমি তো পুরাই অস্থির !!! যাই হোক, সেখান থেকেই শুরু এরপর আর থামাথামি নাই। ওদের বাসায় এতো যাইতাম যে আন্টি আমার জন্য ভাত বাইড়া রাখতো, জানে আসমু ওদের বাসার দারোয়ান জানে আমি ওর খালাতো বোন আমরাও ৩ বোন, ওরাও ৩ বোন। যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন ওর ভাই হয়, আমি বাসায় আইসা আম্মারে জালাইয়া অস্থির বানাইয়া ফালাইছিলাম একটা ভাইয়ের লিগা। ২ বছর জ্বালানোর পর ক্লাস নাইনে যখন পড়ি তখন আমারো ভাই আসে আমাদের মধ্যে এতো মিল যে আমরা তাই কাউণ্ট করা ছেড়ে দিয়েছি ও আমাকে আমার মতো কইরা বুঝে।

জানে আমি অনেক বেখেয়ালী আর অনেক কিছু মনে রাখতে পারি না, তাই আমারে সবসময় মাফ কইরা দেয় প্রথমে ২টা ঝাড়ি দিব, তারপর হাইসা দিবো। মাঝে মাঝে আবার কই, তুই এত কালো ছিলি, খ্যাত ছিলি !!! এইটা ছাড়া ক্ষেপি না যে......... যুথী, তোকে তোর কারনেই এতোটা ভালোবাসি। আমি আমার ভালোবাসাটা দেখাতে পারি না সবসময়, তাই হয়তো, আমি জানি তুই কখনো ভাবিস না এসব। তারপরও নিজের কাছে অদ্ভুত লাগে কেন দেখাতে পারি না !!!! তোকে যে কেউ আমার মতো ভালোবাসে না রে জান......... আমি তোকে আমার মতো করে ভালোবাসি। তোর জন্য এইটা সেইটা যে পাগলামীগুলা করি সেগুলা আমার ভালোবাসা।

হুট করে তোরে দেখতে তোর বাসায় চলে যাওয়াটা আমার ভালোবাসা। তোর কাছে নিজের কথাগুলা শেয়ার করাটাই আমার ভালোবাসা। তোকে নিয়ে ভাবাটাই আমার ভালোবাসা। তোর জন্য কিছু করতে চাওয়াটাই আমার ভালোবাসা। আমি জন্মলাজুক, ভালোবাসার কথা মুখ দিয়ে বলতে লজ্জা পাই এটাও আমার ভালোবাসাই বলতে পারিস!!!!! আজকে লিখে দিলাম।

গতবার হাতে বানানো কার্ডটার লেখাগুলা পড়ে শশী খুব হাসছে, বলছে আপু, আপনি এখনো বাচ্ছা আছেন X#!!!!! তাই এইবার এই ব্যাবস্থা !!! এই জন্মদিনের উইশ, " যত বুড়া হইতাছো ততই তোমার পার্টির ইচ্ছা বেশি বেশি জাগতাছে। কালকে তোমার বিশেষ দিন হইতে পারে বাট এইজন্য কি আমারে ক্লাস অফ কইরা সাতসকালে তোমার বাসায় গিয়া ডিম পাড়ন লাগবো??? আবার রাগ দেখাও!!!! তোমার বয়স বাড়তাছে আর তুমি শিশু হইতাছো??? আর কি কমু??? মোবাইল খোলো তাড়াতাড়ি !!!!! প্লিজজজজজ........ !!!! একবার হেফি বাদ দে কমু !!!" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.