আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

An artist ........ একটি ব্লগীয় টিভি সিরিজ (experimental ) episode: ০3

যার মনে যা ফাল দিয়ে উঠে তা............. মনে হছ্ছে বিদেশী সিনেমার কোন সেট চারিদিকে ধোয়া আর ধোয়া , কিছু স্পষ্ট দেখা যাছ্ছে না , মাঝখানে একটা দোলনা দেখতে পেলো রাতুল সেখানে একটা বাচ্চা ছেলে বসে আছে। পাশে একজন বেহালা বাজাছ্ছে অদ্ভুত সুন্দর সুর তার। রাতুল সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ,বাচ্চা টাকে তার খুব পরিচিত মনে হতে থাকে কিন্তু সে মনে করতে পারে না কে সেই। সামনে যেতে গিয়ে সে থেমে যায় স্বছ্ছ একটা কাচের দেয়াল , রাতুল আর আগাতে পারে না। অনেক ধোয়া এক জায়গাতে জড়ো হছ্ছে সেটা আস্তে আস্তে একটা নারীর রুপ নিলো , অসাড় হয়ে তাকিয়ে আছে রাতুল ।

কে এটা কে, দেখে নুহা মনে হছ্ছে সে এখানে কি করছে ???? বাচ্চা টা হঠাৎ কাদতে শুরু করল ব্যপার কি, নুহা যতই এগিয়ে আসছে বাচ্চাটা ততো জোড়ে কেদে উঠছে। একটা হাসি দিয়ে নুহা এগিয়ে যেতে থাকল বাচ্চাটার কাছে , এ কী নুহা থেমে গেলো হাত টা বাড়িয়ে দিলো সেখান থেকে একটা সাপ বেয়ে বেয়ে বাচ্চাটার দিকে আসতে লাগলো , বাচ্চাটা চিৎকার থামালো না বরং আরো বাড়িয়ে দিলো। সাপটা ও ক্রমে ক্রমে তার দিকে এগিয়ে আসছে............ রাতুল হঠাৎ করেই বাচ্চাটাকে চিনতে পারল এটা আর কেউ নয় সে নিজে , সে কাচের দেয়াল টা ভেঙে ছুটে যেতে চাইল, কিন্তু সাপটা ততোক্ষণে দোলনায় থাকা রাতুল কে জড়িয়ে ফেলেছে রাতুল লাফ দিয়ে উঠলো ঘুম থেকে, কী স্বপ্ন ছিলো এটা ???? এত অদ্ভুত কেন । ঘড়ি টা দেখলো সে ৮:৩০ বাজে । তার উঠতে দেরী হয়ে গেছে রাত এ বাসায় আসতে দেরী হয়ে গিয়েছিল তার নুহা কে দেখতে গিয়ে ।

তাড়াতাড়ি সে রেডি হয়ে গেলো, অফিস থেকে অলরেডি কয়েকবার কল এসেছে । মিরপুর বেড়ীবাধের ওখানে বিশাল ভীড় , ঠিক বেড়ীবাধ এর সামনেই একটা লাশ পড়ে আছে পরনে শুধু প্যান্ট লাশ টা উপুড় হয়ে পড়ে আছে , পিঠে ধারালো একটা কিছু দিয়ে লেখা Artist 1 : Audience 0 , পুলিশে খবর দেয়া হয়েছে .......... কামরান আর আসিফ একসাথে যাছ্ছে , আসিফ চুপ করে বসে আছে কামরান বলল, কেস টা আস্তে আস্তে অনেক সিরিয়াস হয়ে গেছে , পর পর তিনটা মার্ডার । কিন্তু এটা artist এর করা কিভাবে শিওর হলেন , আসিফ প্রশ্ন করল । যেখান থেকে খবর টা আসল , সেখান থেকে বলা হয়েছে ভিকটিম এর পিঠে লেখা score line একটা, মানে আসিফ জিজ্ঞেস করল। মানে আর কিছুই না লাশ এর গায়ে ধারালো কিছু দিয়ে লেখা Artist 1 : Audience 0 ।

ওহ আমরা তাহলে Audience , বলল আসিফ । মনে মনে সে চিন্তা করল Artist ধীরে ধীরে creative হছ্ছে । ঘটনাস্থলে গিয়ে আসিফ দেখল লাশ টা , তখন কামরান এসে বলল ভিকটিম এর নাল তারিক একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করে , তার বস এসেছে বলল কালকে ওভার নাইট করেছিল । তারিক এর ফ্যামিলির লোকজন ও আসছে। আর কিছু জিঙেস করল আসিফ, হ্যা ভিকটিম এর পকেটে একটা ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গেছে দেখেন, ড: রেজা একজন psychiatrist হুমম, তারিক তাহলে ওনার কাছে যাওয়ার জন্য appointment নিয়েছিল হয়ত বলল কামরান।

হয়তো বা না, কারন তারিক এর মানিব্যাগ , মোবাইল কিছুই পাওয়া যায় নি জাষ্ট এই কার্ড টা পাওয়া গেছে , এটার মানে অন্য কিছু হতে পারে। মানে ??? কামরান জিঙেস করল, আসিফ বলল আরো একটু সময় হলে জানা যাবে রাতুল তার বসে সাথে দেখা করে, বেরিয়ে পড়ল , সিরিয়াল কিলিং নিয়ে কভার করতে হবে । তার এখন আসিফ কে খুজে বের করতে হবে , SPI কেস টা হাতে নিয়েছে এখন তাদের সাথেই রাতুল কে থাকতে হব। বসের কড়া নির্দেশ এই সিরিয়াল কিলিং রিলেটেড যাবতীয় নিউজ তার বসের চাই। রাতুল গেল আসিফ এর অফিস এ যদি তার দেখা পাওয়া যায় ।

নুহার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হল, কারন রাতে ফোন এ কথা বলতে বলতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল। ছেলেটা কেমন জানি , অপরিচিত কিন্তু কিছু একটা আছে তার মধ্যে । জিমি ছেলেটার নাম ফ্যাশন ডিজাইন এর উপর পড়াশোনা করছে , ঢাকাতেই থাকে বাবা মা এর সাথে । নুহা রাতুল কে ফোন দিল , কিন্তু রাতুল ফোন ধরল না অফিস এ মনে হয় । ইমতি কে কল দেওয়া যায় ।

ইমতি ফোন ধরল , নুহা কিছুক্ষন কথা বলল, তারপর রেখে দিল । তখনই মেসেজ আসল একটা জিমির । জিমি তাকে তার ডিজাইন করা কিছু ড্রেস এর ইমেজ পাঠালো , ছেলেটা ভালো ডিজাইন করে। office e call u later, লিখে রাতুল নুহা কে একটা এস এম এস পাঠিয়ে দিল। আসিফ আসলো রাতুল এগিয়ে গিয়ে বলল হ্যালো আমি একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ , স্যার আমার অভিজ্ঞতা অনেক কম , জাষ্ট শুরু করলাম তাই আপনার কাছে আাসা, যদি কিছু সিখা যায় ।

আসিফ বলল ফাইন , কিন্তু আমাদের এখানে তো এরকম কোন ব্যবস্থা নেই । স্যার আমি জাষ্ট আপনার সাথে থেকে কিছু শিখতে চাই , আমাকে কিছু দিতে হবে না । আপনার personal assistant এর মত ভাবতে পারেন স্যার , প্লিজ স্যার অনেক কিছু শিখার আশা নিয়ে আসলাম স্যার মানা করবেন না । আসিফ বলল ঠিক আছে , তাও আমাকে একটু চিন্তা করতে দাও এমনিতেই একটা কেস নিয়ে ব্যস্ত আছি । তাও তুমি আমার সাথে যোগাযোগ করে দেখা করো ।

রাতুল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল ,তার বসের কথায় কাজ হয়েছে, সাংবাদিক বললে নিজে থেকে কেউই খবর দিতে চাবে না , তার চেয়ে আন্ডারকভার প্রাইভেট ডিটেকটিভ ই ভালো । ড: রেজা বসে আছেন তার চেম্বার এ , এখন রোগীর খুব একটা প্রেশার নেই । তিনি তার ফোন খুলে গতরাতের তোলা নিজের ছবি দেখতে লাগলেন , নিজেকে অন্য রূপে দেখে তিনি আর্শ্চয হয়ে গেলেন । হঠাৎ তার এ্যাসিসটেন্ট আসল বলল স্যার কয়েক জন রোগী জমা হয়েছে দেখবেন নাকি । হ্যা পাঠিয়ে দাও।

মানুষ ও আজব একটা প্রাণী সবাই কোন না কোন সাইকোলজিকাল রোগ এ আক্রান্ত কিন্তু স্বীকার করতে চায় না, পড়ে আর না পেরে ডক্টর দের কাছে আসে । যেমন সে নিজেও একজন cross dresser কিন্তু তাকে দেখে সেটা বুঝার কোন চান্স নেই । যাই হোক একজন রোগী আসলেন , প্লীজ বসুন বললেন ড: রেজা । এটাই মজার ব্যাপার , আমি এখন ডিটেকটিভ বুঝলি । হুমম বলল নুহা , পাশে ইমতি ও তাতে সাড়া দিল ।

ক্রাইম রিপোর্টার হতে গিয়ে একেবারে ডিটেকটিভ ভালোই মজা নিতেসো তুমি মামা বলল ইমতি । আরে বসের অর্ডার কি করব , আর বুঝিসই তো এসব ব্যাপার মিডিয়া তে কেউ সহজে দিতে চায়না , মানুষ জন প্যানিক হয়ে যাবে । তোর কি খবর বল , আমার টা তো শুনলি রাতুল বলল নুহা কে । আমার খবর আবার কি , ভালোই তোমরা তো এখন ঔই ভাবে সময় দাও না , তাই আমার নিজের ই বন্ধু খুজে নিতে হয় । বাহ তাই নাকি ??? আমরা সময় দেই না , তাহলে তোমার সাথে আমরা কারা বলল ইমতি ।

বাদ দে , একটা পোলা পটাইশস বুঝলাম এখন পোলা টা কে বল আমাদের ও তো তোর বন্ধু হিসেবে জানার অধিকার আছে , তাই না কি নাম । ওর নাম জিমি , জিমি ওহহ জিমি তো পোষা কুত্তার নাম হয় sorry for that হেসে বলল ইমতি । ব্যাড জোক তোমাদের আর কিছু বলব না মুড টাই অফ করে দিলা । না বললে ভালো , আমাদের ডিটেকটিভ সাহেব সব বের করে ফেলবে , কিরে কি বলিস রাতুল । রাতুল হাসলো হ্যা আজকে থেকেই তোর ঔ জিমির ব্যাপার এ স্পাইগিরি শুরু করে দিব ।

you are most welcome বলল নুহা , ছেলেটা অনেক কুল আর humor ভালো। ওহহ আজকেই একটা জোকসের বই কিনে পড়া শুরু করব বলল ইমতি । আছ্ছা তোরা কি কোন কারনে জেলাস বলে উঠল নুহা ???? ইমতি আর রাতুল একজন আরেকজন এর দিকে তাকিয়ে হাসলো , নুহার দিকে তাকিয়ে রাতুল বলল দেখ শুধু ছেলেটার জন্য কষ্ট হছ্ছে আমাদের , তোর মত একটা পেইন পাইলো এই আর কি । কী আমি পেইন না উফফ ড: রেজা বের হবেন এমান সময় আসিফ এলো তার কাছে , তার নিজের কার্ডটা এগিয়ে দিল । একটু কথা বলতে চাই একটা কেস এর ব্যাপার এ।

রেজা তার ব্যাগ টা তার এ্যাসিসটেন্ট কে দিয়ে বললেন তুমি নিচে যাও আমি আসছি । thanks সময় দেবার জন্য বলল আসিফ। আসলে আমি এসেছি , আজকে সকাল এ একটা ডেডবডি পাওয়া গেছে সেই ভিকটিম এর কাছ থেকে আপনার একটা ভিসিটিং কার্ড পাওয়া গেছে। কি নাম ভিকটিম এর জিগেস করলেন রেজা , তার নাম তারিক , এই নাম এ কি কেউ এসেছিল আপনার কাছে বা আপ্যয়েন্টমেন্ট নিয়েছিল বলল আসিফ । আসলে সেটা চেক করে বলতে পারব লিস্ট টা আমার ল্যাপটপে আছে ।

সেটাতো আমার ব্যাগ এ , চলুন নিচে যাই । নিচে নেমে রেজা তার এ্যাসিসটেন্ট কে খুজে পেলেন না । সে লাপাত্তা পুরাই , ব্যাপার টা আসিফ কেউ ভাবিয়ে তুলল । ড: রেজা পাগলের মত খুজতে লাগলেন তার এ্যাসিসটেন্ট কে , ফোন ও দিলেন কিন্তু ফোন ও বন্ধ । আসিফ বললেন অস্থির হবেন না হয়তো আশে পাশে কোথা ও গেছে চলে আসবে।

রেজার মাথাটা বনবন করে ঘুরছে কেন না , লিস্ট এর পাশাপাশি তার তোলা অনেক ছবি ও ঔখানে আছে, যা বের হতে দেওয়া যাবে না কোন ভাবেই সে যে একজন cross dresser । অমিত দৌড়াছ্ছে খুব জোড়ে , সে হাপাছ্ছে রাস্তার মানুষ জন ও তার দিকে তাকাছ্ছে অবাক ভাবে । তার কাধে ড: রেজার ব্যাগ সেটাতে তার ল্যাপটপ আছে , জিনিস টা তার খুব দরকার ছিলো তাই চুরি করা ছারা আর কোন উপায় ছিলো না। ড: রেজার গোপন পরিচয় তাকে জানতেই হবে । কত দিন ধরে আমাদের কথা হছ্ছে নুহা কে জিগ্যেস করল জিমি ।

এই তো দুই সপ্তাহ । হুমম একটা কথা বলি আগেই বলা উচিত ছিলো , তোমার গলার ভয়েস তটা খুব সুন্দর । খুব ভালো মিথ্যা বলতে পারো তুমি জিমি , আমার গলা মোটেও সুন্দর না । নুহা জানে তার গলা স্বর ফোনে ভালো শোনায় না অন্তত ইমতি আর রাতুল এর মতে । জিমি বলল বাহ স্বীকার করলে তাহলে , সরি I was kidding তোমার ভয়েস টা আসলেই সুন্দর ..............।

এ কদিনে আর কোন ঘটনা ঘটেনি , তার পরও আসিফ খুব চিন্তিত কোন কিছুই বের করতে পারছে না , হঠাৎ করেই আবার দেখা যাবে আরেকটা খুন । যেভাবেই হোক ধরতে হবে এই কিলার টা কে , নিজেকে কেন artist বলে প্রকাশ করতে চাইছে সে , মানুষ কে খুন করা টা কি কোন শিপ্লের পর্যায়ে পড়ে ???? দরজায় বেল দিলো , আসিফ উঠে গিয়ে দরজা খুলল। একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে। ভিতরে আসতে পারি বলে উঠল সে । আসিফ বলল হ্যা শিওর , কি দরকার।

আমার নাম জন , আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই আপনাকে। হ্যা বলো, জন বলে উঠল আমি Artist আপনি যাকে খুজে বেরাছ্ছেন , আমিই সেই মানুষ। আসিফ চুপ করে রইল গম্ভীর হয়ে জিগ্যেস করল মানে ??? মানে আমিই Artist আপনি বুঝতে পারছেন না ??? বলে ছেলেটা আরো নার্ভাস হয়ে গেল । আসিফ বলল okay cool down তোমার সব কথা আমি শুনব , কিছু খাবে চা কফি । একটু পানি খাবো , ফাইন আসিফ উঠে তার কাজের লোক টা কে বলল পানি নিয়ে আসতে, স্যার নেন পানি বলল আবুল আসিফ এর কাজের লোক ।

আসিফ বলল হ্যা ছেলেটাকে দাও , কাকে ??? বলে উঠল আবুল আমি তো ভাবলাম আপনার জন্য পানি আনতে বললেন । আরে সামনে বসে আছে সোফায় ছেলেটা তাকে দাও , তার জন্যই তো বললাম । আবুল তাকিয়ে দেখল সামনে সোফায় কেউ নেই সে বলল স্যার এখানে তো আমি আর আপনি ছাড়া আর কেউ নেই সামনের সোফা তো ফাকা । মানে আসিফ আবার তাকালো সোফার দিকে সেখানে ছেলেটা মানে জন বসে আছে সে আসিফ এর দিকে মুচকি হেসে বলল ALMOST GOT YOU !!!!!!!!!!!!!!!!!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।