আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

KISS(কিস) প্রিন্সিপ্যাল (সকলের জন্য নহে)।

জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। এখানে যা যা পাবেনঃ ⃝ কেন শেখা প্রয়োজন? ⃝ KISS আপনাকে কিভাবে উপকার করবে? ⃝ KISS কিভাবে প্রয়োগ করবেন? KISS একটি এভ্রিবিয়েশন, এর মানে Keep It Stupid Simple অথবা Keep It Simple, Stupid. কেন শেখা প্রয়োজন? বলা চলে আধুনিক কালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে KISS প্রিন্সিপ্যাল ব্যাপক ভাবে সফল। বেশীরভাগ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা ডিভোলাপারদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে, তারা কোনও কোড করতে গেলে বিষয়টাকে অনেক জটিল করে ফেলে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা ডিভোলাপারদের প্রথম টার্গেট থাকে একটা জটিল সমস্যাকে প্রথমে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নেয়া।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই কাজটাই প্রতি ১০ জনের ৯ জনই করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে একটা সহজ সমস্যার সমাধানে অনেক জটিল কোড অহরহ দেখা যায়। এই সমস্যার কারণে কোডারগণ ছোট সমস্যার এমন বড় কোড করা শুরু করেন যে টাইপ করতে করতে উনি আসলে কোন সমস্যার সমাধান করতে বসেছিলেন সেটাই ভুলে যান। এক্ষেত্রে ডেভোলাপারগন যদি একটি বড় সমস্যাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কোড শুরু করেন তাহলে তাঁর জন্য অনেক সহজ হয়ে যায় ব্যাপারটা। KISS আপনাকে কিভাবে উপকার করবে? KISS প্রিন্সিপ্যাল মেনে চললে আপনি, • অল্প সময়ে অনেক বেশি সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবেন। • অনেক জটিল এবং বড় সমস্যার কোড অল্প কয়েক লাইনে করে ফেলতে পারবেন।

• আপনার কোডের মান অনেক ভালো হবে। • আপনি অনেক বড় সিস্টেমের আপডেট অনেক সহজে করে ফেলতে পারবেন। • আপনার কোডটি অনেক ফ্লেক্সিবল, সহজে পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন যোগ্য হবে। • কোডের ক্ষেত্রে সফলতার হার আপনার ধারণাকে ছাড়িয়ে যাবে। • পরিশেষে বলা চলে আপনার কোড যেহেতু stupid simple, অনেক বড় প্রজেক্টে চাকুরী ভাগিয়ে নিতে আপনার কোনও সমস্যাই হবে না।

KISS কিভাবে প্রয়োগ করবেন? KISS প্রয়োগের অনেক গুলো ধারা আছে, যদিও সহজি-করন ব্যাপারটি বলতে অনেক সহজ লাগে, কিন্তু একটা জটিল জিনিসকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা অত সহজ ব্যাপার নয়; এখানে আপনার ধৈর্যটা পরশ পাথরের মত কাজের। • প্রথমে নিজেকে সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনুন, নিজেকে সুপার জিনিয়ার ভাবার কিছুই নেই। এই ভুলটা বেশির ভাগ মানুষই হরহামেশা করে থাকেন, তারা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গর্বে ফুলে ফেঁপে থাকেন; খুবই ক্ষতিকর জিনিস এটা। জেনে রাখুন, আপনার কোড যেহেতু হবে stupid simple তাই এই কোড করার জন্য আপনার আলট্রা জিনিয়াস হওয়ার কোনও দরকার নেই। • পুরু কোডটি ভাগ-উপভাগ-উপউপভাগে বিভক্ত করে নিন যেন প্রতিটি ভাগ একটি অথবা যথা সম্ভব কম লাইনে শেষ হয়ে যায়।

• সমাধানের পদ্ধতিটি যথা সম্ভব সাধারণ রাখুন, যেন ৩০-৪০ লাইনের মধ্যে একটি কোডের শ্রেণীর কাজ শেষ হয়ে যায়। • প্রথমে সমস্যাটি হাতে কলমে সমাধান করুন এবং পরে কোড শুরু করুন। • কোড দেখে কোনও প্রকারেই ভয় পাওয়ার সুযোগ নেই, প্রয়োজনে Refactoring করে কোডের অভ্যন্তরীণ স্ট্রাকচারে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন। • সব কথার শেষ কথা হল সমস্ত কোডটাকে অত্যন্ত সহজ রাখতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত সহজি-করন করতে গিয়ে আপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ মস্তিষ্কটাকে চাপে ফেলে দেবেন না যেন। মাতব্বরি শেষ, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই KISS প্রিন্সিপ্যাল কি শুধুমাত্র সি-প্রোগ্রামিং বা জাভা প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? এক কথায় “বিলকুল না”।

এই একই প্রিন্সিপ্যাল আপনার প্রেম, ভালবাসা, এমন বিয়ে অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে, নিঃসন্দেহে। পাদটীকা: আজকে ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রথমে যে নিউজটা পেলাম সেটা হচ্ছে, আমার দুঃস্বপ্নের সি-প্রোগ্রামিং এর দুইটা কোর্স আর কখনো নিতে হবে না, মানে পাশ করে গেছি; সেই উত্তেজনার ফসল এই লুলধর্মী শিরোনাম সম্পন্ন পোস্ট। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।