আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার পুলিশ গণ পিটুনির শিকার টাঙ্গাইলের বাসাইলে পুলিশের পিটুনিতে একজন নিহত \ বাসাইলে সকাল সন্ধ্যা হরতাল

টাঙ্গাইলের বাসাইলে পুলিশের পিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে সুন্না গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বাসইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, বাসাইল থানার এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সিভিল পোশাকের পুলিশের একটি দল উপজেলার সুন্নাহ গ্রামের এক জুয়ার আসরে হানা দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ারীড়া পালিয়ে যায়। এসময় রাস্তা থেকে লাল মিয়া নামের এক পথচারীকে ধরে পুলিশ বেধরক পিটুনি দেয়।

এক পর্যায়ে পুলিশের পিটুনি খেয়ে লালমিয়া পুকুরে ঝাপিয়ে পড়লে সেখানেও পুলিশ তাকে পেটাতে থাকে। এসময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সেখানেই মারা যায় লাল মিয়া। তার বাড়ি সুন্নাহ গ্রামে। পিতার নাম ইনতাজ আলী। এর পর লালমিয়াকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শরিফুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডা. শরিফুর রহমান জানান, লাল মিয়াকে হাসপাতালে আনার আগেই সে মারা গেছে। এঘটনায় বিুব্ধ এলাকাবাসী চার পুলিশকে গন পিটুনি দিয়ে একাট বাড়িতে তালা বন্ধ করে রেখেছে। গণ পিটুনি শিকার পুলিশ সদস্যরা হলো এ এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ এস আই নুরুজ্জামান, কনস্টেবল সারোয়ার ও শামীম। এলাকাবাসী গণপিটুনির পর তাদেরকে একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানারা বেগম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান সুন্না গ্রামে গিয়ে সুষ্ঠ এবং উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেছে।

এই ঘটনায় ুব্ধ এলাকাবাসী লাল মিয়া হত্যার প্রতিবাদে বাসাইল শহরে বিােভ মিছিল সমাবেশ করেছে। একই সময় বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে। এঘটনায় বাসাইলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাসাইলে অবস্থান করছে। এদিকে পুলিশের পিটুনিতে নিহতের ঘটনায় বাসাইল থানার এ এস আই সুরুজ্জামান , এ এস আই জাহাঙ্গীর আলম এবং কনস্টেবল সারোয়ার ও শামিম কে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

সখীপুরে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত: বখাটেকে জুতাপেটা সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি \ টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার পর এসিড নিেেপর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বখাটে রুহুলকে জুতাপেটা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত বুধবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রহুল আমিন, টুটুল ও শাহপরান ওই ছাত্রীর গতিরোধ করে। এ সময় বখাটেরা ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, নানা কটুক্তি ও কুপ্রস্তাব দেয়। এ ঘটনা কাউকে বলে দিলে তাকে এসিড নিেেপর হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা আবদুস সবুর রবিবার সখীপুর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেেিত ২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় ক্যম্পাসে ওই শালিসী বৈঠকে বখাটে রুহুল আমীনকে জুতাপেটা, কান ধরে ওঠ-বস ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর চাচা (অভিযোগকারী) আবদুস সবুর বলেন, “বখাটে রুহুলকে প্রকাশ্যে শালিসী বৈঠকে জুতাপেটা করায় আমরা খুশি হয়েছি। ” প্রধান শিক শুকুর মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে। রবিবার বিকেল পাঁচটায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভায় অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা ও কান ধরে উঠবস করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আফতাব উদ্দিন বলেন, উভয়প আমার আত্মীয় হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে এ বিচারে বাদী প খুশি হয়েছে। স্থানীয় কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল মিয়া জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু মীমাংসা দেওয়া হয়েছে। ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু স্টাফ রিপোর্টার \ টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. নুরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিা বিভাগ আয়োজিত উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহন করে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সি.এস.ই) বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগ।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিা বিভাগের সহকারী পরিচালক ড. পিনাকী দে এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, ডীন লাইফ সায়েন্স অনুষদ ড. এ. কে. এম. মহিউদ্দিন, গনিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের একাডেমী উপদেষ্টা ছামাদ আবেদীন প্রমূখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উদ্বোধনী খেলায় ৫-০ গোলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সি.এস.ই বিভাগ জয় লাভ করে। খেলার প্রথমার্ধে সি.এস.ই বিভাগ ৪ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে সি.এস.ই বিভাগ আরো ১টি গোল করে।

গোলদাতারা হলো সি.এস.ই বিভাগের মনোয়ারা হোসেন, শাহীন খান, ওবায়দুল্লাহ, কামরুজ্জামান, ও ওবায়দুল হক। শেষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান বিভাগ আপ্রাণ চেষ্টা করেও গোল পরিশোধ করতে পারে নি। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল আন্তঃ বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ টি বিভাগ অংশ গ্রহন করবে। ভূঞাপুরে মসজিদের নামে টি আর প্রকল্প আতœসাৎ ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি \ ভূঞাপুর উপজেলার চেংটা পাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠ মসজিদ উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু কাব উন্নয়নের নামে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে স্থানীয় এমপি’র বিশেষ বরাদ্ধকৃত কাবিটা প্রকল্পের নগদ টাকা ও চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২০১০/১১ অর্থ বছরে চেংটা পাড়া ঈদগাহ মসজিদ মাঠ উন্নয়নের জন্য এক ল টাকা এবং একই গ্রামের বঙ্গবন্ধু কাসের নামে এক ল টাকা বরাদ্দ করা হয়।

ওই প্রকল্প দু’টির সভাপতি ছিলেন যথাক্রমে মো. মিজানুর রহমান ও মো. ফিরোজ মিয়া। তারা ওই দুটি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ এনে এলাকাবাসী জেলা দূর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর তদন্ত না হতেই ২০১১/১২ অর্থ বছরে আবার একই মসজিদের নামে বিশেষ বরাদ্ধের ৩মেঃ টন চাল শফিকুল ইসলাম বাদল সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কাবে ২মেঃ টন চাল সভাপতি মিজানুর রহমান বরাবর বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ১ অক্টোবর সোমবার টাঙ্গাইল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী উপ পরিচালক সৈয়দ সামছুল আরেফিন সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে দেখেন মসজিদের সামনে নামে মাত্র একবার মাটি ফেলানো হয়েছে। কিন্ত বঙ্গবন্ধু কাবের কোন অস্তিত পাওয়া যায়নি।

এব্যপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এরকম অভিযোগ পেলে আমরা প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।