আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

" ঝুঁকির মুখে বাংলা দেশ-ও "

বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বেই যান-বাহন ও বিভিন্ন কল-কারখানা থেকে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণও এর জন্য দায়ী। আর জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দুর্যোগের সবগুলো কারণ মেলালে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। বৈশ্বিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে জলবায়ু পরিবর্তন। আর তাই এখনই জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানুষকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নেয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের সমূহ ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে।

ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে এর প্র্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে,অতি বৃষ্টি ঘন ঘন বন্যা ও অত্যধিক বজ্রপাত এর অন্যতম কারন । গত রমজান মাসে তারাবী নামায পড়ার সময় ব্রজ্রপাতে ১৩ জন মুসল্লীর এক সাথে মৃত্যু বরনের ঘটনাটি বড় মর্মান্তিক । এ নিয়ে পত্র-পত্রিকা ব্লগে অনেক লেখা-লেখি হয়েছে । এবং তা লেখা-লেখিতেই সীমাবদ্ধ । বিদেশে তথা উন্নত বিশ্বে ১০ এর অধিক লোকের জমায়েত এর জন্য হল ,মসজিদ- মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা, নির্মানের জন্য অবশ্যই লকেল গভর্মেণ্টের অনুমতি নিতে হয় ।

লকেল গভর্মেণ্ট বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করে দেখেন বিশেষ করে প্র্রবেশ -প্রস্তানের পথ সুপরিসর এবং বিদ্যুতের ব্যবহারে আর্থিং ব্যবস্তা মান সম্মত তা হলেই ,লকেল গভর্মেণ্ট লোক-জমায়েত হতে পারে বলে, অনুমতি প্রদান করেন । কিন্তু বাংলাদেশে এই বিধি ব্যবস্তা থাকলেও এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে । প্র্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর সভার আবাসিক ঘর বাড়ী গুলোর ময়লা আর্বজনা বা পয় নিষ্কাষনে সুব্যবস্তা আছে কি-? না তারও তদারকি নাই বললেই চলে । জানা মতে বাড়ী ঘরের ময়লা আর্বজনা গুলো ঘর বাড়ীর সীমানায় ঠেলে দেওয়া হয় । আক্ষেপের সাথে বলতে হয় বাঙলা দেশে জলবায়ু বায়ু দুষনের প্রভাব বেশ ভালো ভাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে ।

সরকারের দায় সারা গুছের কাজ প্রতিকারের ব্যবস্তা, কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ । বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই বলছিল , দেশের ভরাট নদ-নদী গুলোর খনন কার্যে বদ্ধ পরিকর । এগুলো আশায় গুড়েবালি । এখন সরকারের নিজের ঘর ও ক্ষমতা সামলোনো দাঁয় হয়ে দাড়িয়েছে । বজ্রপাত আমাদরে দেশে ফ্রেবুয়ারী মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

এব্যযাপারে জনৈক সাংবাদিক বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিদপ্তরের কর্মকতাকে প্রতিকারের ব্যবস্তায় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ কললে তিনি এব্যায়াপারে বলেন, আমাদের কিছু করনীয় নেই ,শুধূমাত্র আগাম বার্তা আমরা দিতে পারি , এটা প্রাকৃতিক । এবং আরোও.. শাহজালাল বিজ্ঞান প্র্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক প্র্রভাষক বলেন, দেশে মোবাইল ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে ,ব্রজ্রপাত তারও একটি কারন । ঝড়-বৃষ্টির সময় মোবাইল ফোন বন্দ রাখার পরামর্শ দেন । ঢাকায় রাস্তা-ঘাটে কাজে কর্মে লোকজন নাকে রুমাল বেধে কাজ করতে দেখা যায় । এমন ট্রাফিক পুলিশরাও হেলমেটের সাথে রুমাল ব্যবহারে করে থাকেন ।

ঢাকায় একটি সাদা সার্ট একদিন ব্যবহারে য়োগ্য হলেও পশ্চিমা বিশ্বে এই সার্টটি ৪/৫ দিন পরা যায় । আমাদের সরকার গনহারে যানবাহন চলাচলের ,দুষনযোগ্য কলখারখানার ,পাইকারী ব্রীকফিল্ডের , অনুমতি দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ কে বসবাসে ঝুঁকির মধ্যে দাঁড় করানো হয়েছে। আমাদের সবাই কে সচেতন হতে হবে , আর কিছু না পারি লেখা-লেখির মধ্যে দিয়ে সরকার তথা সমাজ ব্যবস্তার দায় বদ্ধতার ইংগিত করতে পারি আমরা । (দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ওয়েব সাইট থেকে তথ্য সংগৃহীত) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।