আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনকাম ট্যাক্স আদায়ে বর্তমান সরকারের ভুমিকা।

বেপোয়া মানুষ বর্তমান সরকার ইনকাম ট্যাক্স আদায়ে সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্রামহীন যুদ্ধ করে যাওয়া হবে অতিরিক্ত টাকা এবং গোপনীয় অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে। সর্বনিম্ন কর রেয়াত হচ্ছে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা। এর উপরে যারা আয় করবেন তাদের কর দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উপাদন হচ্ছে আয়কর।

এর বিপরীত চিত্রও আছে। অনেক আয়কর দাতা আছেন যারা নিবন্ধিত হলেও আয়কর দেন না। অর্থাৎ তারা ভুয়া আয়কর দাতা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ পর্যন্ত দশ লাখ ভুয়া টিআইএন নম্বর সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থ বছরের শেষ দিকে এর সংখ্যা আরও বেশী হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

সূত্রমতে গত ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে দেশের প্রকৃত করদাতার সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার। পাঁচ বছরের ব্যবধানে এর সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রলায়। সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ লাখ নতুন করদাতা খুঁজে বের করা। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি দোকান চিহ্নিত করা এবং তাদের নুন্যতম করের আওতায় নিয়ে আসা। প্রতিটি শহরে এবং গ্রাম অঞ্চলে বিল্ডিং সংবলিত বাড়ী চিহ্নিত করা।

ঐ সব বাড়ীর মালিকরা ঠিকমত কর দেয় কিনা তা যাচাই বাছাই করা। প্রস্তাবিত ২০১৩-১৪ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন নতুন করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কর আওতা সম্প্রসারণ ও কর রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার এশিয়ার মধ্যে সবোর্চ্চ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর আদায়ের প্রবৃদ্ধিতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। আসন্ন অর্থ বছরে লক্ষ্য পূরণে এনবিআর কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এগুলো হচ্ছেঃ রাজস্ব বান্ধব কর আইন ও বিধি এবং এসআরও প্রনয়ন, কর প্রশাসন বিষয়ক সংস্কার, করসেবা ও কর শিক্ষা, কর অডিট পদ্ধিতির সংস্কার ও অডিটনীতি পদ্ধতি প্রণয়ন, অটোমেশন, শক্তিশালী এনফোর্সমেন্ট ও গোয়েন্দা তল্লাশি ব্যবস্থা, তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থাপনা সংযোগ করে কর ফাঁকি ও কর পরিহার মোকাবেলা, লজিস্টিক সার্পোট বৃদ্ধি, জনবল ও তাদের দেশ বিদেশে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা, সদস্য ও কমিশনার গণের পদমর্যাদা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহি মূলক ও দুর্নীতি মুক্ত কর প্রশাসন নিশ্চিত করা। একই সাথে রাজস্ব রুপকল্প ২০২১ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ৬টি বিষয় সামনে নিয়ে নতুন কর্ম কৌশল গ্রহণ করতে হবে বলে এনবিআর মনে করছে। এগুলো হচ্ছে- করভিত্তি সম্প্রসারণ, কর সচেতনতা উদ্বুদ্ধ ও করদাতা গণকে উদ্বুদ্ধকরণ, কর সেবা বাড়ানো, আধুনিক ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রবর্তন, কর অডিট ও তদন্ত কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ এবং কর আইনে রাজস্ব বান্ধব পরিবর্তন। এনবিআর অর্থমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

আয়কর প্রদানে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরনে ২১ জেলায় মেলাকরার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সাধারণ মানুষকে কর নেটে আবদ্ধ করতে ৩ হাজার টাকা থেকা কমিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশের দোকানদার ও বিল্ডিং মালিকদের আয়করের আওতায় আনতে সার্ভে শুরু হয়েছে। ইনকাম ট্যাক্স আদায়ে বর্তমান সরকারের এ পদক্ষেপগুলো যদি বাস্তবে রুপদান করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক উপকৃত হবে আর এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।