আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভাবনা ও মূল্যায়ন

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। প্রবীণ জননেতা ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিসভায় যাননি। কেন যাননি জানি না। তবে না গিয়ে ভালো করেছেন। আর আত্মমর্যাদাবোধ থেকে যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে সেলুট।

রাশেদ খান মেনন—জনতার পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন। রাজনীতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন। এদিকে গাজীপুর উপনির্বাচন দেশবাসীকে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। আওয়ামী লীগেই এসব সম্ভব। স্বাধীনতার অগ্রনায়ক বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেননি।

২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাজউদ্দিনের ভাই আফসার উদ্দিনকে পূর্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল, কিন্তু টিকতে পারেননি। আবার ২০০৮ সালে মহাজোটের বিপুল বিজয়ের পর বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের একমাত্র ছেলে সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং সাহারা খাতুনকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। শোনা যায়, শেখ পরিবারের কেউ নাকি কোনো কালোবাজারি দুর্নীতিবাজকে ছেড়ে দিতে বললে রাজি না হওয়ায় বকাঝকা তো করা হয়েছিলই, শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছিল। গুরুজন হিসেবে শাসন করলে সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু শেখ পরিবারের বলে কেউ গায়ে হাত তুলবে তা সোহেল তাজ বরদাস্ত করবে কেন? তাই করেনি। এটাই তাজউদ্দিন আহমদের রক্তের তাছির।

এখানে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন নেই। সোহেল তাজ পদত্যাগ করায় সেই আসনে তার আপন বোন সিমিন হোসেন রিমি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন—কেন যেন হিসেব মেলে না। সিমিন নির্বাচন করবেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে করতেন। দেশের মানুষ এটা ভালোভাবে নেয়নি। মানুষ মনে করছে, তাজউদ্দিন পরিবারের ভেতরের অবস্থা দেখাতেই এমনটা করা হয়েছে।

তাছাড়া মৃত আওয়ামী লীগকে ’৭৫-এর পর ঝাড়ফুঁক করে জহুরা তাজউদ্দিন তাজা করেছিলেন, সেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এক নম্বর সদস্য হওয়ার পরও গত চার-পাঁচ বছরে একবারের জন্যও কেউ তার কোনো খোঁজখবর নেননি। মহাজোট সরকার গঠনের পর কতবার তিনি হাসপাতালে গেছেন, কেউ খোঁজ নেননি। সেদিন দু’বোন একত্র গেলেন, চাচী বললেন আর সিমিন হোসেন দাঁড়িয়ে গেলেন। ভালোই করেছেন। হয়তো মন্ত্রী বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, তাই রাজি হয়ে গেছেন।

যদি এত বছর পর দু’বোন একত্র হয়ে একজন প্রার্থী বানাতে তার বাড়ি যেতে পারেন, তাহলে কেন অতি সম্প্রতি যাদের মন্ত্রী বানালেন তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা প্রয়োজন বোধ করলেন না? এত অবজ্ঞা কেন? এটাকে রাজনৈতিক সম্মান বলে না। বেগম জহুরা তাজউদ্দিন তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মতো অসুস্থ নন, তাকে সম্মান জানানোর জন্য তার বাড়িতে আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির একটা সভা করা যেত, না হয় প্রেসিডিয়ামের একটা সভা করতে পারতেন। তা একটা রাজনৈতিক সম্মানের পরিচয় বহন করত। সিমিন হোসেনের ছেলেকে গুলশানে মাত্র ক’দিন আগে পুলিশ পিটিয়ে লাশ বানিয়েছিল। বছরের পর বছর অপমান করে মন্ত্রিত্বের টোপ দিলেই যদি কেউ তা গিলে, তাকে আর যা-ই বলা যাক, অন্তত বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের চারিত্রিক গুণাবলী বা দৃঢ়তার কোনো উত্তরসূরি বলা যায় না।

আমার এক সহকর্মী সেই ’৮০-র দশক থেকে ছায়ার মতো আছে। লেখালেখির প্রায় সব কাজই করে। মাত্র চার-পাঁচ দিন হলো বাড়ি গেছে। কোথায় আছে, কেমন আছে, এর মধ্যে আমরা দশ বার খোঁজ নিয়েছি। কই আওয়ামী লীগ তো তেমন করেনি।

Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.