ব্যাকরণের সব রীতিনীতি মেনে সাহিত্য রচনা করতে গেলে তবে তা একটা ভালো ব্যাকরণের বই হয়ে যাবে। —— তন্য শব্দগুচ্ছ বাংলাদেশের প্রথম ১০০% ডিজিটাল চলচ্চিত্র 'ভালবাসার রঙ' মুক্তি পাচ্ছে ৫ অক্টোবর, ২০১২। এই চলচ্চিত্রটি অত্যাধুনিক RED ONE ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে চিত্রায়ন করা হয়েছে যা দিয়ে হলিউডের ‘পাইরেটস অফ দ্যা ক্যারিবিয়ান’ এর মত বিখ্যাত মুভি বানানো হয়। এর আগে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মিত হলেও ২-৩টি প্রেক্ষাগৃহ বাদে বাকি সব প্রেক্ষাগৃহে তা প্রদর্শিত হয়েছে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের ফিল্ম প্রিন্টেড সংস্করণ হিসেবে। ফলে দর্শক ডিজিটাল চলচ্চিত্রের পূর্নাঙ্গ স্বাদ পায়নি।
বাংলাদেশে এই প্রথম 'ভালবাসার রঙ' চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ১০০% ডিজিটালী। এর কোন ফিল্ম প্রিন্টেড সংস্করন বের করা হবে না। আর এজন্য 'ভালবাসার রঙ' চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশের অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহকে ডিজিটালে রূপান্তর করছে। ৫ অক্টোবর ২০১২ সারাদেশে প্রায় ৫৮টি প্রেক্ষাগৃহ তাদের ডিজিটাল যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে যশোরের ‘মনিহার’, ঢাকার মিরপুরের ‘সনি’ সহ অনেক নামকরা প্রেক্ষাগৃহও আছে।
একই দিনে ঐসব প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে মুক্তি পাচ্ছে দেশের প্রথম ১০০% ডিজিটাল চলচ্চিত্র 'ভালবাসার রঙ'। এইসব ডিজিটাল প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা ডিজিটাল ঝকঝকে ছবি, সিনেমাস্কোপ ওয়াইড স্ক্রিন, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড সহ অত্যাধুনিক অনেক বৈশিষ্ট এবং সুবিধাদি উপভোগ করতে পারবেন যা সাধারনত আপনারা বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা শপিং মলের স্টার সিনেপ্লেক্সে উপভোগ করে থাকেন।
ভালবাসার রঙ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এবং নবাগত চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে একই মুখ দেখতে দেখতে মানুষ যখন ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল ঠিক তখনই এই নতুন জুটির আবির্ভাব হলো। এবং নতুন হিসেবে তারা যথেষ্ট ভাল অভিনয় করেছে।
এখন আমাদের উচিত ছোটখাট ভুলত্রুটি চোখে পড়লেও তাদেরকে নতুন হিসেবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে স্বাগত জানানো। ভালবাসার রঙ চলচ্চিত্রের কাহিনী খুবই ভাল। চিত্রায়ন খুব সুন্দর হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক সুন্দর সুন্দর স্থানে চিত্রায়ন করা হয়েছে। গান গুলো এক কথায় অসাধারন।
সব মিলিয়ে ৫ অক্টোবর এক দুর্দান্ত চলচ্চিত্র উপভোগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। আর এই দুর্দান্ত চলচ্চিত্রটির সাথে একাত্ম হতে এর অফিসিয়াল পেজে ‘Like’ দিন নিচের লিংকটি ভিজিট করে:
http://www.facebook.com/BhalobasarRong
যারা বাংলা সিনেমার নাম শুনলেই ছিঃ ছিঃ করে, ভাবে বিদেশি জিনিস মানেই ভাল আর বাংলাদেশি জিনিস মানেই খারাপ, তাদেরকে বলছি, হীনমন্নতায় ভুগবেন না। অন্যের দালান নিয়ে বড়াই করার চেয়ে নিজের কুঁড়ে ঘরে থাকা অনেক ভাল। ভাল হোক খারাপ হোক বাংলাদেশের সিনেমা মানে আমাদের সিনেমা। ভারত বা পাকিস্তানের নয়।
নিজেদের আত্ম পরিচয়ে বড় হওয়া শিখুন, অন্যদের কাছ থেকে ধার করা পরিচয়ে নয়। বাংলাদেশি জিনিস ব্যবহার করে গর্ব অনুভব করুন।
গতানুগতিক বাংলা সিনেমা থেকে এখন ভালো কিছু বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই বা কম কি? একদিনেই তো আর হলিউড মার্কা ছবিতে যাওয়া যাবে না! পরিবর্তন আনতেও সময় লাগে। এখন আমাদের উচিত এদের স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা যোগানো।
সেইদিন হয়ত বেশি দূরে নয় যখন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করবে হলিউড, বলিউডের চলচ্চিত্রের সাথে... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।