আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Bhoot FM ও ভৌতিস্টের তিন ভণ্ড —— বেস(বাঁশ) বাবা সুমন, জিবরান, সাকিব।

Bhoot FM ও ভৌতিস্টের তিন ভণ্ড —— বেস(বাঁশ) বাবা সুমন, জিবরান, সাকিব। এই তিন মিথ্যুক প্রায়ই ঠাকুর মার ঝুলি খোলেন আর রূপকথার গল্প বলেন। বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানানো খুব সহজ। এর জন্য আগে নিজেকে শিক্ষিত, স্মার্ট আর মেধাবী প্রমাণ করতে হবে সবার কাছে। আর বাংলাদেশে নিজেকে শিক্ষিত আর স্মার্ট প্রমাণ করা খুব সহজ —— এর জন্য আপনার জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, রাজনীতি, সমাজ- সভ্যতা, শিল্প, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে কোনো জ্ঞান না থাকলেও চলবে শুধু ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেই হবে।

ব্যস, শুধু ইংরেজি বলার কারণেই আপনি হয়ে যাবেন মহাজ্ঞানী(?) এবং মহাপণ্ডিত(?) তখন আপনি যা বলবেন সবাই তাই বিশ্বাস করবে। যা হোক, আসল ঘটনায় আসি। আপনারা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত, তারা দেখবেন মুভিতে নায়ক অনেক ভয়ংকর ভয়ংকর কাজ করে ফেলছে কিন্তু নায়কের গায়ে একটা আঁচড়ও লাগছে না। আমাদের বাঁশ বাবা থুক্কু বেসবাবা সুমনও ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় রাতের বেলা ভূত-প্রেতের সন্ধানে অভিযানে বের হয়। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য ক্রমেই হোক তারা প্রতিটা অভিযানেই ভূত-প্রেতদের অস্তিত্ব আগেই টের পায় এবং বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ও ইলেক্ট্রনিক ওয়েভ ব্যবহার করে তারা ভূতের কর্মকান্ড রেকর্ড করেন।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা যেসব কর্মকাণ্ড রেকর্ড করেন সেগুলো প্রায়ই তাদের কম্পিউটার থেকে হারিয়ে যায় অর্থাৎ ভূতরা এসে তাদের ওই রেকর্ডগুলো কম্পিউটার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। যার কারণে সেগুলো শ্রোতাদের আর শোনানো যায় না। যা হোক, বাঁশ বাবা সুমনের মিশনগুলোতে ভূত-প্রেতরা প্রায়ই তাদের কে আক্রমণ করে কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ভূত- প্রেতরা সুমন, জিবরান আর সাকিবকে কখনোই ধরতে পারে না। প্রতিবারই তারা প্রাণে বেঁচে যায়। তাদের এই সত্য(?) ও প্রকৃত(?) অভিযানগুলো হলিউডের যেকোনো মুভি’কে হার মানায়।

বিজ্ঞানের এই যুগে আমরা যখন বিজ্ঞান মনস্ক এক জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখছি তখন রেডিও ফুর্তি, এয়ারটেল আর বেসবাবা সুমনরা ব্যবসায়িক স্বার্থে তরুন প্রজন্ম কে ১০০ বছর পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের যে বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো জানতই না ভূত কী জিনিস? ভয় কী জিনিস? তাদের কে এখন ভূতের ভয় দেখানো হচ্ছে। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধা গ্রস্ত হচ্ছে। অনেকেই এখন ভূত এফএমের জন্য রাতের বেলা টয়লেটে যেতে ভয় পাচ্ছে —— প্রস্রাব আটকে রাখার কারণে যেকোনো বয়সী মানুষের প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হতে পারে। যাই হোক, সরকারের কাছে আকুল আবেদন এই যে, খুব শীঘ্রই এই প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দেওয়া হোক।

মিথ্যা আর গাঁজাখুরি গল্প বলে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে ব্যবসা করার কোনো মানেই হয় না কৃতঙ্‌তায়ঃ Amader Bangladesh ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।