somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

An artist ........ একটি ব্লগীয় টিভি সিরিজ (experimental ) episode: 01

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মামা চাকরি পাইয়া গেসিরে , বলে রাতুল ইমতি কে জড়িয়ে ধরল । তাই নাকি কোথায় পেলি, একটা নিউজ পেপার এ ফটোগ্রাফার হিসেবে । শুনে ইমতি মন এ মন এ খুশিই হল, তাও রাতুল এর একটা গতি হল ।
রাতুল: কি খাবি মামা বল ???
তুই যেখানে খাওয়াবি সেখানে চল
রাতুল এর সাথে ইমতির বন্ধুত্ব প্রায় তিন বছর হতে চলল, তাদের বন্ধুত্ব টাও ছিলো কাকতালীয় একটা ব্যাপার ..... একবার ষ্টেডিয়াম এ টিকিট ব্ল্যাক এ বিক্রি করতে গিয়ে তাদের পরিচয়, রাতুলের ছিলো পরীক্ষা " সিটিসেল কোটি টাকার কাপ " এর ফাইনাল এর টিকিট বিক্রির জন্য সকাল সকাল দাড়িয়ে ছিলো। ইমতির ও ভালো চুলকানি ছিলো টিকিট এর জন্য , আগে ম্যানেজ করতে পারেনি সেও সকাল সকাল হাজির যদি ব্ল্যাক এ পাওয়া যায়। সে টিকিট ও পেল সাথে সাথে একজন ফুটবল ফ্যানাটিক মানুষ ও পেল । সেই থেকে তাদের বন্ধুত্ব শুরু যা এখন ও আছে ।
খেতে খেতে রাতুল বলল , কীরে এখন কী করবি কিছু ঠিক করলি ??
জানি না ইমতি বলল, কিছু ভাইভা দিসি দেখা যাক কী হয়


বৃষ্টি হছ্ছে আর ছাদে দাড়িয়ে নুহা ভিজছে, এটা তার অন্যতম প্রিয় একটা কাজ, যেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয় , বলা যায় সিজনাল প্রিয় কাজ । তার অবশ্য আরেকটা কারন আছে , যদি সর্দি কাশি লেগে যায় তাহলে তাকে আর আজকে দাওয়াত এ যেতে হবে না যেটা সে মনে প্রানে চায় । খালা খুব জোরাজোরি করবে যাবার জন্য , কিন্ত অসুস্থ থাকলে কারো কিছু করার নেই ।

ছোট বেলায় বাবা মা মারা যাবার পর থেকেই নুহা থাকে তার খালা খালুর সাথে । তাদের একমাত্র মেয়ে থাকে লন্ডন এ ফ্যামিলি নিয়ে, মাঝেমধ্যে ঘুরতে আসে দেশে । নুহা কে তারা তাদের নিজের মেয়ের মতই দেখে । নুহা ছোটবেলা থেকেই একলা থাকতে পছ্ছন্দ করে , তার খুব বেশি বন্ধু নেই । তার এই একলা থাকাটা কেই তার খালা পছ্ছন্দ করে না ।

তবে নুহার বন্ধু নেই বললে ভুল হবে , রাতুল আর ইমতি দুজনেই তার খুব ভালো বন্ধু । সে ইমতির ব্যাপার টা জানে না , কিন্তু রাতুল যে তাকে লাইক সেটা সে বুঝতে পারে ।

ইমতি বাসায় বসে নেট এ I Pad সংক্রান্ত ইনফরমেশন দেখছে e-bay তে । দাম অনেক কিন্তু কেনার খা্য়েশ ও কম না , টাকা একদিন না একদিন আসবেই । যদি টাকা তার কাছে না আসে , সে টাকার কাছে চলে যাবে.........আছ্ছা কি আবোল তাবোল চিন্তা করছে সে ??? সব I Pad এর দোষ ।

রাতুল দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে , আজ তার মন টা খারাপ , কেননা আজকে তার একমাত্র ভাগনা রুসোর জন্মদিন , আর সে দুনিয়া তে নেই , সত্যি বলতে তার একমাত্র বোন আর দুলাভাই ও বেচে নেই। তারা USA তে থাকত , কয়েক বছর আগে তারা নিজের বাসাতেই স্বপরিবার এ মারা যায়। পুলিশ বলেছিল ডাকাতি, ঘটনার সমাপ্তি ও সেখানে হয়ে যায়।

Murder Scene Investigation Report টা আবার পড়লেন ইন্সপেক্টর কামরান , দুই দুইটা খুন। দুইটা লাশ দুই জায়গা তে পাওয়া গেলেও খুন এর ধরণ এক । can be সিরিয়াল কিলিং, কিন্তু এখানে কেন কেউ এরকম করবে , বিদেশে এইগুলা হয় তার অনেক কারণ আছে, একটা যেমন বিদেশে মানুষ অনেক সময় একলা থাকে , একলা থাকতে থাকতে সাইকোপ্যাথ টাইপ এর হয়ে যায়। এইভাবে চিন্তা করলে তো বাংলাদেশ এ কোন মানুষ ই একা একা থাকে না , কেউ না কেউ অব্যশই থাকে, আরে রাস্তার কুকুর ও তো বেশীর ভাগ সময় দল বেধে থাকে, স্যার ..............
সামনে বসা পুলিশ কর্মকর্তা বলল স্যার দেখে তো সিরিয়াল কিলিং মনে হয়, কেননা postmortem রির্পোট বলছে দুই জন কে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে । Interesting fact হছ্ছে কিলার তাদের কে মারার পর তাদের একজনের বুকে আর আরেকজন এর কপালে ছুরি একটা কাগজ গেথে দিয়েছে তাতে লেখা " shall we begin .......An Artist "



*** নতুন লেখক ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা যোগ্য দৃষ্টি তে দেখবেন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×