ছিল শঙ্কা-ছিল ভয়-ছিল নিশ্চিত পরাজয়;
ছোট্ট তিতির বলেছিল, চিন্তা কোরো না বাবুই
সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে
ইতিহাস এ’ভাবেই রচিত হয়!
শকুনের মিথ্যার কাছে
বাবুইয়ের সত্যের হয়েছিল পরাজয়!
পেশী শক্তির জোরে শকুন করেছিল
বাবুইয়ের চোখ উৎপাটন!
অট্টহাসি হেসে বলেছিল, সাহস থাকে যদি
বাঁচাস শুধু নিজের জীবন!
ছিল ভয়ঙ্কর রাত আর ঘন অন্ধকার;
অন্ধ বাবুই ভয়ে কেঁপেছিল থরোথরো!
অসহায় বাবুই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিল
হে বিধাতা কেনো তুমি এমন কোরো?
এ’জীবন তোমার দান
শত চেষ্টাতেও দিতে পারব না এর প্রতিদান;
তবুও কেনো এই ব্যথার দান!
ঠিক সেই মুহূর্তেই ছোট্ট তিতির
ধরেছিল বাবুইয়ের হাত;
বলেছিল যতই আসুক বাঁধা
ছাড়ব না তোমার হাত!
শোন বাবুই মিথা দিয়ে হয় না কোনো জয়
তাইতো মিথ্যা একসময় অন্ধকারে
মাথা নত করে রয়।
সত্যের পথে আসে অনেক বাঁধা
কিন্তু মিথ্যার মুখ চিরদিনই
পাপের সুতো দিয়ে সেলাই হয়।
কখনো যদি একটি পথ বেছে নিতে হয়
সত্যের সাথে সন্ধি করে
মিথ্যে কে কোরো তিরস্কার
মনে রেখ, মিথ্যের হয় না কখনোই জয়।
এর থেকে বড় শাস্তি কি আর হয়?
সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে
সত্যের হবেই হবে জয়।
ছোট্ট তিতিররে সাথে অন্ধ বাবুইয়ের হল
হৃদয়ে হৃদয় বিনিময়---
জীবন নদীর তরী বাইতে গিয়ে
আসলো অনেক বাঁধা- অভাব- অভিযোগ
তবুও ভালবাসার থাকলো না কোনোই অভাব।
ছোট্ট তিতিরের চোখে বাবুই দেখে তার পৃথিবী
এখানে এসেই থমকে গেছে,
মাটি-ফুল-ফল- জল অবধি---
ফজরের আযানের মধুর ধ্বনির সাথে সাথে
অন্ধকার সরে গিয়ে উঁকি দিল রক্তিম সূর্য।
মিথ্যে সরে গিয়ে উদ্ভাসিত হল চিরন্তন সত্য।