somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গদেশে নতুন সংসদীয় আইন পাশঃ

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বঙ্গদেশে আজ নতুন আইন পাশ হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সাথে সাথে সকল প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন। যারা পাশ করবেন তাদের টানা পাঁচ বছর সংসদ ভবনে কাটাতে হবে। পাঁচ বছর হওয়ার একদিন পূর্বেও ভবন ত্যাগ করা যাবেনা। যারা যারা নির্বাচনে ফেল করবে তারা সবাই বাধ্যতামূলক জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে। সবাই যার যার অঞ্চল ঘুরে অনুন্নত জায়গার সন্ধান করবে এবং সেগুলোর আলোকচিত্র সংসদ ভবনে পেশ করা হবে। তারপর সংসদে বসে সংসদ সদস্যরা অনুন্নত জায়গা উন্নয়নের জন্য বিল পাশ করবে।

নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে এই আইনের বলে কোন বিরোধীদল থাকবেনা। যারা পাশ করবে, তারা সবাই হবে সরকারীদলের। আর যারা ফেল করবে তারা হবে জনগণের বাধ্য প্রতিনিধি। অর্থাৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানেই হবে জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়া। সুতরাং, দুই ক্যাটাগরির জনপ্রতিনিধি তৈরি হবে। কেউ পাশ করা প্রতিনিধি। আর কেউ হবে ফেল করা প্রতিনিধি।

ফেল করা প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণেরা মিলে তাদের এলাকার সকল অনুন্নত জায়গার চিত্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাশ করা প্রতিনিধিদের দেখাবে। তখন পাশ করা প্রতিনিধিরা সেসব এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবে।

উন্নয়নের কাজে সকল জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়-স্বজনরাও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে। তাদের যে সব অতিরিক্ত অর্থ-সম্পদ আছে সেগুলো নিজ নিজ এলাকার গরীব লোকদের বিলিয়ে দিতে পারবে। আর যদি দিতে না চায়, তাহলে গরীব জনগণ টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদ সবকিছু ছ্যাঁচড়া আত্মীয়-স্বজনগুলোকে প্যাদানি দিয়ে নিয়ে যাবে।

যেখানে যেখানে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের দরকার হবে সেগুলোর অর্ধেক খরচ জনপ্রতিনিধিরা বহন করবে ও বাকি খরচ সরকারী কোষাগার থেকে দিতে হবে। শ্রম সহায়তায় দেশের সকল বেকার সম্প্রদায় যুক্ত থাকবে।

বিশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যারা যারা নতুন সংসদীয় আইন মানবে না তাদেরকে দুই বিবির সাথে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করা হবে। যতদিন না বঙ্গদেশ ডিজিটাল হয়, ততদিন পর্যন্ত এই আইন বলবৎ থাকবে।

বিদ্রঃ এটি নিছক কল্পনা মাত্র। এই ধরনের নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেমন সম্ভব না, তেমনি আমাদের বঙ্গদেশ দুই পণ্ডিতের উপস্থিতিতে ডিজিটাল হওয়া সম্ভব না। অনেক কিছু প্লাস-মাইনাস করলে ফলাফল শুভ হইতে পারে। আর আমারে জাতীয় বিজ্ঞানী ঘোষণা করিতে হইপে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×