ফুটফুটে রৌদ্রে ভরা নীল আকাশের গায়ে
ভাসমান পেঁজা তুলোর মত তুলতুলে নরম সাদা মেঘ,
নদীর বাঁকে, চরের উপর সাদা কাশফুল―
আশ্বিনের প্রখর রৌদ্রে ভরা শারদীয় প্রকৃতি।
ভেসে আসে আগমনী গান―
‘কৈলাস থেকে বাপের বাড়ী আসবে দুর্গা’,
পঙ্কিল পৃথিবীটাকে গ্রাস করেছে অসুররূপী দানব!
উদ্ধত খড়গ, দর্শনচক্র কিম্বা ত্রিশুল-বর্শার
ঝংকার শুনিয়ে “মর্তে আসছেন দশভুজা”।
‘যদাযদাহি ধর্ম্মস্য গ্লানি ভবতি ভারতঃ নমামি যুগেযুগে’
হে কৈলাসবাসিনী,
যুগে যুগে অনাচার নিরসনে তুমি আসো অবতাররূপে।
তাই, হে দেবী তুমি আবারো এসো;
হে সিংহবাহীনি, তোমায় আহ্বান জানাই।
পিশাচ রাজার করতলে বন্দী জীবন আমাদের,
খুন-জখম-রাহাজানি গ্রাস করেছে সমাজ;
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তোমার পুজার ভোগও আজ বাড়ন্ত!
জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ছোট হবে তোমার শোভাযাত্রা
―কারণ, বেড়েছে বাস-ট্রাকের ভাড়াও।
মধ্যবিত্তের বাহন সেডান কারের সীমিত ব্যাবহার
কমিয়ে দেবে তোমার মণ্ডপে পুজারীর সংখ্যা।
তার পরও তোমায় আহ্বান করি― তুমি এসো,
কারণ, তুমি যে সর্বংসহা, দুঃখহরা, শক্তিরূপীনি,
জগতমাতা, দশভুজা― দুর্গা।