ইচ্ছেরা মরে গেলেও দীর্ঘদিন মমি হয়ে বাঁচে । সহজে হারায় না, যদিও ঠেকে ঠেকে ফেলনা ড্রাইসেলের মত নি:শেষিত তড়িৎ,
পুরনো প্রেম এসে ইচ্ছেদের ঘুম থেকে তোলে, শুধুই রাতের কালো এনভেলাপে চিঠির মত সেঁটে থাকে, পাজামাতে পা ঢুকিয়ে
কম্বল টানে,
ভেতরের নির্যাস খুলে নিয়ে হলুদ হলুদ ফল টকো গন্ধ ছড়ায়, ইচ্ছেদেরও মন থাকে; নিরাশায় মানসিক সান্ত্বনা থাকে
ফর্মালিন আরকে ডোবানো স্মৃতি বল্লার মত বাসা বাঁধে হৃদয়ের মনে
আমাদের স্মৃতিগুলো সুতী কাপড়ের রুমাল, রঙ জ্বলা তারপরও ও দিয়ে কাজ চলে যায়
ওটা উৎসবও; উৎসবও রুমালের মত থেমে যায়, রাত বাড়লে লাল নীল ম্যারেজ বাতি অনিচ্ছায় তড়িৎ চুষে অফিসিয়াল কাজ করে, অত:পর, কাপড় কাঁচা সুতো
কাঁচি, ববিন, সেলাই কল, এবং সেলাইয়ের ব্যাগে পোষা খরগোস হয় কত রমনী বেঁচে আছে মাছের কাঁটায়, কখনো পানসে হুকোয় ফুঁ দেয় পুরুষেরা,
এই সব বহুটন প্রজননের দেশে কেন বৃষ্টি হয়?
কেন কাগজের ভাঁজ থেকে নৌকো হয়, যাত্রী নেই, যাত্রী নেবার ইচ্ছেও নেই, তবু বাচ্চাদের মত বিকেলে রঙধনু পেলেই খুশি
আমাদের অধিকাংশ ঘর ছোট যাদুঘর, অলাভজনক যদিও ব্যক্তিগত; যদিও দর্শনার্থীদের মচ্ছ্ববে ডাকে, নিজেকে দেখাতে
অধিকাংশই স্বশিক্ষিত আনাড়ি যাদুকরের স্টেজ শো, সাজিয়ে রাখে মরে যাওয়া হাড়গোড়,
সবাই চলে গেলে সিন্দুকে লুকিয়ে রাখে, কলহ করে, শেষ বেঞ্চিতে কাটাকুটি খেলে
অধিকাংশ দেব দেবীর সিমেন্টে শামুকের খোলা, ঝিনুকের ঝুরি, তবুও আজও কিছু যুগল তীর্থে গেছে এই আশায়, এসব আদতে ভুল নিয়ম
আজীবন মধুর বাসনে চাঁদের পরোটা খাবে
শুনেছি মানুষেরা বয়সে মিথ্যেবাদী হয় বেশি,অভিজ্ঞতা মিথ্যে শেখার স্কুল, সুন্দরের অজুহাতে কপট ভনিতা সাঁপের মত আঁশ আপগ্রেড
হাকালুকিতে লোটাস ফুলের মত সিজন সিজন মাছ ডাকে, ঝাঁক ঝাঁক মাছ; তুমি বলেছিলে ওরা প্রত্যেকে একা
ব্যক্তিগত সাঁতারে কে মাছ আর কে মানুষ?
একাকীত্ব কি মাড়িতে চুষতে থাকা স্বাদহীন ফল, কবিরা ভালবাসে লিখে যেতে, ফল ভেবে খোসা ছড়ালেই বাদামী বীজ উসখুস করে
বহু রাত্রি প্রবালের চোখ উঠে এসেছিল ফ্যাকাসে আসমানে। মণিরন্ধ্রে পাথুরে পুঁতি, বৃষ্টি জমে গেল আঁখিপাতার খোড়লে,
জলকীট হেটে বেড়ায় যেই স্বচ্ছ পানির তলায়,
পদ্মিনী জীবনটাকে আলস্য দিয়েই সাজালাম, আমি হয়তো অন্দরে বৃক্ষের মত ডাল পালা ছড়াতে চেয়েছি, অপলা কিঙ্করে লিখে রেখেছি
রসেটা পাথরের নীতিতে এখনো আধুনিক স্কুল চলে ; হায়রোলিপিতে একটা ক্লিওপেট্রা পাখি ডাকছিল,
মনে হয় রোদচশমার একপাটি কাচ পড়ে আছে নিমজ্জিত প্রমোদতরীর ডেকে,
মনে হয় সৌদামিনীর জন্য অপেক্ষা করে করে তেপান্ন পাহাড় মদের পল্লীতেই রাত কাটাবে কেউ কেউ
পাথরের দিকদর্শণ নীতি পড়তে পড়তে
আমাকে ঘুমুতে হবে চলকের কাঁটায়, আমাকে জাগাতে হবে ঘুমন্ত যাত্রীদের
প্রাগৈতিহাসিক নির্ঝরিনী, কূপের ভিতর নামছে বায়োলজিক্যাল সিঁড়ি, স্বার্থ নিয়ে এখন আর কোন দ্বিমত নেই, তবে কি মানুষের বর্ণ জ্বলে যাওয়ায় চুক্তিবদ্ধ
অথচ অজ্ঞাত শর্ত, অজ্ঞাত তার বিদায় কিংবা স্থায়ী হবার বছর? কাপড় কাঁচা সাবানে মানুষের মন
আমাদের হলুদ অসুখ সারিয়ে তুলে ঘোলা পীচফল
রঙের দোকান খুলেছে ইচ্ছে গিরিগিটি; আমি কিন্তু চিনি না। যেতে হয় ফিরে একদিন, যাবো। আমাদের বড় পাঁচিল তুলতে হয়, তুলবো।
উত্তাপ দিয়ে সময়ের নিয়মে শীতল হতে হয়; হবো।
---
ড্রাফট ১.০ / অর্থ না ভেবে লেখা শব্দ।