somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গরীবের রক্ত চোষা গরীবের জন্য ভালো*

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭৬ সালে ইন্ডিয়ায় জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ করা হয়; কিন্তু নয়া দিল্লির বান্ধুয়া মুক্তি মোর্চা [http://www.swamiagnivesh.com/bonded.htm] বলছে, ১৪ বছরের নিচে সাড়ে ছয় কোটি এবং ১৪ বছরের উপরে ৩০ কোটি আবালবৃদ্ধবনিতা ইন্ডিয়ায় জবরদস্তি শ্রমিক। বান্ধুয়া মুক্তি মোর্চা থেকে জাতিসংঘ পর্যন্ত বহু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান একে বলছে ‘কন্টেম্পরারি স্লেভারি’। সব ধরনের গবেষণায় এই ‘কন্টেম্পরারি স্লেভারি’র যে কারণটি কমন থাকছে সেটি হলো—ইন্ডিয়ার ঋণ পরিস্থিতি। উত্তর প্রদেশে প্রতি ৩০ মিনিটে ১০ জন কৃষক আত্মহত্যা করে। এরও প্রধান কারণ—ইন্ডিয়ার ঋণ পরিস্থিতি। ওদিকে সিএনএন-এ [http://thecnnfreedomproject.blogs.cnn.com/2011/06/02/a-110-loan-then-20-years-of-debt-bondage/] সিদ্ধার্থ কারা জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষক হরেশের কাহিনী। সারিকার সাথে বিয়ের সময় হরেশ স্থানীয় ভূস্বামীর কাছ থেকে ১১০ ডলার ধার করেন। পরের কাহিনী হরেশের জবানে বলছেন সিদ্ধার্থ:

“আমার পুরা পরিবারের দেনা আছে এখনো মহাজনের কাছে। সারিকা আর আমি কাজ করি ক্ষেতে, আমার ছেলেরা আর তাদের বউয়েরা ইটভাটায়। একদিন আমার নাতিপুতিরা মহাজনের জন্য কাজ করবে। দেনা শোধ করার উপায় নাই কোন। মরণেই মুক্তি আমাদের।”

কৃষক মুক্তি চায়, তাই আত্মহত্যা করে। কিন্তু হরেশ কেন মহাজনের কাছেই ধার করলো? কারণ বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমতি নাই ইন্ডিয়ার কৃষকদের লোন দেবার। বা ইন্ডিয়ার কোন ব্যাংক ইউনূসের জামানতবিহীন লোনের কনসেপ্ট নেয় নাই। নিঃস্বকে লোন দেয় না কোন ব্যাংক; ফলে হরেশ কোন ব্যাংক লোন পাবার যোগ্য ছিলেন না। যে ব্যাংক ইউনূসের কনসেপ্ট নেবে, হরেশকে লোন দেবে--সে মহাজনের শত্রু।

[http://cnn.com/video/?/video/world/2011/03/08/cfp.sidner.india.slave.labor.cnn
CNN's Sara Sidner reports on indentured servitude, a modern slavery that continues to destroy lives in rural India. Mar 9, 2011 | 05:22]
গ্রামীণ ব্যাংক লোন দেয় বাংলাদেশে। মাঝে মাঝে শোনা যায়, গ্রামীণ ব্যাংকের লোকেরা ঘরের টিন খুলে নিয়ে গেছে। গ্রামীণ ব্যাংক গরীবের রক্ত চোষে। ইউনূস সুদখোর। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল ড. ইউনূস আর গ্রামীণ ব্যাংক। শান্তিতে! কেন? গরীবের রক্ত চুষলে আর সুদ খেলে শান্তি আসে নাকি? গ্রামীণ ব্যাংকের বিচার তাহলে কী করে হবে?

কিন্তু নিঃস্বের রক্ত চুষবেন না কেন আপনি? নিঃস্বের রক্ত কি খারাপ? রুচিতে বাধে? গরীবের রক্তে ঘেন্না হয় বলে রিকশায় উঠবেন না, স্বাস্থ্যসচেতন হাঁটা দেবেন? রিকশাঅলার গায়ে তাহলে রক্ত হবে কী করে? গরীবের রক্তে ইউনূসের ঘেন্না নাই বলে ইউনূসকে ধন্যবাদ। হ্যাঁ, গরীবের/নিঃস্বের রক্ত চুষতে রাজি হওয়া বিরাট ঘটনা। রক্ত চুষলেই কেবল নিঃস্বের গায়ে রক্ত হয়, না চুষলে হয় না। ইউনূস আর গ্রামীণ ব্যাংক নিঃস্বের রক্ত চুষতে রাজি হয়েছেন বলেই নিঃস্বের রক্তে এদের অবদান আছে। আর কোন ব্যাংক নিঃস্বকে লোন দেয় না, রাষ্ট্রও নিঃস্বকে লোন দেয় না, নিঃস্বের সাথে ব্যবসা করে না আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তাই নিঃস্বের গায়ের রক্তে আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবদান নাই।

এদিকে, সুদখোর একটা ধর্মীয় গালি, সেক্যুলার ব্যবসায় সুদখোর বলে কোন সমালোচনা হয় না। বামপন্থীরা ধর্মগ্রস্ত না হইলে এই গালি দিতে পারেন না। বাংলাদেশের কতিপয় ধর্মগ্রস্ত বামপন্থী আর স্বঘোষিত সেক্যুলার রাজনীতিক-বুদ্ধিজীবী ইউনূসকে এই গালি দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ব্যক্তির কাছে ধর্ম পালনের দাবি করা যায় না, ধর্মীয় চাপ বেআইনী। এ বাদেও এই সমালোচনা করার বেলায় আরো কিছু বিষয় ভাবার আছে। ব্যাংকে আপনার সেভিং একাউন্ট আছে, ডিপিএস আছে, সঞ্চয়পত্র আছে, আপনি নিয়মিত সুদ খাচ্ছেন আর ইউনূস বা গ্রামীণ ব্যাংককে সুদখোর বলে নিন্দা করছেন—এ হয় না। রাষ্ট্রীয় আইনে সুদের অনুমোদন আছে, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক নির্দিষ্ট সুদের হারে লোন দেয়, সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে; সেই রাষ্ট্রের কোন মন্ত্রী সুদের নিন্দা করলে তিনি সেই রাষ্ট্রের আইনের বিপক্ষে দাঁড়ান।

বাংলাদেশে মহাজনদের দাপটের কথা বিশেষ শোনা যায় না। এই না শোনার পেছনে গ্রামীণ ব্যাংককে দেখতে পারতে হবে। এবং গ্রামীণ ব্যাংকের বিচার করতে হবে মহাজনী ঋণ ব্যবস্থার সাথে তুলনা করে। তুলনাটা আমরা করতে পারি ইন্ডিয়ার মহাজনী ঋণের সাথে বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের।

ইন্ডিয়ার বস্ত্রশিল্প এবং কৃষিতে মহাজনদের দাপট আছে। ঋণ দেওয়ায় মহাজনদের আগ্রহের প্রধান কারণ জবরদস্তি শ্রমিক সংগ্রহ করা। এই শ্রমের ধরন বংশানুক্রমিক। সুদের হার ১০০%-এর উপরে। অনেক ক্ষেত্রেই কিস্তির ব্যবস্থা নাই। আরো গুরুতর হলো ঋণ শোধের ব্যাপারে মহাজনের অনাগ্রহ তীব্র। শোধ হলেই তো আর বাধ্যতামূলক শ্রম পাওয়া যাবে না। ঋণ পাবার জন্য মহাজনের বিকল্প নাই আর। ঋণ শোধ হয় না বলে সন্তান বিক্রি করে কৃষক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, অদক্ষ বিবেচনায় হয়তো নারীর জন্য মহাজনের ঋণও নাই।), নিজে বাধ্যতামূলক শ্রম দেয়। মুক্তির পাবার জন্য আত্মহত্যা করে। তখন সেটি বউ-বাচ্চার ঋণ। ঋণের ভয়ে এই বউকে আর কেউ বিয়া করতে চায় না। তাঁরা সবাচ্চা মহাজনের কাজ করে, বংশানুক্রমে।

বিপরীতে গ্রামীণ ব্যাংক কী করে? নিঃস্ব নারীকে লোন দেয়; বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো সেই টাকা নিয়ে নেয় স্বামী, ভাই, বাবা; নারীর ক্ষমতায়ন কি হলো? না, তা হয় বলা যায় না। দারিদ্র কি যাদুঘরে গেলো? না, কিন্তু স্বামী আর মহাজনের লোন নেয় নাই। বউ লোন নেয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। হাজারে ৫ টাকা সুদ সপ্তাহে, আমন মৌসুমে ৬ মাসের লোন, ২৬ সপ্তাহে মোট সুদ দেয় ১৩০ টাকা। সাপ্তাহিক কিস্তির দিনে সরকারি ছুটি হলে সেই সপ্তাহে সুদ দিতে হয় না। প্রতিটা লোনের বীমা করা থাকে, লোন গ্রহীতা মারা গেলে উত্তরাধিকারীদের সেই লোন শোধ করতে হয় না, উল্টো একাউন্টে সঞ্চয় থাকলে সেটা পায় পুরাটাই। আরো পায় দাফন-কাফন-শ্মশান খরচ বাবদ ১৫০০ টাকা। মাসিক ৫০ টাকার ডিপিএস খোলে গ্রামীণ ব্যাংক। ১০ বছর বাদে সদস্য পাবে মোট ১১৫০০ টাকা। দশ বছরে সদস্যের সঞ্চয় ৬০০০ টাকা, গ্রামীণ ব্যাংক সুদ দেয় ৫৫০০ টাকা। প্রায় তিন দশকে গ্রামীণ ব্যাংক কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে নাই, চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে নালিশ দেয় নাই। গ্রামীণ ব্যাংক নালিশ দিয়েছে অন্য সদস্যদের কাছে; কেননা, তাঁরাই ছিলো গ্যারান্টর; কিন্তু কোন গ্যারান্টর সদস্যের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নাই। বাংলাদেশের মিডল ক্লাস আত্মহত্যা করে, কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের কোন সদস্য আত্মহত্যা করে নাই। এক গ্রামীণ ব্যাংক এবং ইউনূসের এই গরীবের রক্ত চোষা মডেলের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ার তুলনায় বাংলাদেশকে সামাজিক নিরাপত্তায় এগিয়ে রাখলো বহুগুণ।

গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নেওয়া এই বউদের গরীব স্বামী এখন ধনী কৃষকের কামলা হতে রাজি হয় না; সে দুইখান ক্যাজা বলদ কিনে দুই/চার বিঘা জমি লিজ নিয়া চাষ করে, ধনী কৃষকের জমি বর্গা চষতে চায়। দুই/তিন বছর পরে পুরানা একটা ট্রাক্টর কেনে। এদের ছেলে-মেয়ে বাজারে আণ্ডা বেচতে যায়, বড় বাড়ির হাড়ি-পাতিল ধুইতে যায় না। বড় বাড়ির কথায় আর ভোটও দেয় না এরা, মাটি কাটা শ্রমিক সর্দার জয়নাল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হয়ে যায় (বরগুণা জেলার আমতলী থানার চাওড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হয়েছিলেন এই জয়নাল গাজী।)।

তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা কী দাঁড়ালো বাংলাদেশে?

ক. গ্রামীণ ব্যাংক বাধ্যতামূলক বংশানুক্রমিক শ্রম থেকে বাংলাদেশের নিঃস্ব মানুষকে রক্ষা করছে।
খ. ক-এর ফলশ্রুতি হিসাবে নিঃস্ব মানুষ স্বাধীন পেশা বেছে নিতে পারছে গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ে।
গ. গ্রামীণ ব্যাংকের লোনে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বা ক্ষুদ্র ফার্মিং তৈরি হতে পারছে।
ঘ. দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে গ্রামীণ ব্যাংকের লোনে।
ঙ. নিঃস্ব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
চ. দেশে মিনিপ্যাক শ্যাম্পু জাতীয় পণ্যের বাজার প্রসারিত হয়েছে।
ছ. ‘ছোটলোকের ফুটানি’ আর চ্যাটাং চ্যাটাং কথায় সমাজের উচ্চতর শ্রেণীর গা-জ্বালা বেড়েছে।
জ. গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরীসূত্রে মধ্যবিত্ত কর্মীদের কখনো কখনো ‘ছোটলোক’দের তোয়াজ (গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী আমার বন্ধুর কথায়, ‘বাবা, সোনা বলে লোনের উসুল করতে হয়) করতে হচ্ছে।
ঝ. দেশে কামলা আর বান্দির সংকট তৈরি হয়েছে।
ঞ. গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের কারণে দেশে মহাজন উৎখাত ঘটছে বা তৈরি হতে পারছে না; সমাজে ফিউডাল সম্পর্ক ভাঙছে।
ট. গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরা ১০০ টাকার শেয়ার দিয়েই ব্যাংকের মালিকানার তৃপ্তি পাচ্ছে।

এগুলি ড. ইউনূসের চিন্তা আর কর্মের ফল। গ্রামীণ ব্যাংক একটি পুঁজিবাদী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার লাভ করতে হবে। লাভ করাই তার কাজ। লাভ করতে না পারলে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায়। সদস্যরাই এর লাভের উৎস। আবার সদস্যরাই যেহেতু মালিক, সেই লাভের ভাগ তাঁরা নিজেরাও পায়। এই লাভ যদি শোষণ হয় তাহলে সদস্যরা আত্মশোষণ করে; তাতে কার কি?

রাষ্ট্রও এই প্রতিষ্ঠানের একজন মালিক, ৩% মালিক। রাষ্ট্র শোষিত হয় না; কেননা রাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নেয় না। রাষ্ট্র শুধু শোষিত অর্থের ভাগ নেয়; যেমনটা নেয় কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে। কৃষি ব্যাংক নাক-উঁচু ব্যাংক, সে ভূমিহীন গরীব নিঃস্বের সাথে সম্পর্ক রাখে না; কেননা তাদের জামানত নাই। এই রাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংকের পুরো দায়িত্ব নিয়ে নিলে গ্রামীণ ব্যাংক কি জামানতবিহীনদের সাথে সম্পর্ক আর রাখবে? নাকি মহাজনদের টাকা দেবে নিঃস্বকে ধার দেবার জন্য? বাংলাদেশ কি ইন্ডিয়ার ফিউডাল সম্পর্কের দিকে যাবে?

এই দেশে নদীতে চর জাগে, সেই চর ভূমিহীনরা পায় না; যাদের বাড়ি-ঘর ভাঙলো নদীতে, তাঁরা পায় না। চর পায় ধনীরা। রাষ্ট্রের খাস প্রোপার্টি খালে ছিলো গরীবের মাছ; এখন সেই খাল ধনীর খামার, লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে; সেই খালে এখন গোছল করতেও অনুমতি লাগে। এই রাষ্ট্র বড় রাস্তায় রিকশা ঢুকতে দেয় না, কিন্তু চিপা গলিতে প্রাইভেট কার ঢোকায় আপত্তি করে না। এই রাষ্ট্রের জিম্মায় গরীবের প্রতিষ্ঠান কি নিরাপদ?

কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক কি সত্যিই গরীবের স্বার্থ দেখছে আগাগোড়া? গ্রামীণ ব্যাংকের সাংস্কৃতিক পুঁজি-- নাম দিয়ে ব্যবসা করছে গ্রামীণ ফোন, সে জন্য কয় টাকা পাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক? এমন প্রায় পঞ্চাশটা প্রতিষ্ঠান আছে। গ্রামীণ ব্যাংক তার স্পেস এবং সদস্যদের কাছে অ্যাকসেস তৈরি করে দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে, বিনিময়ে কী পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক? ইউনূসের দুর্নীতি থাকলে তা এখানেই। সরকার বরং এখানটা ঘাটাঘাটি করে দেখুক। যদ্দূর জানি, গ্রামীণ ফোনের সাথে চুক্তি আছে, প্রতি দশ টাকায় এক টাকা পায় গ্রামীণ ব্যাংক। আর আর প্রতিষ্ঠানের সাথে কি তা আছে?

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান থাকাকালে তিনি যদি অন্য প্রতিষ্ঠানকে টাকা ছাড়া নাম ব্যবহার করতে দেন, অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মার্কেটিং করে থাকেন আর তার জন্য যদি গ্রামীণ ব্যাংক পেইড না হয়—সেটাই বরং দুর্নীতি। বয়স কোন দুর্নীতি না, যেইখানে কিনা তিনি সেই পদ ছাড়তেই চাইছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিষদই তাঁকে ছাড়ে নাই। উপরন্তু, তাঁর দায়িত্বে বয়সজনিত কোন অবহেলারও অভিযোগ নাই। ৫৪ ধারাকে যেমন মানুষ কালো আইন হিসাবে জানে বা র্যাাবের হত্যা যেই আইনী ফুটা দিয়া ক্রসফায়ার/এনকাউন্টার হয়—এগুলির মতোই একটা খারাপ আইন হিসাবে জানবে মানুষ। যেই দেশের প্রেসিডেন্টের বয়স আশি, সেই দেশে ৬০ বছরের অধিক কেউ কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান থাকতে পারবে না—এইটা অযৌক্তিক আইন। ৭০ বছরেও যোগ্য ও সক্ষম লোক যদি পাওয়া যাইতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে গড় আয়ু বাড়ছে, তখন আইনের সংশোধন করা দরকার, মানুষের আয়ু না কমিয়ে।

*৮ সে ২০১২ অষ্টপ্রহর, বণিক বার্তায় (‘গ্রামীণ ফোনের বিচার হোক’ নাম নিয়া) প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×