somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিয়ম ভেঙে এয়ারটেলের মোবাইল ব্যাংকিং

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানই কেবল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারে। সেলফোন অপারেটর এ ক্ষেত্রে গেটওয়ে হিসেবে ওই ব্যাংককে সহায়তা দেয় মাত্র। কিন্তু এয়ারটেলের ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক এর উল্টো। নিয়ম ভেঙে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সহযোগিতায় মোবাইল ব্যাংকিং করছে অপারেটরটি। তাদের প্রচারণায়ও ডাচ্-বাংলার সহযোগিতায় এ সেবার বিষয়টি জানিয়েছে এয়ারটেল।
সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যাংকের বদলে সেলফোন অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নজরে এসেছে বিষয়টি। ডাচ্-বাংলাকে চিঠি দিয়ে নিয়ম মেনে মোবাইল ব্যাংকিং করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এয়ারটেলের সহযোগিতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, কোনো সেলফোন অপারেটরকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমতি দেয় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এয়ারটেলের সঙ্গে ডাচ্-বাংলার সম্প্রতি চালু করা সেবাটি বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং মডেলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই নিয়ম মেনে মোবাইল ব্যাংকিং করার জন্য ডাচ্-বাংলাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিলেও বাংলাদেশে শুধু ব্যাংক প্রতিষ্ঠানকে এর অনুমতি দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত মোবাইলে আর্থিক সেবার নীতিমালার ধারা ৬-এ বলা আছে, বিশ্বব্যাপী ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত দুই মাধ্যমেই মোবাইলের সাহায্যে আর্থিক সেবা প্রদানের বিধান রয়েছে। তবে বাংলাদেশের আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু ব্যাংকের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়া যাবে।
তবে এয়ারটেল ডাচ্-বাংলার সহযোগিতায় এ সেবা দিচ্ছে। এয়ারটেলের এজেন্ট এখন ডাচ্-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের ভূমিকা পালন করছে। ফলে এয়ারটেলের এজেন্টেদের কাছে জমা হওয়া আমানতের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ডাচ্-বাংলা শুরু থেকেই বাংলালিংক ও সিটিসেলের সহযোগিতায় সেবাটি দিয়ে আসছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য যে নম্বর দেয়া হয়েছে তা হলো *৩২২#। এ ক্ষেত্রে বিকাশ ব্যবহার করছে *২৪৭# নম্বরটি। তবে এয়ারটেল নিজেদের *৪০০# নম্বরের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এয়ারটেল থেকে এ নম্বরে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠছে ওয়েলকাম টু এয়ারটেল। এর ১-এ ক্লিক করলে ডাচ্-বাংলা এবং ২-এ ক্লিক করে অন্য সেবায় যাওয়া যায়। এভাবে এয়ারটেল নিজের নম্বর ব্যবহার করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের এ সেবা পেতে প্রথমে এয়ারটেলে প্রবেশ করে পরে ডাচ্-বাংলার হিসাবে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
এয়ারটেল সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে মানি ট্রান্সফার সার্ভিস চালু করতে চায় এয়ারটেল। এরই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে ৪০০ নম্বরটি জনপ্রিয় করতে চায়। পরে এ নম্বরের মাধ্যমে সব ব্যাংককে মোবাইল সার্ভিস দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তবে ব্যাংকাররা বলছেন, এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জিম্মি করতে চায় এয়ারটেল। পরে সেবাটি নিজেদের আয়ত্তে নিতে চায় তারা। এটা হলে দেশের ব্যাংকগুলো মোবাইল ব্যাংকিং খাতে যে বিনিয়োগ করছে তা তাদের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে এয়ারটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, ‘সেবাটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। তবে আমরা নতুন করে সেবাটি নিয়ে এসেছি। আর এয়ারটেলের শর্ট কোড ৪০০ শুধু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য বরাদ্দ। ভবিষ্যতে এয়ারটেলের গ্রাহকরা ৪০০ নম্বরে ডাচ্-বাংলা ছাড়াও অন্য ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পেতে পারে। আর মূলত ডাচ্-বাংলার এ সেবায় এয়ারটেল সহযোগিতা করেছে। তবে কী কারণে প্রচারণার সময় ডাচ্-বাংলাকে সহযোগী লেখা হচ্ছে তা আমরা জানি না।’
এ বিষয়ে ডাচ্-বাংলার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুত্রঃ বনিক বার্তা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×