somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাহিত্যিকদের মজার ঘটনা... পড়ে দেখুন ভালো লাগবে আশা করি

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.

বিখ্যাত লেখক অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন যেমনি রসিক তেমনি বাকপটু। তিনি একবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিভভারস’ বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষক তাকে গ্রীক ভাষায় লেখা ‘নিউ টেস্টামেন্ট’ থেকে ‘প্যাশন’ অংশের কয়েক লাইন অ.নুবাদ করতে বললেন। ওয়াইল্ড নিভর্ূলতার সাথে দশ বারো লাইন অনুবাদ করার পর পরীক্ষক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন-’ঠিক আছে আর করতে হবেনা।’ ওয়াইল্ড পরীক্ষকের কথা যেন শুনতেই পাননি এমন ভাব করলেন। এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করে ফেলার পর পরীক্ষক রাগান্বিত হয়ে বললেন ‘আরে থামুনতো। বাকিটা অন্যরা অনুবাদ করবে।’ ওয়াইল্ড মিনতি জানিয়ে বললেন-’স্যার,প্লিজ গোটা অংশটাই আমাকে অনুবাদ করতে দিন। বাড়তি অনুবাদ করার জন্য আমাকে বাড়তি কোন মার্কস দিতে হবেনা। গল্পটা জানার আমার ব্যপক আগ্রহ হচ্ছে।’ তবে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন ওয়াইল্ড হয়তো পরবতর্ীতে এ অনুবাদটিকে বই আকারে প্রকাশ করার ধান্দায় ছিলেন।

২.
বিখ্যাত রম্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাবার জন্য ট্রেনে চেপে বসেছিলেন। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলি সর্প গতিতে চলতো। লেট করতো ঘন্টার পর ঘন্টা। সকাল আটটার ট্রেন বিকেল আটটায় আসবে কিনা সে বিষয়ে সবাই থাকতো সন্দিহান। এক সময় কামরায় উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা হাফ টিকিট বাড়িয়ে দিলেন। টিকিট চেকারতো পুরো অবাক! তাঁর প্রশ্ন-কি মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোফ-মাথার চুল সবইতো সাদা। আপনি কি জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশী হলে তার বেলায় আর হাফ টিকিট চলেনা? মার্ক টোয়েনের সোজা সাপ্টা জবাব-যখন ট্রেনে চড়েছিলাম তখনতো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানতো ট্রেন গন্তব্যে পৌছতে এতো লেট করবে!

৩.
এলাকার অন্যতম ধনী দেব নারায়ন দে’র বাড়িতে একটা বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। লেখা হচ্ছিল দেনাপাওনা ও খরচাপাতির ফর্দ। সেখানে উপস্তিত ছিলেন রসিক লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। খরচের ফর্দ দেখে প্যারীচাঁদ মিত্র বললেন-’ একি মিস্টান্নের জন্য এতো কম টাকা? ব্রাম্মনকেও তো তেমন দেয়া হচ্ছেনা। এসব খরচ কিছু বাড়িয়ে দিন।’
দেবনারায়ন বললেন-’ প্যারীচাঁদ বাবু,আপনি শুধু খরচ বাড়াতে বলছেন। টাকাটা কে দেবে শুনি?’ প্যারীচাঁদ মিত্রের তড়িৎ জবাব-’কেন, আপনি দেবেন। আপনার নামের আগে দে, নামের পরেও দে। দিতে আপনাকে হবেই।

৪.
লেখক বঙ্কিম চন্দ্র এবং দীনবন্ধু মিত্র দুজনে ছিলেন পেয়ারা বন্ধু। দীনবন্ধু ডাক বিভাগে কাজ করতেন। আর সে সুবাদে তাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে হতো বিভিন্ন অঞ্চলে। একবার আসামে গিয়ে সেখান থেকে বঙ্কিম এর জন্য কাপড়ের একজোড়া জুতো কিনে এনেছিলেন। লোক মারফত সে উপহার বঙ্কিমের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে একটা চিরকুটে লিখে দিলেন-’জুতো কেমন হয়েছে জানিও।’ বঙ্কিম চিরকুটটি পড়ে হাসলেন। তারপর তার উত্তরে লিখে দিলেন -’ঠিক তোমার মুখের মতো!’

৫.
একদিন সকালে বৈঠকখানায় বসে লেখালেখি করছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হঠাৎ সেখানে এসে হাজির হলো পাড়ার এক মাতাল ব্রাম্মন।
ব্রাম্মন -’বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশী মাল কিনে খাই।’
বিদ্যাসাগর-’দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেইনা।’
ব্রাম্মন-’তুমিতো মাইকেল মধু সুদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশী মাল খায় আর আমি দেশী মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবেনা?’
বিদ্যাসাগর-’তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে!

সংগ্রহীত
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×