গণ মানুষের দাবী যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচার এখন রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিনত হয়েছে।বিচার কার্যক্রম চলা বাকি সবার রায়ে বিলম্বিত , আপিল ছাপিয়ে মোবারককে নিয়ে এসে নতুন ইস্যু তৈরি করার প্রচেষ্টা।নতুন রাষ্ট্রপতি , স্পিকার হিসাবে প্রথম বারের মতো সংরক্ষিত মহিলা আসনকে নিয়ে আসা।মাঠে থাকার প্রচেষ্টায় ব্লগার ধরে রেখে ভোট বাণিজ্য।হেফাজতের আগামী মহাসমাবেশ,নাস্তিক নিধন কর্মসূচি।বি এন পির তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়া,হরতাল,নেতা কর্মীর গ্রেপ্তার।জামাতের যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবী।মাহমুদুর রহমানের অনশন,আল্লামা শাফির চিঠি।নানান ধরনের নাশকতা,ইস্যু,প্রোপাগান্ডা,মাঠে থাকা না থাকা,ভোট বাণিজ্য ইত্যাদি নানান বিষয়বস্তুতে গণমানুষ ভেবাচেক খাওয়া দৈনন্দিন জীবন যাপনে হিসাব কষতে ব্যস্ত।বিচ্ছিন্ন জংন কেউ নাস্তিক নিধন,কেউ ব্লগার,কেউ হরতাল ইত্যদি নানা ভাবে বিভক্ত।
সবকিছু ছাপিয়ে রামপালে কয়লা ভিত্তিক ১৩২০ মেগয়াট বিদুৎ কেন্দ্র নির্মানে বাধাঁ প্রদান করা জাতীয় স্বার্থ।ভারতীয় রাষ্ট্রয়ত্ত এনটিপিসি'র সাথে পিডিবি'র ইতোমধ্য চুক্তি হয়েছে।মিষ্টি পানির চাহিদায় লবণাক্ত পানি নিষ্কাশন।তা ব্যতীত মাটির গভীর থেকে মিষ্টি পানি উত্তোলন করলে পানির স্তর নিচের দিকে নেমে যাওয়া।উপকূলিয় এলাকায় জীব বৈচিত্র , ক্ৃষি জমিতে সেচ কাজ ব্যহত।তাছাড়া বিদুৎ কেন্দর নির্মানে স্থানীয় ক্ৃষি জমি মালিকদের মধ্য প্রবল বিরোধিতা রয়েছে।দিশেহারা হয়ে পরবে ৮ টি ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রাম।কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদুৎ কেন্দর নির্মান করলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভন্ন উপাদান নির্গত হবে।ছাই সহ তেজক্ৃয় পদার্থ পানির সাথে মিশে নাব্যতা,ভূমির উর্বরত নষ্ট করবে।নদী শুকিয়ে যাবে।চিংড়ির ঘের ক্ষতির সম্মূখীন হবে।
ক্ষমতাশীন দলের তাপ বিদুৎ কেন্দ্র নির্মানে ভারতীয় কোম্পনীর সাথে চুক্তি সই করা রাজনৈতিক দূরদর্শিতা না ভেবাচেকা খাওয়া জনগনকে আরো ভেবাচেকা খাওয়ানো।সেটা ভাবার বিষয়।না নতুন কোন ইস্যু তৈরি করে ভোট বাণিজ্য?
বিচ্ছিন্ন জনগন বিভক্ত না থেকে জাতীয় স্বার্থ একত্র হওয়া।