পৃথিবীর সকল ধর্মে এক ঈশ্বরবাদের কথা বলা হয়েছে। মানুষের কল্যাণের কথা বলা হয়েছে।মানবের জন্যই ধর্ম, ধর্মের জন্যই মানব। একটা ব্যতীত অন্যটা কল্পনা করা যায় না । সকল ধর্মেই সুদ, ঘুষ কে হারাম বা ঘৃণা বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ সেই জঘন্য ঘৃর্ণিত কাজ আমরা অবলিলায় করে যাচ্ছি প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।সুদ ঘুষের সমতুল্য হলো দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি করা ।এসব যেন সমাজের মানুষের কাছে নিত্য অনুষঙ্গ। ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতি বছর এদেশে ৬,৬৯৬ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয় ।যা দিয়ে নিমির্ত হতে পারে ১২ হাজার প্রথমিক বিদ্যালয় ও ৭ হাজার হাসপাতাল । টিআইবি’র এই রিপোর্ট যে দুধে ধোয়া কচুপাতা তাও বলা যাবে না। তবে চরম দুর্নীতি, সুদ ও ঘুষগ্রস্থ যে এই দেশ তা অত্যন্ত আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে স্বত:স্ফূর্তভাবে বলা যায় । এখন কথা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে সুদ ও ঘুষ কে পবিত্র কোরআন শরীফে ৭০ বার হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে শুয়োরের মাংস খাওয়া কে মাত্র একবার হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৭০ বার যেটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আমরা সেটাই অকপটে খাচ্ছি। মাত্র একবার নিষিদ্ধ করা শুয়োরের মাংস খাওয়াকে সত্ত্বর ভাগ গরুত্বের সঙ্গে মানছি । এ পরিস্থিতিতে আমি অবাগ হবো না আরো একটা খটকা লাগা সত্য কথা বলতে চাই, শুয়োরের মাংস অনেক বেশি আমিষ, চর্বি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার। চাইনিজ ও থাইদের প্রিয় খাবার। বৈজ্ঞানিকভাবে এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও যৌনশক্তি বৃদ্ধির সহায়ক। আমরা যারা অহরহ সুদ-ঘুষ খাই ও দুর্নীতি করি। তাদের উচিত এসব বন্ধ করে শুযোরের মাংস খাওয়া। তাতে অন্তত পাপ কম হবে। অধিকন্তু শুয়োরের মাংস খেয়ে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যাবে। তাই, আসুন আগে শুয়োরের মাংস খাই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮