somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি কী জানেন, নিজের অজান্তেই আপনি বহন করে চলেছেন এইচআইভি ভাইরাস?! পর্ব -১

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(প্রথমে মডুদের বলছি। লেখাটায় কিঞ্চিত ১৮+ বিষয় থাকতে পারে।জানবেন, সেটা বিষয়ের প্রয়োজনে।পাঠক, আপনার বয়স যা'ই হোক লেখাটা পড়ুন।কারণ বিষয়টা সবার জন্যই জরূরী।পড়তে শুরু করলেই বুঝবেন, এই বিষয়ে আপনি কিছুই জানেন না। যারা শুধুমাত্র মজা বা টিজ করতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি নিষিদ্ধ!! কেননা একেকজন একেক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করে আপনি যদি খারাপ দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন তবে সেটা আমার ভালো লাগবেনা। যদি সম্ভব হয়, জনস্বার্থে লেখাটা শেয়ার করুন।তবে লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।এইখানে ডাক্তারী বিষয় খুব বেশী আলাপ করা হয়নি, বরং এইচআইভি সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভংগী এবং বিশ্বাসের উপর জোর দিয়েছিআরেকটা কথা, এই লেখার সকল ঘটনা কিঞ্চিৎ অদল বদল করা হয়েছে গোপনীয়তার স্বার্থে । বাস্তবের কারো সথে মেলানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।)

একদিন অফিসে হঠাৎ ২০/২১ বছরের একটা ছেলে এসে হাজির। সাথে তার গার্লফ্রেন্ড । নিয়মিত চেকআপ করতে গিয়ে ডায়াগনিসিসে ছেলেটার এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া গেছে। ডাক্তার নিশ্চিৎ হওয়ার জন্য ছেলেটাকে আমাদের কাছে রেফার করেছে। তারা দুইজন অলরেডী নেট ঘেঁটে নিশ্চিত হয়েছে দুইজনেরই এইচআইভির লক্ষন প্রকট। দুইজনকেই খুব উদভ্রান্ত দেখাচ্ছিল । তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে, এইখানে যদি এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া যায় ঘরে ফিরে দুইজনই আত্মহত্যা করবে । কী হয়েছিল তাদের শেষ পর্যন্ত? সেটা পরে বলছি। আগে জেনে নিন এইচ আইভি কী-



এইচআইভি কী

অনেকেই বিষয়টি জানে তারপরেও বেসিক কয়েকটি বিষয় বলে রাখি;;
এইচআইভি হলো একটি ভাইরাস যা একজন মানুষের মধ্য এইডস রোগ তৈরী করে। মজার বিষয় হলো একজন মানুষ তার এইডস হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তাকে গড়ে দশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!! কারণ এই ভাইরাসটি একজন মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তার ঐ মানুষটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করতে অনেক সময় লাগে। আমি খুব বেশী শরীর তত্ত্বীয় বিষয়ে যাবনা, তবে একজন মানুষ তার শরীরে এইচআইভি আছে কিনা তা এই ভাইরাস শরীরে ঢুকার তিনমাস পরে যেকোন সময় টেস্ট করে জানতে পারেন। কারণ এইচআইভি যখন শরীরে ঢোকে তখন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি তৈরী হয় তা তিনমাসের আগে টেস্ট করলে ধরা পড়েনা।

তবে সত্যি বলছি এই ভাইরাস খুবই নিরীহ এক ভাইরাস,যা অসেকটা পরজীবীর মতো নিজে কিছু করেনা কিন্তু মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাকে শ্বেত রক্ত কণিকা বলে তাকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। যার ফলে একজন মানুষ ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে মানুষ স্বেচ্ছায় এইচআইভি টেস্ট করেনা সেসব দেশে মানুষ একেবারে মৃত্যূর দোরগড়ায় এসে এইচআইভি ধরা পড়ে। কেননা আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার খুব কম হওয়াতে ডাক্তাররাও প্রথমে লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও এইচআইভি টেস্ট করতে রিকমেন্ড করেননা।


এইচআইভির লক্ষণ

এখন যদি বলেন এর লক্ষণ কি?? তবে বলতে হয় এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। এটা নির্ভর করে কার শরীরে কতটুকু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে।্আমি এমনো রোগী দেকেছি যাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ বছর আগে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটলেও তাদের মধ্যে তেমন কোন শারীরিক অসুস্থতা ছিলনা। তবে প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুবই কমন :
দীর্ঘদিন ধরে জ্বর,
ডায়ারিয়া,
সর্দিকাশি,
যক্ষা,
ওজন কমে যাওয়া,
চামড়ায় গুটি গুটি লাল দাগ.....।
তবে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরী তা হলো এই লক্ষণগুলো কিন্তু আর দশটি মানুষ যাদের এইচআইভি নেই তাদেরও হতে পারে। আমি যখন এই ধরণের রোগী দেখি তখন বেশিরভাগ সময়ই দেখা যেত নেট থেকে বা বই বা লিফলেট থেকে কেউ কেউ এই ধরণের লক্ষণগুলোর সাথে মিল পেয়ে ডিপ্রেসড হয়ে আসত, এমনকি আত্মহত্যার কথাও চিন্তা করে রাখত জাস্ট শুধু রির্পোট পাওয়ার অপেক্ষা!

তবে সাবধান থাকুন যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে। হয়তো আপনি যা ভাবছেন তা নয়, ভাল কিছুই অপেক্ষা করছে আপনার জন্য ।


(চলবে! কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে আওয়াজ দিন)

পর্ব: ২, Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৪
২৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×