somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি প্রেম বিষয়ক পোস্ট ১৮+++ (প্রেমের বিবর্তনঃ ১৯৮০-২০১২)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
১৯৮০ সালঃ

পরিচয় পর্বঃ সাধারনত প্রেমিক প্রেমিকার পরিচয় পর্ব সামনা সামনিই হত। এই যেমন কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে, লাইব্রেরির বই আদান প্রদানের মাধ্যমে। ক্যাম্পাসে হাটা হাটি করার সময় অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা খাওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই সম্পন্ন হত প্রথম পরিচয় পর্ব।
প্রেমের ডালপালা বৃদ্ধিঃ প্রথম দেখার পরই দুজন উদাস হয়ে যেত, প্রেমিক উদাস মনে বাগানের ধারে,(উল্লেখ্য তখন দেশে বাগানের ভালই আধিক্য ছিল) পুকুরের পাড়ে, গাছের নিচে, ছাদের উপরে বসে উদাস মনে বসে থাকত আর মনের মধ্যে বাজত, ওই নীল ধ্রুবতারা...............এই মার্কা গান। তখন অনেক প্রেমিক সাহেব অনেক কবিতারও ডেলিভারি দিতে থাকতো। ব্যাক টু ব্যাক ডেলিভারি। আর এদিকে প্রেমিকাও উদাস হয়ে বসে থাকতো তার ঘরের জানালার পাশে। মাঝে মাঝে নিজের বাগানের ফুল না থাকলে পাশের বাড়ির বাগানের ফুল নিয়ে এসে একটা একটা করে পাপড়ি ছিঁড়ত আর তার ওই মনের পুরুষ কে চিন্তা করত। কল্পনার রঙিন জগতে হারিয়ে যেত। মনের মধ্যে বাজত গান, তুমি শুধুই আমার..........এই ধরনের গান।
চোখে ভাব আদান প্রদান চলতে থাকতো। এরপর হটাত প্রেমিক সাহেব সাহস করে এক খান চিঠি লিখে হাজির। তাও প্রেমিকার সামনে না, তার বান্ধবির কাছে। সাহায্য প্রার্থনা। যাক এইভাবে প্রথমে বান্ধবী, তারপর প্রেমিকার ছোট ভাই বা বোন, এদের দ্বারা চিঠি আদান প্রদান চলতে থাকতো। মাঝখানে দু এক বার পার্কে বসে( নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে) বাদাম খাওয়া চলত।

পরিনতিঃ হটাত একদিন ছোট ভাই ধরা খেল এক্কেবারে মায়ের হাতে, সাথে সাথে বাবার কাছে তলব। দু একটা থাপ্পড়( এই ধরনের ট্রিটমেন্ট ফামিলি বুঝে) এবং বাসায় তালাবদ্ধ। তারপর প্রেমিক বেচারার যায় যায় অবস্থা। দাড়ি টারি রেখে পুরাই দেবদাস। না তখন পোলাপানের কাছে এত টেঁকা আসিল না যে মুজরা দেখতে যাইব। ;)
এক মাসের মধ্যে প্রেমিকার বিয়ে ঠিক। এবং বিয়ে।
এইবার কাহিনী টা একটু রিওয়াইনড করি। ধরা খাইল মায়ের হাতে, সাথে সাথে বাবার কাছে তলব, থাপ্পড় ও ঘরে তালাবদ্ধ। এই বার প্রেমিক এর গুষ্টি খুজা খুজি শুরু। প্রেমিকের বাবাকে তলব, শাসানো, ঝগড়া ঝাটি। অতঃপর মিল। প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে। সন্তান ও সুখে শান্তিতে বসবাস।


এই বার আসি,
২০১২ সালঃ


পরিচয় পর্বঃ ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে নম্বর চুরির মাধ্যমে। প্রথমেই ফোন, "ওয়েটিং"................প্রেমিকের রিপ্লাই "ইশ শালা এইটারও ভাতার আছে" আধাঘণ্টা ওয়েটিং থাকার পর ফ্রি। আবার ফোন করার পর, কথপকথন। ছেলের কুল ডুড মার্কা কিছু কথা বার্তা, পটানো। অতঃ পর ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এবং ফ্রেন্ড লিস্টে প্রবেশ।

ডালপালা বৃদ্ধিঃ প্রেমিকের প্রথম কথা, এইটারে পটাইছি খাওনের লাইগা। কয়দিন ঘুরুম খামু দামু। কুপাকুপি করুম তারপর শ্যাস।
এই শুরু ঘুরাঘুরি, রিকশায় করে ঢাকা ভার্সিটি, রমনা পার্ক, কেএফসি, পিজ্জা হাট,এবং এইচ টু ও লাউঞ্জ। সর্ব শেষ কোন হোটেলর রুম। রুমের বাইরে থকে উচ্চস্বরে শিৎকারের শব্দ, তারপর শেষ। :P :P :P

পরিনতিঃ ওই যৌবন জ্বালা মিটানোর পর দুজন দুজনার কারও প্রতিই কারও তেমন আগ্রহ থাকেনা। তারপর আবার নতুন স্বাদ পাওয়ার জন্য নতুন কারু আশায় মাঠে নামে :-P :-P :-P :-P

সারাংশঃ

১৯৮০ সালঃ চোখাচোখি থেকে শুরু। বিয়ের মাধ্যমে অথবা দেবদাস গিরির মাধ্যমে শেষ।

২০১২ সালঃ ফোনে কথা বলা দিয়ে শুরু, আর হোটেলের বিছানায় বীর্য স্থলনের মাধ্যমে শেষ।
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×