নেপাল ভ্রমন ১৮ তম পর্ব : নেপাল থেকে দার্জিলিং
দার্জিলিং এর হোটেল রুমে ঢুকেই সকল ক্লান্তি জড়ো করে সাজানো গুছানো পরিপাটি রুমটাতে শুইয়ে পড়লাম। তখনো দুপুরের খাওয়া হয়নি। বেলা ৩ টা বাজে । গত কাল বিকালে পোখারা থেকে গাড়ীর জর্নি শুরু করেছিলাম। রাতে ভালো ঘুম হয়নি। তার পরের এতোটা পাহাড়ী পথ ভ্রমনের পুরো ক্লান্তি যেমন শরীরে একাকার হয়ে মিশে যাচ্ছিলো সাথে সাথে পেটের ক্ষুধাও বারবার জানান দিচ্ছিল সে ক্ষুধার্ত। বাথরুমে ফ্রেম হতে ঢুকে দেখি পানি বরফ। এখানের আবহাওয়া যে শিলিগুরির সম্পূর্ণ বিপরীত এতক্ষনে টের পেলাম। আমরা তিনজন একরুমে। রাজু রিয়াজ আর আমি। রাজুকে বললাম, পানি এতো ঠান্ডা কেন? ও বলল, কেন এখনো টের পাওনি। শিতের কাপর কি আছে বের করো। আমি বললাম, কেন? ও বলল, এখানের এখনকার আবহাওয়া আমাদের দেশের পৌষ মাসের মতো। দেখ অন্য টেপে গরম পানি আছে। গোছল করতে চাইলে তারাতারি গোছল করো এখনি খেতে না গেলে পরে আর কিছু ভাগে পাবোনা। আমি গোছল করে ফ্রেশ হয়ে যখন বাথ রুম থেকে বের হয়েছি তখন শীতে যেন কাবু হয়ে গেলাম। লাগেজ খুলে শীতের পোশাক খুজলাম। কিন্তু একটি স্যুটের ব্লেজার ছাড়া আর কিছু ছিল না। সবাই মিলে একত্রে ডাইনিং এ খেতে গেলাম। আজকের ভেনু মুরগির মাংশ। সবাই খুব মজা করে খেলাম। খাওয়া শেষে রুমে এসে কম্বল গায়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আমাদের সাথের সকলেই তাই করলো।
একঘুমে সন্ধ্যা। ঘুম থেকে উঠে কেউই যেন বিছানা ছেড়ে বের হতে চাইছিনা। শীতে প্রায় সকলেই কাবু হয়েছি। কারই শীতের পোষাক নেই। আমি স্যুট পড়ে বের হলাম। সবাই শীতে কাপতে কাপতে দার্জিলিং এ মার্কেটিংএ বের হলাম। সবার একই কেনা কাটা, শুধু শীতের পোশাক। আমি আমার বাবার জন্য একটি চাদর কিনলাম। কেউ কেউ তাদের ডলার ভাংগিয়ে নিলো। মার্কেটিং শেষে সোজা হোটেলে এসে উঠলাম। কে কি কেনাকাটা করেছি তাই দেখছি। সাথে সাথে ছিদ্দিকের এলাল্ড গল্প। সাবাই মহা আনন্দের মধ্যে কাটাচ্ছিলাম। শেষে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে সকালে সাইট শিয়িংএর গাড়ী ঠিক করে যার যার রুমে চলে গেলাম। প্রায় ভোর রাতের দিকে আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হবে। প্রথমেই যাবো টাইগার হিল। ওখানের সূর্যদয় দেখে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলো দেখে দেখে আগামী কাল সারাদিন কাটাবো। বিছানায় এসে কম্বলের নিচে যেতেই ঘুমের ঘোরে তলিয়ে গেলাম।
চলবে .....
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন