শুভ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিয়েছে। এক রঙীন জীবনে ঢুকে গেছে। সে অনেকটা অন্তর্মুখী স্বভাবের। তাই সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। ছুটিতে বাড়ী এসেছে। খুলনা জেলার ছেলে বড় হয়েছে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে চলা এক নদীর মোহনায়। এই নদী শেষ হয়েছে পশুর নদীতে। পশুর নদী গিয়ে মিশেছে সাগরে। পশুর নদীর আরেক মাথা রুপসায়। রুপসার তীরে খুলনা শহর, সাজানো গোছানো ছোট্ট একটা নিরিবিলি শহর। নদীর পাশেই কেটেছে শুভ্র’র শৈশব কৈশোর। যৌবনে পা দিয়েও তাই সে নদীর প্রতি দূর্নিবার আকর্ষণ বোধ করে। বাড়ী এলেই তাই সে বিকেলের আলো ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে ছুটে যায় নদীর কাছে।
ঢেউ গোনা। ওপারের আকাশে মেঘেদের রঙের খেলা দেখা। নৌকা চলাচল। সন্ধ্যা আকাশে কাকেদের ঘরে ফেরা। দূরের মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের সুর। সব কিছু তাকে পাগল করে রাখে এক অজানা বন্ধনে। স্কুলের বন্ধুদের কাউকে পেলেই মন খুলে গল্প শুরু করে। সে গল্পের কোন আগামাথা থাকে। একেক জন যেন জ্ঞানের জাহাজ। সব কিছুই জানে এমনটি ভাব। জ্ঞান-বিজ্ঞান-ধর্ম-সমাজ-রাজনীতি কি থাকেনা তাদের আলোচনায়। বন্ধুরা কেউ না থাকলে সে মোবাইলে ডুব মারে। মা বলে কি আছে তোর মোবাইলের ভিতর। সারাদিন এত কি টিপিস। আম্মাকে সে কিভাবে বোঝাবে এই মোবাইল তার সামনে খুলে দিয়েছে বন্ধুত্বের এক নতুন জগৎ। হাজার হাজার বন্ধু খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের সাথে মন খুলে সব কথা বলা যায়। যদিও তার এখন খুব বন্ধু নেই। অল্প কজন বন্ধু। তাদের সাথেই সারাদিন পুটুর পুটুর করে। তার স্কুলফ্রেন্ড তরুনের কাছ থেকে শিখে নিয়েছে কিভাবে মিগ৩৩ দিয়ে চ্যাট করতে হয়। সে তার দিনের বেশীরভাগ সময় মিগ৩৩ তেই পড়ে থাকে। সুদানী এক বন্ধু জুটেছে। ওমর আলকাতিব। তার সাথেই সে চ্যাট করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪১