তুমি যে নামেই ডাকো প্রিয়া
গোপণে কিম্বা কোলাহল পূর্ণ
জনতার ভীরে, আমি সাড়া দেবো।
খুব সংক্ষিপ্ত কিম্বা অনারম্ভর সম্ভাষণে
সাড়া দেবো।
২।
চলে যাও!
জানি ফিরবে
আর কোথায়ও নয়
আমার হাড় পাঁজরের
জেলখানায়!!
হাড়, পাঁজরের প্রোকষ্ঠে
হৃদয়ও মাজারে।
৩।
যাও
ফিরে এসো
যেখানে ছিলে
যেখানে থাকবে
দিবা নিশি
অনন্ত কাল
চিরকাল
বধু আমার।
৪।
ধীর পায়ে হেটে হেটে তোমার কাছেই স্থির হয়েছি
যা ছিলো সব, সব হারিয়ে তোমার পথেই পা বাড়িয়েছি
স্থির হলো সব, সুরার পাত্র, মদের গেলাস
রুপ হারিয়ে, গুন হারিয়ে তোমার পানেই
অলস আমার চোখের পলক!
অস্থির আমি, নিশ্চিত জানি
বধির হলো অস্থিরতা
অপলক আমি নির্নিমিশে তাকাই যদি তোমার পানে
ভুল হয় সব, এ কেমন বেকুলতা!
৫।
পাশ দিয়ে হেটে যায় বিষন্ন সুন্দর! বুকে চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস--
মখমল দিনের আশায় প্রাঙ্গন ছেড়ছে দূর্বা আর অই দিকে শিশিরে
সংগম লাভের মোহে অভিমানী শিউলির মূলের সাথে কথোপকথন
তথাপি ভিন্ন ভিন্ন নামে, নির্ভুল ব্যাকরণিক নিয়মে ফুল ও মালার পসরা
আর তোরণের পাশে গ্রামীণ আভিজাত্যের সাথে সংগতি রেখে দূর্বার গালিছা
এই এভাবেই রকমারি কারবারে কারারুদ্ধ অমীমাংসিত ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩০