somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাইজভান্ডারী ধর্মমত ( ২ )

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১ম পোস্টে Click This Link মাইজভান্ডারী পীর গোলামুর রহমানকে স্রষ্টার গুনে গুনাম্বিত দাবি করে আললাহর একত্ববাদ ( তাওহীদ ) কে অস্বীকার করতে দেখা গেল। এভাবে ইসলামের মূল বুনিয়াদের প্রথমটিকেই তারা ভেঙে দিল। এরপর অঘোষিত ভাবে নিজেকে খোদা দাবি করে প্রধান পীর আহমাদুললাহ আলহাসানী ঘোষণা করেছে যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে আমি তাহাকে উন্মুক্ত সাহায্য করিব। আমার দরবারে এই প্রকৃতি হাসর পর্যন্ত জারি থাকিবে। ( ২ নং পোস্ট শুরু ) এবার জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি তার বাপ - ভাই - দাদার দাবিকে হার মানিয়ে উল্লেখ যোগ্য অন্তত ৬টি দাবি করে বসল। যথাঃ -
১। * আমার দরবার আন্তর্জাতিক প্রশাসন অফিস; যেখান থেকে এই বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।
২। ** এই বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ আমি ই তো চালাই।
৩। *** এই বিশ্বে কখন কোথায় কি হয়েছে, হচ্ছে, হবে সব আমার জানা।
৪। **** আকাশের উপরে বসে আমি সৃষ্টির কাজ কর্ম দেখি; উপরের দিকে আললাহর সাথে কথা বলি।
৫। ***** দুনিয়ার সব কিছু আমি ভেঙে চুরে ঠিক করি। মাইজভান্ডার শরিফ হায়াতের ভান্ডার, রিজিকের ভান্ডার , দৌলতের ভান্ডার, ইজ্জতের ভান্ডার। সুত্র মাইজভান্ডার মাজার থেকে প্রকাশিত ( শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ( কঃ ) ফিতরাত ও সিফাত , নবম সংস্করণ , পৃঃ নং ১১৫ ) এই ভাবে আল্লাহর সমস্ত গুনাবলি কে তারা ভাগ করে নিল। এরা সরল সহজ মুসলমানদের কে ধোকায় ফেলে ঈমান আমল অর্থ কড়ি সব হাতিয়ে নিয়ে আরাম আয়েসের প্রাসাদ গড়ে তুলেছে। এসমস্ত মাজার থেকে কিছু বই পুস্তক বের হয় যাতে মাওলানা নামধারী কিছু চাটুকার আর স্বার্থ লোভী মানুষের কুরান হাদিসের অপব্যখ্যায় ভরপুর। বই পুস্তক পড়ে সহজেই বোঝা যায় তাদের ধর্মটা আলাদা। এই সমস্ত ভন্ডামী রুখে দিতে সেখানকার আলেম উলামাদের প্রচেষ্টার কমতি নেই। তথাপি বাইরের জেলাগুলো থেকে বিশেষ করে ওরসের সময় হাজার হাজার মুর্খ মানুষ সেখানে জড় হয়। ঢোল তবলা বাঁশি বাজিয়ে নারি পুরুষ একসাথে নেচে গেয়ে মাতিয়ে তোলে। পীর কে সিজদা করে , মহিষ, গরু, ছাগল পীরের নামে জবাই করে। রাতে পীরের নামে জিকির করে। কোথায় নামাজ কোথায় কি। ধর্মচ্চুত এমন ভাবে হয়েছে যে, দুরদুরান্ত থেকে অনেক মহিলা আসে সন্তানের পাওয়ার আশায় । এসে কিন্তু অধিকাংশ মহিলা সম্ভ্রম নিয়ে ফিরে যেতে পারেনা। গভীর রাতে মাজার এলাকার বন জঙ্গল থাকে লোকে লোকারণ্য। পার্কের মত যুবক যুবতীর জোড়া দেখা যায় অস্বাভাবিজক অবস্থায়। এলাকার মানুষ তাদের পুকুরে কাটা দিয়ে রাখে যাতে পানি নষ্ট না করে। বিশ্বাস না হলে ১০ ই মাঘ এসে তামাশা নিজ চোখে দেখার অনুরোধ থাকল। আমাদের প্রয়োজন গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। কিন্তু অতি আফসোসের কথা হল আধুনিক কিছু লোক এদের কর্মকান্ড কে প্রতিপাদ্য বানিয়ে ইসলামের আধ্য়াত্বিক রূপ তাসাউফ কে অস্বীকার করতে শুরু করেছে। সকল পীর কেই তারা বেদাতী মুশরিক বলতে দেখা যাচ্ছে। তারা এসমস্ত মাজার চোখে দেখছেনা, চিরুনী অভিযান - সাড়াসি অভিযান চালিয়ে শুধু চরমোনাই পিরের বই পুস্তক ঘেটে শিরক বেদাত আবিস্কার করছে। যাহোক মাইজভান্ডারে গিয়ে আমি প্রায় ১০ বছর ধরে যা দেখেছি তার সামান্য কিছু তুলে ধরলাম। আগামীতে এনিয়ে আরো পোস্ট দিব। আপনাদের কাছে কি মনে হয় একজন তাওহীদের জ্ঞান শুন্য মানুষ বা জেনারেল কম শিক্ষিত মানুষ এখানে এসে ঈমান নিয়ে যেতে পারবে? মাজারের দেয়ালে পিলারে ব্যানারে জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে কুফরি, শির্কি বিভিন্ন বাক্য। মাজারের ভিতরে গিয়ে পুরপুরি ভাব বেঈমান হারা হল কিনা চেক করার ব্য়বস্থা রয়েছে। ঢোকার সময় চাকচিক্যময় প্রধান তোরণের নিচ দিয়ে যেতে হয়। যার ভিতর দিক অর্থাৎ বাহির হওয়ার সময় তোরণের গায়ে ঐ কথা লেখা দেখা যায় " যে কেহ আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করিবে >>> এখানে শুধু মাইজভান্ডার নিয়ে কমেন্ট করতে অনুরোধ রইল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১২
১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×