এদেশের উর্বর মাটি থেকে জেগে উঠা
কবিতার পান্ডুলিপি হাতে আমি এসেছি।
আমি এসেছি বাঙালির মহাকাব্যিক
একাত্তরের রণাঙ্গণ থেকে।
এসেছি সোহরাওয়ার্দী, ভাষানী, বঙ্গবন্ধুর তৈরী করা
গর্বিত ইতিহাসের এক সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে।
আমি এসেছি জীবনান্দের রূপসী বাংলার
রূপে স্নাত ছায়া সুনিবিড় একটি শান্তির নীড় থেকে।
আমার কবিতায় তাই
অসাম্প্রদায়িকতার স্ফুলিংগ ঝরে
দ্রোহ আর প্রেমের যুগল নিনাদে।
দেশ প্রেমের আদর্শের মশাল জ্বেলে
আমার কবিতা তাই
প্রগতিশীলতার কথা বলে
শহীদদের রক্তে ভেজা মাটির সুরে।
আমার কবিতা তাই গর্ভবতী মায়ের মতো
নিজকে পরিপুষ্ট করার পথ খোঁজে
মাটি আর মানুষের কাব্যিক প্রেমের প্রবল উচ্ছ্বাসে।
আমি তাই কবিতায়
মা, মাটি আর মানুষের প্রতি
ভালোবাসার কথা বলতে চাই।
আমার মা, মাটি আর পতাকার পবিত্র ভূমিতল
কুঁরে কুঁরে খায় যে অপশক্তি
আমার কবিতায় আমি তাই
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাই।
কারণ, আমার কবিতা উঠে এসেছে
শহীদদের রক্তে ভেজা মাটির গভীর তল থেকে
এদেশের আলো-হাওয়ায় মিশে থাকা
মহান পুরুষদের চেতনার মশাল হাতে।
মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা বোনদের বুকের গভীরে
ক্ষরিত ইতিহাসের রক্তস্রোত বেয়ে।
আমি তাই, বার বার আমার কবিতায়
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই বিনম্র চিত্তে।
তাদের ত্যাগে মোড়ানো সময়ের পাতা থেকে
আমার কবিতা রসদ খোঁজে পায়
প্রতিবাদের আগুন ঝরাতে।
আমি চাই, আমার কবিতায়
মাটি-মানুষ-পতাকা আর
বাঙালীর মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
বেঁচে থাকুক চির উন্নত শিরে।