জানালাটা আমার বলেই তার চৌকোনো সীমানায় বাধা আকাশের টুকরোটাও আমার
আকাশটা আমার বলে সেখানে ঘুরতে আসা আশ্বিনের অমসৃন মেঘটাও আমার
আমার এ ছোট্ট নীলে, এ শুভ্র মেঘের নিচে মেলা জমে রোজ
কতকিছু বিকিকিনি করি
কতকিছু এমনি বিলোই
তারপরও কোনদিন দেউলে হইনা যদিনা চৈত্র চলে আসে
চৈত্র আসলেই আমার ধবল মেঘ দূরে চলে যায়
কৃষ্ণ বরণ মেঘ সহসা দেওয়ের মতো সুবোধ বালক থেকে হয়ে যায় ক্ষ্যাপা দশ দিক
পানকৌড়ি নিচে নেমে যায়
কুয়াশারা অভি
মান করে
বালিহাঁস দূরে থেকে ডাকে যেন এখানে আসতে বড় ভয়
জানালায় চোখ রাখলেই দেখি ধূ ধূ নীল
অকলঙ্ক নীল দেখলে অস্বস্তি লাগে
নিদাগ নীল দেখলে ভয় পাই, সজোরে বন্ধ করি চোখের কবাট
তারপর প্রার্থনা করি
জৈষ্ঠ আর ফাগুনের প্রার্থনা, আশ্বিন আর পৌষের প্রার্থনা
যখন আমার নীলে ডানা জাপটে উড়ে যাবে নিখুঁত শিকারি কোন বাজ
যখন আমার নীলে অবিরাম ছবি আঁকবে শরতের মেঘের পালক
জানালায় সুর তুলবে ধানক্ষেত ছুঁয়ে আসা দখিনের বিনয়ী বাতাস
তখন আবার আমি তুমুল সুখের হাতে বাজাব সেতার
দু:খ এসে মাথা নুয়ে রবে
দু:খের প্রতি আমার আর কোন অভিযোগ থাকবেনা
আমি তাকে ক্ষমা করে দেব
আমারতো থেকে যাবে নিজস্ব আকাশ
জানালার ফ্রেমে বাধা দারুণ ক্যানভাস