একপাশে দাঁতাল শুয়োরের ঘোঁত ঘোঁত
অন্য দিকে রঙিন প্রজাপতির পাখা
নরম এবং পেলব মায়াময় আলপনা।
সূঁচাল দাঁতের ভয়ঙ্কর আক্রমণের ভয়
আর মেদুর ভালোলাগায় মিশে যাবার আহ্বান
অন্যদিকে যন্ত্রনার কবন্ধ জড়ায়
নদীর এপাড় ওপাড় যেন ডাকে এক সাথে,
মাঝে স্রোতস্বনী আমি কোনদিকে যাই
পেলবতা না অস্থির হাতছানী
শুয়োরের কাঁদামাখা চিৎকার বড় বিরক্ত করছে।
সমারসেট বা চেখভ হাতে আমি হাসির খোয়ারে হুল্লোর তুলব
নয়তো চলে যাবো মার্কটোয়েনের মতন বোহেমিয়ান তৃণঘাসের ভেলায়।
জানালার কোলে আকাশের এক টুকরো নীল বড় বিষন্নতায় চেয়ে আছে,
আর ঝড় তুলছে পাতার অবগাহন বাঁকা হাসি হেসে সূর্যমুখি চোখ।
ঝংকার উঠুক না বাতাস আর জলের শব্দের- আর তা ছাপিয়ে বাজুক
আনন্দশংকর দরজায় টুপটাপ বৃষ্টির ফোটার মতন।
কিন্তু শুয়োরের ঘোঁত ঘোঁত নোংরা কাঁদাজল ঢেলে দেয়।
আমি তবু দৃঢ় চেতনায় অঙ্গিকারে বাঁধি মন, আমি বয়ে যাবো,
হাঁটব গোর্কির মতন দীর্ঘপথ বেয়ে-
তোমরা দল বেঁধে আসো আলোর মিছিল হতে
ওখানে কে শুভ্র কেশ রূপালি জোছনায়,
চশমার কাঁচ খুলে চোখ মুছে নিলে শামসুর রাহমান,
পেছনে সবুজ মাটির গন্ধ ছড়িয়ে আলো অন্ধকারে,
হাওয়ায় ভেসে ভেসে তুমি ধূষর মেঘের ভেলায়
নক্ষত্রের কারুকার্যের আড়ালে হারালে অভিমানে।
তোমাকে আমি চিনি, শ্রাবুস্ত্রির কমলা রঙ রোদে,
নগ্ন নির্জন হাত ধরে আমি এগিয়ে যাবো
তোমাদের সাথে ভূমণ্ডল থেকে অজানা অচেনায় এই
বালখিল্য শুয়োরের ঘোঁতঘোঁত উপেক্ষা করে।
মারিপোসার রঙিন পাখায় উড়ে হয়তোবা
আরুবা পাহাড়ে প্রতিধ্বনীত হবে
আদি লৌকিক হৃদয় নিংড়ানো সুর
আমরা গেঁথে নিব হৃদয়ে সব রঙ চিত্রল আলপনা
তখন শান্ত বেলাভূমি আর স্থির আকাশ জড়াবে ভালোবাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:২৩