আ•ইলিয়াস ছিল ষাটের দশকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার ।জীবন ঘনিষ্ট ,বাস্তবনিষ্ট ছোট গল্প রচনায় যার অনিষ্ট ছিল প্রান্তিক মানুষের মুখের ভাষা ব্যবহার প্রবনতা ।
পুরনো ঢাকার অলিগলি তে বাস করা মানুষ ,বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ,উচ্চবিত্ত -মধ্যবিত্ত মানুষের ক্লেদ-পতন ধ্বংস হাহাকার ক্ষুধা দারিদ্র নস্টালজিয়া মানসিক বৈকল্য খুব দারুন ভাবে এসেছে।তার গল্পে বাহুল্যবর্জিত ভাষারীতি,মেদহীন,আঞ্চলিক ভাষা লক্ষ্য করি ।
নাম গুলু ও ছিল চমৎকার ।অন্যঘরে অন্যস্বর ,দোযখের ওম,দুধভাতে উৎগাত ,জালস্বপ্ন স্বপ্নের জাল ।তার গদ্যভাষা শাণিত,ঋজু,প্রাঞ্জল এবং শিল্পিত।
কিছু উদাহরণ দিবার লোভ সামলাতে পারছি না ।
১।রাতের ঠান্ডা বাসি জ্বরকে সরবাটার মতো সে মেখে রেখেছে তার মুখে ,গালে ও চোখের কোণে ।(অসুখ বিসুখ)
২।কেবলি ফুলতে থাকা পোয়াতি মেঘের নিচে হাঁটতে হাঁটতে ...পেয়ে গেল ,...পাকা বাড়ী ।(খোঁয়ারী)
৩।শাড়ির ভিতর বুক নেই পাছা নেই দিনরাত হেঁটে বেড়াচ্ছে একটা বেঢপ কোলবালিশ ।(উৎসব)
৪।উচ্ছ্বাসে পুলিসের কন্ঠ বলকানো দুধের মতো শব্দ করে উঠলো ।(নিরুড্দেশ যাত্রা)
৫।পানির কলের সামনে রেখে দেওয়া কয়েকটি কলসি লাইনে বসে মুখ কালো করে পানির অপেক্ষা করে ।(ফেরারী)
৬।ঈশ্বর-সম্বোধন একটি নোতুন পাখা গজানো পিঁপড়ে হয়ে সমস্ত ঘরে পতপত ঘুরে দীর্ঘ উড়াল দেয় বাইরের রোঁয়া -উঠা সন্ধাবেলার লাল ও ধোঁয়াটে প্রদীপ শিখায় ।(ফেরারী)
আবিদ ভাই কে ধন্যবাদ ।