somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় নবী (স:) কীভাবে নামায আদায় করতেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত চাই!!!!!!

আমি ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি যে আমি ও আমার বংশধরেরা হযরত হানাফ (র:)-কে ইমাম হিসেবে মানে। তিনি ইসলাম সম্পর্কে যে সকল ফতোয়া বা ফিকাহ শাস্ত্রের অধিক জ্ঞান রাখেন বলেই আমরা সবাই জানি। এরকম কোরআন ও হাদীস এবং ফিকাহ শাস্ত্রের ওপর বিশেষ পান্ডিত্য রাখেন আরও অনেক জন। যাদেরকে আমরা ইমাম বলে জনি। যেমন, হযরত শাফী (র), হযরত মালিকী (র), হযরত হাম্বলী (র)।
ওনারা মহাজ্ঞনী তাতে কোন সন্দেহ নাই। কারও এ নিয়া দ্বিমত নাই যে ওনারা জ্ঞানী ও সম্মানের দিকে দিয়ে সর্বাবস্থায় প্রিয়।
আমি প্রায় এক বছর হল ড.জাকির নায়েক এর লেকচার শুনছি। ওনিও কোরআন ও হাদিস সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন তবে ওপরে উল্লেখিত ইমামদের সাথে তার তুলনা করা যাবে না। ড. জাকির নায়েক এর একটা লেকচার আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে। লেকচারটির নাম হল “Unity of the Muslim Ummah” by D. Zakir Naik. আপনারা ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে শুনতে পারেন। আবার ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন। এ নিয়া আরও অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে ওনার বক্তব্য সহ আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত এখানে যোগ করতে চাই। আশা করব আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে আপনারা স্বাগত জানাবেন এবং সাথে সাথে আমার ভুলগুলো সুধরে নিতে সাহায্য করবেন। আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই। বলতে পারেন ড. জাকির নায়েক এর লেকচার শুনে আমি কোর্কআনের তাফসীর এবং হাদীস পড়ার আগ্রহ জন্মাতে পেরেছি। তবে এখন শুধু সহীহ বুখারী পড়তেছি। আল্লাহ চাইলে সব গুলো সহীহ হাদীসগুন্থগুলো পড়ার ইচ্ছা আছে।
আমি সহ আমাদের প্রচলিত প্রথার বাইরে অনেক হাদীস আছে যা আমরা মানতে চাই না। যার মধ্যে কিছু পয়েন্ট এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১- কোন মাযহাবের অনুসারী হয়ে কঠোর ভাবে নির্দিষ্ট ইমাম-এর ফতোয়া অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা যাবে না (যদি সেই ফতোয়া কোরআন ও সহীহ্ হাদীসের বিরুদ্ধে যায়)।
২- মাযহাব বিশ্বাসীগণ সেই সকল প্রচলিত প্রথা বা ফতোয়া বাতিল করবেন, যেই প্রথা বা ফতোয়া কোরআন ও সহীহ মতে দুর্বন ভাবে প্রমাণিত।
৩- কোন মাযহাব দিয়ে আমাদের পরিচয় হতে পারে না। আমাদের পরিচয় হওয়া উচিত শুধু মাত্র "মুসলিম" হিসেবে।
৪- হযরত শাফী (র)-এর মতে, কোন বেগানা নারী ইচ্ছাকৃত অবস্থায়ও যদি অন্য কোন পুরুষকে স্পর্ষ করে তবে উভয়ের উযু থাকবে না। কিন্তু আমরা উযুর ফরয জানি ৬/৮টি। যার মধ্যে শুধু নারী ও পুরুষের সঙ্গম-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাত বা পায়ের স্পর্ষ নয়। সুতরাং তার এই ফতোয়া বাতিল বলে গন্য হবে।
৫- মসজিদের নির্ধারিত ইমাম যদি পায়ে আঘাত পান। এবং তিনি যদি দাঁড়িয়ে নামায পড়াতে অক্ষম হন এবং তিনিই যদি ইমামতি করেন এবং সেটা যদি হয় বসে তবে মুসুল্লিদের ও বসে নামায আদায় করতে হবে। (সহীহ্ বুখারী ২য় খন্ড, বিষয়: আযান, হাদীস নং ৬৯৬, ৬৯৭, ৬৯৮।


৬- প্রিয় নবী (স:) সালাত আদায় করার সময় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বুকের বা সিনার উপর হাত বাঁধতেন। সহীহ্ বুখারী ১ম খন্ড, হা: ৬৯৬, সহীহ্ মুসলিম ২য় খন্ড, হা: ৭৮০, তিরমিযী শরীফ ১ম খন্ড,হা: ২৪৪, আবু দাউদ ১ম খন্ড, হা: ৭৫৯, মিশকাত শরীফ ২য় খন্ড, হা: ৪৪২, মুয়াত্তা ১ম খন্ড ১৭০ পৃষ্ঠা।


৭- নামায ও নামায ব্যতীত যখনই তোমরা (গইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ--ললিন) শুনবে, তখনই উচ্চস্বরে আমি পড়া উত্তম। কারণ তখন ফেরাস্তাগন আমিন বলেন এবং আমাদের আমিন বলা এবং ফেরাস্তাদের আমিন যদি এক সাথে হয় তবে আমাদের পিছনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। প্রিয় নবী (স:) ছাড়া ছাহাবারা তাই করতেন। সহীহ্ বুখারী ২য় খন্ড, বিষয়: আযান, অনুচ্ছেদ: ৫০২, হা: নং- ৭৪৪,৭৪৫,৭৪৬, পৃ: ১২০,১২১,১২২।


৮- সালাত আদায় করার সময় দুই হাত উঠানো। রুকুতে যাওয়ার আগে দুই হাত কাধ বরাবর উঠানো এবং রুকু থেকে উঠার পর হাত কাধ বরাবর উঠানো এবং বলতে হবে সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা+ রাব্বানালাকালহামদ্। কিন্তু সেজদার সময় এমনটি করা যাবে না।। সহীহ্ বুখারী: বিষয়: আযান, অনুচ্ছেদ-৪৭৫,৪৭৬,৪৭৭,৪৭৮ হাদীস নং ৬৯৯,৭০০,৭০১,৭০২,৭০৩।


৯- নবীজি (স) বলেছেন যে, ইহুদীরা ৭১টি দলে বিভক্ত রয়েছে, খ্রিষ্ট্রানরা ৭২টি দলে, কিন্তু মুসলমানরা ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেক দল প্রত্যেক দলকে তাদের স্বীয় প্রথা জন্য অন্য দলকে তিরস্কার করবে এবং বলবে তোমারা সঠিক নও বরং আমরাই সঠিক। জেনে রাখো সব দলই জাহান্নামে যাবে শুধু একটি দল ছাড়া। আর তারা হল "মুসলিম"।

১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×