somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিস্তিন সমস্যার প্রেক্ষাপট

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯
বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন
দেশটি ছিল অটোমান খেলাফতের
অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল
বৃটেন বিরোধী জোটে৷ তখন যুদ্ধ
জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭
সালে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড
বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই
ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র
হবে বলে আশ্বাস দেন৷
যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু
ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই
তারা ধরে নেয়৷ কিন্তু এর
মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল
তা তারা বুঝতে পারেনি৷ বৃটিশ
শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের
প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির
উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস
তৈরি করতে সক্ষম হন
ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান ৷ ফলে আনন্দিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন
কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান৷
উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির
জন্য এক টুকরো ভূমি আর
তা হবে ফিলিস্তিন৷
ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য
মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন৷
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন
স্বাধীনতা দেয়ার
অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০
বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই
ফিলিস্তিনকে আরব শূন্য করার জন্য
ভালোভাবে কাজে লাগায়
ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ- মার্কিন শক্তি৷ [১১]

আরবদের উচ্ছেদকরণ ও ইসরায়েল
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বৃটিশরা:-

একদিকে ইহুদিদের জন্য
খুলে দেয় ফিলিস্তিনের দরজা,
অন্যদিকে বৃটিশ বাহিনীর সহযোগিতায়
ইহুদিরা ফিলিস্তিনদের বিতাড়িত
করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার
জন্য গড়ে তোলে অনেক প্রশিক্ষিত
গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন৷ তার
মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ , ইরগুন ও স্ট্যার্ন গ্যাং যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর
ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে নিরীহ
ফিলিস্তিনদের বাধ্য করে নিজ
মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে৷
সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গণহত্যার
কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত
হচ্ছিল তখন পরিস্থিতকে নিজেদের
অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন
হাগানাহ বেছে নেয় আত্মহনন
পন্থা৷ ১৯৪০ সালে এসএস প্যাটৃয়া নামক একটি জাহাজকে হাইফা বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২৭৬ জন
ইহুদিকে হত্যা করে৷ ১৯৪২
সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে ৭৬৯
জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ উভয়
জাহাজে করে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আসছিল
আর বৃটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ
দুটিকে ফিলিস্তিনের
বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না৷
হাগানাহ এভাবে ইহুদিদের
হত্যা করে বিশ্ব
জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করলো৷
পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন
ও আরবদের উচ্ছেদকরণ
চলতে থাকে খুব দ্রুত৷ এর ফলে ২০
লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত
ইহুদির সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার৷ এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন
চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ হয়
তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র পক্ষে,
১৩টি বিরুদ্ধে এবং ১০টি ভোট
দানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-
চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল
ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনরা পেল
৪৩% তবে প্রস্তাবিত
ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম
সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে৷
ফলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা চূড়ান্ত হলেও উপেক্ষিত থেকে যায়
ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের মাধ্যমে পাস হয়ে যায় একটি অবৈধ
ও অযৌক্তিক প্রস্তাব৷ প্রহসনের
নাটকে জিতে গিয়ে ইহুদিরা হয়ে ওঠে আরো হিংস্র৷
তারা হত্যা সন্ত্রাসের
পাশাপাশি ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ
করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুত্ লাইন কাটা,
বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড
নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল
এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতন
করে মৃত্যু
বিভীষিকা সৃষ্টি করতে লাগলো৷ ফলে লাখ লাখ আরব বাধ্য হলো দেশ
ত্যাগ করতে৷ এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র
ঘোষণা করলো ইহুদিরা৷ ১০
মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র
স্বীকৃতি দিল, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন-বৃটেন
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×