অনিদ্র বেশ কিছু বেহায়া রজনীর পরে
খুব অন্ধকারে,
যখন ভুত প্রেতকে ছাপিয়ে দরজায় কড়া নাড়ে
পাশবিক নিঃস্তব্ধতা, নিঃসঙ্গতা—
মনে হল---তোমাকে চাইলেই পারতাম,
থাকুক তোমার শরীরে যত কালো হাতের বিশ্রী ছাপ,
পিছনে পড়ে থাকুক পঁচে যাওয়া কিছু অতীত,
সব ভুলে গেলেই পারতাম।
ঈশ্বরকে বলি, ক্ষমা চাই
দয়া করে বদলে দিন ওই উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার চিত্রনাট্য,
আমি এবার সত্যিই সুখী হতে চাই।
জিপসী গানের তালে তালে,
গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলে হাত রেখে মাথা নাচাব ঠিক ই
শুধু তুমি আজ থাকবে পাশের সিটে, মনোযোগী শ্রোতা হয়ে
ব্যাকডালায় কোন শাবল খুন্তি কিচ্ছু রাখবনা, হল তো?
পোড়ামাংসের গন্ধে আমার দম আটকে আসে
কেউ কি এসেছে—প্রতিশোধের প্রয়াসে?
আধ খাওয়া সিগারেটা টা কপালের কাছাকাছি কিছু চুল স্পর্শ করেছে,
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ কে দেবে এই রাত বিরাতে?
দেয়াল ঘড়িদের প্রাণ থাকে ---তবে শুধু রাত্রিবেলা
কোন নামকামানো সায়েন্টিস্ট কি একথা বলে যাননি?
রাত দুটা দশে তো পুরো পৃথিবী থেমে আছে,
টিক-টিক-টিক...চমকে ঊঠলাম! ধুর শালা--
নাহ্ !ওকে গালমন্দ করার চেয়ে
তোমাকে কামনা করাই বরঞ্চ ভাল।
তোমার সাথে শেষবার কবে এক বিছানায় রাত্রি পার করেছি
মনে নেই---
আজ আবার তোমার ওই রুগ্ন তনু আমার চোখের সজ্জায়
তুমি এসো, দেখি তোমার জাদুঘর এখনো আগের মত সুসজ্জিত আছে কিনা-
তৃতীয় শ্রেনীর কোন কীটের কামড়ে
তোমার স্তনবৃন্তের কী আকার হয়েছে দেখি !
তুমি এসো,আমার রাতের তো সবে শুরু,
এর কোন শেষ নেই।।
বারান্দায় কিছু একটা আছে, আমি হলফ করে বলতে পারি!
মেলে রাখা কাপড়ের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে বারংবার,
চাঁদের আলো নাকি ! ও আচ্ছা আজ তো পূর্ণিমা !
হঠাৎ হৃদ-স্পন্দন থেমে আসতে চাইল
তোমার নীল হয়ে যাওয়া নিথর দেহটা
চোখের সামনে পেন্ডুলামের মত দুলছে--
আ-আজ পূর্ণিমা? ---আসলেই?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৩