ছবি তোলার দূর্নিবার আগ্রহটা আমার ছোটকাল থেকেই। বিয়েবাড়িতে অন্যকিছু না হোক, ক্যমেরাটা আমার চাই-ই-চাই। এবং ফলশ্রুতি দাঁড়ায় এই যে, আর সব্বার ছবি দেধারছে প্রিন্ট বের হলেও আমার ছবি আর বেরোয় না। এই আমি যেন, বিয়ে বাড়িতে থেকেও নেই।
রাস্তায় হুট করে দাঁড়িয়ে পড়ে যখন আমি একের পর এক ছবি তুলে যাই-লোকজন একটু কীরকম চোখে যেন তাঁকায়।তাদের মনের কথাটা বোঝা হয়ে ওঠে না কখনোই।তারপরও আমি তুলে যাই- বাঁশ-ঘাস কোনোটাও তাতে এড়িয়ে যায় না-
এড়িয়ে যায় না খড়কুটো
হেঁটে চলা রাজহাঁস-
অথবা সন্ধ্যা খাবার-
কখনোবা কলাবতী ফুলের মুগ্ধতা আমায় বিমোহিত করে-
আমি হারিয়ে ফেলা সৌন্দর্য্য খুজতে থাকি জমে থাকা ময়লায়, আবর্জনা স্তুপে-
কখনোবা শেষ বিকেলের মেঘ ভাঙ্গা রোদ আমাকে অসাঢ় করে দেয়-
আমি জলপ্রপাত দেখি ক্যামেরার জুম্-এ, ছোট্ট একটা বন্যার ঢলে-
সুদৃশ্য কারুকার্যখচিত মন্দির আর বেহাল শিশুপার্কগুলোয় আমি আর নিজেকে নিবৃত রাখতে পারি না-
যে শিশুপার্কের গুরুত্ব আমার ক্যামেরার চোখে ০০
কখনও এঁর সাথে কৃষ্ণচুঁড়াও আমার পথ আগলে দাঁড়ায়-
আমি কুড়িয়ে নিই পড়ে থাকা অনাঘৃত ফুলের অনাদরটুকু-
ছবি তোলার অদম্য ভুঁইফোড় ইচ্ছাটা বেড়িয়ে আসে হুড়মুড় করে,
আকাশের প্রতি দূর্বলতা আমার একটু বেশিই। বিশেষত যে আকাশ ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়-
মেঘ আর রোদ্দুর নিয়ে খেলতে জানে-
আর আকাশের নিচে পড়ে থাকা আগামী দিনের সম্ভাবনা-
(দেশের সবচেয়ে বড় ভুট্টা প্রকল্প এবার নিয়েছিল পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা জোন। দঃখজনক হলেও সত্য যে, বাম্পার ফলনের পর আর ন্যায্য দাম মেলেনি কৃষকের।)
সবশেষে-জয়তু গুরুজি- গুরু ফটোশপের জয়-
----------------------------------------------------------------
আমার ব্লগে স্বাগত-
এলে কৃতার্থ হব-
Click This Link
----------------------------------------------------------------