গত ২-৩ বছর ধরে ঈদে টিভি অনুষ্ঠান খুব একটা দেখা হয় না। এবার বৃষ্টি থাকার কারনে কিছু অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য হয়েছে! তবে যতটা না আনন্দ পেয়েছি তারচেয়ে হয়েছি অবাক! আমি অনুষ্ঠানের মান নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না কারন এগুলো যারা তৈরী করেছে তারা এ বিষয়ে আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী জ্ঞানী, গুনী, যোগ্য......। অনুষ্ঠান বানানো হয়েছে টিভিতে চলবে তাই কেউ না কেউ তো দেখবেই আর না দেখলেউ ক্ষতি নেই! এই যদি হয় মনমানসিকতা তাহলে আমার একটু আপত্তি আছে (যদিও তাতে কারো কিছু আসে যা্য় না)! শুনেছিলাম একজন নির্মাতার কাছে তার নির্মান গুলো নাকি তার সন্তানের মত হয়, সেক্ষেত্রে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে বেশীরভাগ লেখক ও নির্মাতার-ই চরিত্রে দোষ এর গন্ধ পাচ্ছি তারা ইদানিং অবৈধ সন্তানের দিকেই বেশি ঝুকছেন! তা না হলে এসব কি ?
যাই হোক মূল কথায় আসি-- গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র, টেলিছবি, নাটক ইত্যাদির ক্ষেত্রে নাম অনেক বড় একটা ব্যাপার বলেই সবাই বলে থাকে। আমার ও তাই ধারনা। দর্শকরাও অনেক ক্ষেত্রে নাম দেখে এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়। আমাদের দেশের দর্শকশ্রেণীকে কাছে টানতে তো নাম আরো বড় ব্যাপার কারন আমাদের শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিপার্শিক যে অবস্থা তাতে নাম-ই যদি বুঝতে না পারা যায় তাহলে তারা দেখার আগ্রহটা পাবে কোথা থেকে?
তো এবার আসি কিছু অনুষ্ঠানের নাম নিয়ে---
১@ একজন মানুষ ও কিউই ফলের নেশা!
২@ একটি দাড় কাক ও কিছু ইন্টরভিউ!
৩@ তোমার অপেক্ষা অথবা একটি গোল্ডফিশের অপমৃত্যু!
৪@মনফরিং এর গল্প!
এরকম ভূরি ভূরি উদাহরণ দেয়া যাবে। এই যদি হয় নামের বাহার তাহলে একজন সাধারন গ্রাম-বাংলার মানুষ কি বুঝবে? তাদের কথা বাদ-ই দিলাম আমি-ই তো জীবনে কিউই ফল কি জিনিষ নাম-ই শুনিনি!
আমাদের এত সুন্দর বাংলা শব্দগুলো ব্যবহার করে নাম দিলে কি ইজ্জতের ধর্ষণ হয়ে যায় তাদের? নাকি এমন তথাকথিত বুদ্ধিদিপ্ত উচ্চমার্গীয় নামকরন করে তারা বোঝাতে চান তারা খুব ...দাস হয়ে গেছেন ঠিক জানিনা! তবে দোয়া রইলো তাদের জন্যে তাদের সুমুতি হোক এবং অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের নাম দুটোই আমাদের বেশীরভাগ জনগোষ্ঠির কথা মাথায় রেখেই তৈরী করুক আর যারা প্রচার করেন তারাও যেনো সবার কথা মাথায় রেখেই করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮